রাজধানীর বাজারে পণ্যের দাম ও ক্রেতা উভয়ই কমেছে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রেতাশূন্য রাজধানীর বাজার/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ক্রেতাশূন্য রাজধানীর বাজার/ ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনার প্রভাবে প্রথম দিকে রাজধানীর বাজারগুলোতে দাম বেড়েছিল বেশিরভাগ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের। সময়ের ব্যবধানে পাল্টাতে থাকে বাজারের চিত্র। দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন একদিকে যেমন সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমেছে তেমনি বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কম।

করোনা বিস্তার রোধে নানা কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। এর পর ছুটি বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। ছুটি ঘোষণার পর রাজধানী ছেড়ে যায় লাখো মানুষ।

বিজ্ঞাপন
কমেছে সবজির দাম

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। জনসমাগম বন্ধ এবং লোকজনের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে সারাদেশে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জনসাধারণও প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না। ফলে রাজধানী এখন অনেকটাই জনশূন্য। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রেতারা বসে থাকলেও ক্রেতার দেখা মেলা ভার। ফলে দাম কমেছে অনেকটাই।

শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর রায়েরবাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে থেকে প্রায় কেজি প্রতি ১০-১৫ টকা কম। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

বিজ্ঞাপন
 আলু-পেঁয়াজের বাজারেও বিক্রি নেই

করোনার প্রভাবে বেশিরভাগ সবজির দাম যথেষ্ট কমেছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি আলু ২০ টাকা, বেগুন ২৫ থেকে ৩৪ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, গাজর ৪০টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, কচুরলতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সজনে ডাঁটা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। এদিকে বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার ফালি ২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রহমান নামে এক সবজি বিক্রেতা বার্তা২৪.কমকে জানান, করোনার ছুটিতে অনেক মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। ঢাকা এখন ফাঁকা হয়ে আছে। যারা ঢাকায় আছে তারাও আগের মতো বাজারে আসছেন না। তারা সবজি কম খাওয়ার চেষ্টা করছে। যার প্রভাব পড়েছে সবজি বাজারে। সজিনা দেখিয়ে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে এ সজিনা বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি আর করোনার প্রভাব শুরুর আগে বিক্রি করেছি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। কিন্তু এখন ১২০ টাকা করে বিক্রি করলেও ক্রেতা নেই।

মাছের বাজার

গরু-খাসির মাংসের দাম আগের মতোই আছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৭০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা এবং বকরির মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি ২৩০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম কমে প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকায়।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মাছের আমদানি বেশ কম। প্রতি কেজি বড় সাইজের রুই মাছ ২৩০ টাকা, ছোট সাইজের রুই মাছ ২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪৫০ টাকা, সরপুঁটি ১৮০, পাবদা মাছ ৪৫০ টাকা, মাঝারি সাইজের বোয়াল ৪৫০ টাকা, বড় সাইজের গ্লাসকাপ ২৫০ টাকা ও শিং মাছ ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।