মাস্ক ও পিপিই তৈরি করছে বিজিএমইএ'র ৪১ কারখানা

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের মধ্যেও খোলা রয়েছে তৈরি পোশাক খাতের ৪১টি কারখানা। এই কারখানাগুলোতে মাস্ক, পিপিই, হ্যান্ড গ্লোভস বানানো হচ্ছে। বিশেষ ব্যবস্থায় দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অর্ডারের প্রেক্ষিতে এগুলো তৈরি করা হচ্ছে।

পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, এগুলোর মধ্যে রাজধানীতে ৪টি, আশুলিয়ার ৬টি, চট্টগ্রামে ১০টি এবং গাজীপুরে ২১টি কারখানা চালু রয়েছে। বেশির ভাগ কারখানাগুলোতেই তৈরি হচ্ছে মাস্ক, পিপিই, গ্লোভস।

বিজ্ঞাপন

পোশাক মালিকদের দুটি সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে। আর বিজিএমইএ'র সদস্যভুক্ত ৪ হাজার ২০০ কারখানার মধ্যে ৪১টি কারখানার কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সুরক্ষা নিশ্চিত করে কাজ করছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে ক্রেতারা এখন পর্যন্ত ২৯১ কোটি মার্কিন ডলার তৈরি পোশাকের রফতানি বা ক্রয়াদেশ বাতিল করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএ'র সব শেষ তথ্য অনুযায়ী, ৮ এপ্রিল সকাল ১০টা পর্যন্ত দেশের তৈরি পোশাক খাতের এক হাজার ১১৯টি কারখানায় ৯৬ কোটি ৪০ লাখটি পোশাক পণ্যের রফতানি আদেশ বাতিল ও স্থগিত করা হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ ৩ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ২৬ হাজার ১৮০ কোটি টাকা, বিনিময় হার ৮৫ টাকা ধরে)। রফতানি আদেশ বাতিল হওয়া এসব কারখানায় ২২ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করেন।

গত এক দশক ধরে দেশের জিডিপি ৬ শতাংশের উপরে থাকার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে এ পোশাক খাত। তাই তৈরি পোশাকের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পুরো অর্থনীতিতে।