রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা
প্রতীকী
মহামারি করোনা মোকাবিলায় ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১১জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই বাজেটে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের টার্গেট প্রস্তাব করছি।
এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব র্বোড (এনবিআর) থেকে রাজস্ব আদায় হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ছাড়া অনান্য খাত থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
এর আগের বছর রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর এনবিআর বহির্ভূত কর ধরা হয়েছিলো ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। গত বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি এনবিআর। ফলে গত বছরের সংশোধিত বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে।
করোনা থেকে মুক্তি এবং মানুষের জীবন মানে স্বস্তি ফেরাতে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটের শিরোনাম ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’। এটি বাংলাদেশের ৪৯তম বাজেট। অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের এটি দ্বিতীয় বাজেট।
বাজেট উত্থাপনের সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ মন্ত্রী এবং এমপিরা উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশনে বেশিরভাগ সংসদ সদস্য মুখে মাস্ক পরে ছিলেন।
২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। আর আওয়ামী লীগ সরকার টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এটা দ্বিতীয় বাজেট। যা আগের বছরের চেয়ে ৪৪ হাজার ৮১০ কোটি টাকা বেশি। আর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট হলো এটি।
এর আগের অর্থমন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং সচিবরা মিলে ৪৮ বার বাজেট উপস্থাপন করেন। সবচেয়ে বেশি বাজেট উত্থাপন করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এরপরের স্থানে রয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান।
করোনা বিপর্যস্ত দেশের মানুষ ও অর্থনীতির জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার মধ্যে পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রস্তাব করা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
এর আগের বছর উন্নয়ন খাতের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিলো ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। আর পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৩ লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:
সংকট উত্তরণে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন
প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বৃদ্ধি, বরাদ্দ ৩৪ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা
বাজেটে ওষুধ-কৃষি যন্ত্রপাতি-পোলট্রির দাম কমছে
ব্যাংক ঋণ ৮৪ হাজার কোটি টাকা, আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ
