গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে উপাচার্যদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা বহাল রাখতে গুচ্ছভুক্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনুরোধ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিদের পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ করা হয়েছে।
জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়, উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি কার্যক্রম হিসেবে গুচ্ছ পদ্ধতি ইতোমধ্যে জনমনে আস্থা অর্জন করেছে। এ পদ্ধতিতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, আবাসন, এবং অন্যান্য খরচ বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে একটি মানসম্মত প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে মেধাভিত্তিক ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অভিভাবকরা একাধিক ভর্তি পরীক্ষার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় (সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) এই পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব উদ্যোগে পৃথকভাবে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এটি হলে শিক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের জন্য বাড়তি আর্থিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে জনমনে শিক্ষা প্রশাসনের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।
এ অবস্থায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পুনরায় গুচ্ছপদ্ধতির সুফল বিবেচনা করে এই পদ্ধতি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হয় চিঠিতে। গুচ্ছপদ্ধতি বহাল রাখতে উপাচার্যদের প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের দেওয়া আধা সরকারি পত্রের কথাও চিঠিতে তুলে ধরা হয়।
এর আগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি এবং খরচ কমাতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয়েছিল গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা। প্রথমে হয় কৃষি ও কৃষি শিক্ষাপ্রধান সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) একটি গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। আর সর্বশেষ দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একটি গুচ্ছভুক্ত হয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা নেয়।
এ পর্যন্ত দুটি গুচ্ছ থেকে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে গেছে। আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।