রংপুর-১ আসন: জাপায় রাঙ্গা, আ.লীগে একাধিক প্রার্থী



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রংপুর-১ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রংপুর-১ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এরই মধ্যে নির্বাচনী ট্রেনের টিকেট পেতে রাজনৈতিক পল্লীতে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। কেউ কেউ আবার দলের আগাম সবুজ সংকেত পেয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন।

তেমনই একজন রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও রংপুর সিটি করপোরেশনের আংশিক) আসনের বর্তমান এমপি মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি একাধারে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হয়েছেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। তার এই জয়ের মধ্য দিয়ে এক সময়ের অবহেলিত গঙ্গাচড়া প্রথমবারের মতো একজন প্রতিমন্ত্রী পেয়ে যান। এরপর থেকে বদলে যেতে থাকে তিস্তা নদী বিধৌত গঙ্গাচড়া।

এক সময়ের মঙ্গা কবলিত গঙ্গাচড়া এখন আগের অবস্থায় নেই। মসিউর রহমান রাঙ্গা তার জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় উন্নয়নের চাদর বিছিয়েছেন এখানে। প্রতিমন্ত্রী হয়েও ফ্রি সময় পেলেই ছুটে আসেন নির্বাচনী এলাকাতে। খোঁজখবর রাখেন সাধারণ মানুষের। কখনো কখনো মেঠোপথ ধরে হেঁটে হেঁটে যান কৃষকের কাছে। নতুবা তিস্তাপাড়ে বসে স্বপ্ন দেখেন রাক্ষুসে নদীর শোষণ দমনের।

গঙ্গাচড়ার নাড়ির সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করায় মসিউর রহমান রাঙ্গা এখন আমজনতার রাঙ্গা হিসেবে পরিচিত। তার হাত ধরে এই আসনে ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এ কারণে এখানকার অনেকেই বিশ্বাস করেন ‘রাঙ্গা মানে চাঙা’।

তবে এই ‘রাঙ্গাতে গঙ্গাচড়া চাঙা’ এটি মানতে নারাজ স্থানীয় আওয়ামী লীগ। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনার সুনজরেই অবহেলিত গঙ্গাচড়া থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে। উন্নয়ন ছড়িয়ে পড়েছে পল্লীর পরতে পরতে। তাই শেখ হাসিনার অবদানের মূল্যায়ন ও কৃতজ্ঞতা জানাতে ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জয়ী করতে কোমর বেঁধেছেন তারা।

গত সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের ব্যানারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পার পেয়ে গেলেও এবার সেই সুযোগের সম্ভাবনা নেই এই আসনে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা উঠে পড়ে নেমেছেন। বহিরাগত ঠেকাও স্লোগানে নিজেদের পক্ষে জোয়ার তুলতে গিয়ে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর প্রচারণায় মুখরিত আওয়ামী লীগে তৈরি হয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল।

জনসাধারণও আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে রয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্বে। সেইদিক থেকে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন রাঙ্গা।

এখানে বর্তমানে কোন্দলমুক্ত দল হিসেবে ভোটারদের মন জয়ে এগিয়ে আছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টি। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দাবি মহাজোট হোক আর নাই হোক, ব্যালট যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয়ের মালা গলায় পড়তে জটিল অংক কষতে হবে না প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাকে।

পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯১ থেকে ২০১৪ সালের ভোট যুদ্ধে এই আসনটি বরাবরই জাতীয় পার্টির দখলে রয়েছে। জাতীয় সংসদের ১৯নং আসনটিতে (রংপুর-১ আসন) ১৯৯১ সালে এরশাদের লাঙ্গল কাঁধে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন করিম উদ্দিন ভরসা, ১৯৯৬ সালে সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু, ২০০১ সালে মসিউর রহমান রাঙ্গা, ২০০৮ সালে এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মসিউর রহমান রাঙ্গা। দ্বিতীয়বারের মতো এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে মহাজোট সরকারের মন্ত্রী পরিষদে জায়গা হয় তার।

তবে রাঙ্গার জয় ঠেকাতে নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সুসম্পর্ক ও দারুণ সখ্যতার কারণে তিস্তা নদী শাসনের জন্য প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা ১২৯ কোটি টাকার বরাদ্দ আনতে পেরেছেন। গেল পাঁচ বছরে গঙ্গাচড়াতে স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দির, মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও সংস্কারে ব্যাপক অনুদান এনেছেন তিনি। বদলে দিয়েছেন এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। নতুন নতুন রাস্তা, কালভার্ট, ব্রিজ, ছোট ছোট সেতু নির্মাণ করেছেন। মাইলের পর মাইল কাঁচা রাস্তাকে পিচঢালা রাস্তা বানিয়ে মূল সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। তার মাধ্যমে অভূতপূর্ব উন্নয়নের সমন্বয় ঘটেছে এই উপজেলাতে।

শীতার্ত ও বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ন্যাশনাল সার্ভিস চালু, বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা, হতদরিদ্রদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। জনবান্ধব এমপি হিসেবে তার জনপ্রিয়তা এখানে ঈর্ষণীয়। তাই মহাজোটের ব্যানারে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে এলে এই আসনে রাঙ্গার বিকল্প কাউকে না দেখার সম্ভাবনাই বেশি। আর যদি একক নির্বাচন হয় বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা-লাঙ্গলের প্রার্থীর মধ্যে।

বর্তমানে গঙ্গাচড়াতে যে নির্বাচনী হাওয়া বইছে তাতে আওয়ামী লীগের তিন থেকে চারজন সম্ভাব্য প্রার্থী নিজেদেরকে নৌকার মাঝি হিসেবে জানান দিয়ে শুরু করেছেন প্রচারণা। এতে করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে গ্রুপিং। যার প্রভাব পড়েছে সাধারণ ভোটারদের ভেতরেও।

স্থানীয় ভোটারদের দেয়া তথ্য মতে, এ আসনটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সঙ্গে ভোটে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো জামায়াতে ইসলামীর। আওয়ামী লীগ সব সময় তৃতীয় অবস্থানে থাকত। তবে নিবন্ধন বাতিল হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে এখানে এখন আর আগের মতো অবস্থান নেই জামায়াতের।

বর্তমানে উন্নয়নের স্রোতে দেশকে এগিয়ে নেয়ার মন্ত্রে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জোরেশোরে। এতে করে জাতীয় পার্টির সঙ্গে লড়াই করার মতো অবস্থান এখানে সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন নৌকার সমর্থকরা।

অন্যদিকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান মাবু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন সুজনের নাম শোনা গেলেও তেমন কোনো প্রচারণা নেই গঙ্গাচড়াতে। তবে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভেতরের প্রস্তুতি ঠিক রয়েছে বলে জানা গেছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শামসুল আলম জানান, গঙ্গাচড়ায় জাতীয় পার্টি ৯০ দশকের মতো আবারো ফিরে এসেছে। জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করলেও এই আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। আর জোট হলে তো বিজয় ঠেকানোর সাধ্য কারো নেই।

জানা গেছে, নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে প্রচারণার মাঠে থাকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য রবিউল ইসলাম রেজভী, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম রাজু এবং আওয়ামী লীগের আরেক সমর্থন প্রত্যাশী শিল্পপতি সিএম সাদিককে ঘিরে দ্বিধাদ্বন্দ্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

মহাজোট থেকে জাপা বেরিয়ে এলে এখানে আওয়ামী লীগের নৌকায় বৈঠা হাতে পাবার সম্ভাবনা বেশি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলুর। আর যদি হিসেব উল্টাপাল্টা হয় তাহলে মনোনয়ন দৌড়ে অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম রাজুর ভাগ্যে যেতে পারে নৌকার টিকিট।

নির্বাচনের ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, ‘দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। এখানে স্থানীয় লোকের এমপি হবার সুযোগ হয়নি। বহিরাগত দ্বারা গঙ্গাচড়ার মানুষ যুগের পর যুগ শাসিত হয়ে আসছে। এবার জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। স্থানীয় প্রার্থীকেই জয়ী করবেন। সেই হিসেবে নৌকার মাঝির গলাতে বিজয়ের মালা উঠবে বলেও আমার বিশ্বাস।’

   

৯১ উপজেলায় ভোট পর্যবেক্ষণে থাকবে ৩২৭৭ জন পর্যবেক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় ধাপের ৯১ উপজেলা নির্বাচনে ভোট পর্যবেক্ষণে ৩২৭৭ জন পর্যবেক্ষককে মাঠে থাকার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিযেছেন, আগামী ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ ও সংশ্লিষ্ট আইন মেনে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ১৫ টি পর্যবেক্ষক সংস্থার কেন্দ্রীয়ভাবে ২২৯ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৩ হাজার ৪৮ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে প্রদান করা হবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড ও স্টিকার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে প্রদান করতে হবে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে:

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার সরবরাহ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন হতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের জন্য EO-2 ফরম, EO-3 ফরম, এসএসসি সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙিন ছবিসহ একটি আবেদন রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিবে।

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসার এসব তথ্য পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে কমিশন থেকে অনুমোদিত বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।

কোনো পর্যবেক্ষক যদি কোনো রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় কমিটির পদাধিকারী হন কিংবা স্থানীয় নির্বাচনি এজেন্ট/প্রচারণা কমিটি/পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তাহলে তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে কোনো কার্ড ইস্যু করা যাবে না।

পর্যবেক্ষকগণ অনধিক ৫ জনের টিম করে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্য তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা গাড়ির স্টিকার সরবরাহ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না।

নির্ধারিত পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার ইস্যু করে তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে।

;

সিলেটে শপথ নিলেন ১১ উপজেলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত সিলেট বিভাগের ১১টি উপজেলার নির্বাচিত ১১ জন জনপ্রতিনিধি শপথ গ্রহণ করেছেন।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের হলরুমে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান শপথ গ্রহণ করেন। শপথবাক্য পাঠ করান সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি।

৯ মে সিলেট বিভাগের চারটি জেলার মধ্যে ১১টি উপজেলায় প্রথম ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার যারা শপথ নিয়েছেন, তারা হলেন- সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সুজাত আলী রফিক, ভাইস চেয়ারম্যান মো.সাইফুল ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান হাছিনা।

দক্ষিণ সুরমায় চেয়ারম্যান মো. বদরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান আইরিন রহমান কলি।

বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা মুহিবুর রহমান সুইট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান করিমা বেগম।

গোলাপগঞ্জে চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম, ভাইস চেয়ারম্যান মো.নাবেদ হোসেন ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) সেলিনা আক্তার শীলা।

দিরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম মুনসুর সুদীপ ও ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) ছবি বেগম।

শাল্লা উপজেলায় চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস, ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম চৌধুরী অপু ও ভাইস চেয়ারম্যান শর্বরী মজুমদার।

জুড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মণি, ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ (জুয়েল রানা) ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী বেগম।

বড়লেখায় চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম।

কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, ভাইস চেয়ারম্যান রাজ কুমার কালোয়ার, নারী ভাইস চেয়ারম্যান নেহার বেগম।

আজমিরীগঞ্জে চেয়ারম্যান মো.আলাউদ্দিন মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মিলোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) মাহমুদা আক্তার রেপা।

বানিয়াচংয়ে চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফ হুসেন খান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা আক্তার বিউটি।

;

চেয়ারম্যান প্রার্থী ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
চেয়ারম্যান প্রার্থী ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন

চেয়ারম্যান প্রার্থী ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে এক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারই আপন দুই ভাই।

রোববার (২৬ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী জাহেদুল হকের বিরুদ্ধে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তার দুই ভাই মুহাম্মদ ছাইদুল হক ও মোহাম্মদ নেছারুল হক। এতে তারা অভিযোগ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ভাই তাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মুহাম্মদ ছাইদুল হক ও মোহাম্মদ নেছারুল হক বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুই ভাইয়ের সম্পদ লুট করেন, জায়গা-সম্পত্তি দখল করেন তিনি কীভাবে উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের সম্পদ ও জনগণের জানমাল রক্ষা করবেন?’

জাহেদুল হক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধার ফল জনগণ পাবেন কিনা সেটি নিয়ে সন্দিহান দুই ভাই। তারা বলেন, ‘আমরা তার কাছ থেকে জনগণ সেবা পাবেন কিনা সেটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান ও আশঙ্কায় রয়েছি। বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা গ্রামে ১৯৮২ সালে আমাদের পিতা মরহুম নুরুল হক সওদাগর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমিনিয়া-ফোরকিয়া নুরিয়া এতিমখানা ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা এবং কমর আলী সওদাগর নামে জামে মসজিদ। ২০১৬ সালে মাদ্রাসাটির ব্যয়ভার বহনের জন্য নগদ সাড়ে সাত কোটি টাকা জমা থাকলেও বর্তমানে সেই টাকা জাহেদুল হকসহ কয়েক জন কুক্ষিগত করে রেখেছেন।’

ভাইয়ের বিরুদ্ধে বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জানিয়ে মুহাম্মদ ছাইদুল হক ও মোহাম্মদ নেছারুল হক বলেন, ‘আগামী ২৯শে মে অনুষ্ঠেয় বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আমাদের পরিবারেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে আমরা পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে বোয়ালখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।’

তবে দুই ভাইয়ের অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহেদুল হকের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

;

ইসির অফিসারের বিরুদ্ধে বিতর্কিতদের প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্রিসাইডিং ও সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বি এক প্রার্থী।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (আনারস প্রতীক)।

অভিযোগে তিনি বলেছেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের নির্দেশ দিলেও বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিংড়ি প্রতীকের আবু তাহের হাওলাদারের সহিত সখ্যতার মাধ্যমে তার মনোনীত প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন।

তারা হলেন, বিশ্বজিৎ মন্ডল, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মোংলা, পুষ্পজিৎ মন্ডল, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, মোংলা, বাগেরহাট, আ, ই, শ, ম বাকী বিল্লাহ, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মোংলা, শেখ আনোয়ার হোসেন, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মোংলা, মো. কামাল উদ্দিন, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মোংলা, মনোজ কান্তি বিশ্বাস, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মোংলা, মো. জাফর রানা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার, মোংলা, মিলন ফকির, সহকারী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, মোংলা উপ-বিভাগ, গুরুদাস বিশ্বাস, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, মোংলা, সোহান আহম্মেদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, মোংলা, নির্বাচনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা সকলেই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চিংড়ি মাছ প্রতীকের নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ওই সকল কর্মকর্তাদের দিয়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন একতরফা নির্বাচনের নকশা তৈরী করছেন। সাবেক মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সরোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে মোংলা সরকারি কলেজ ও বঙ্গবন্ধু মহিলা সরকারি কলেজর প্রভাষকগণ সরাসরি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনের সাথে জড়িত। তাই উক্ত নির্বাচনে উক্ত কলেজ দুটি'র প্রভাষকগণকে নির্বাচনি দায়িত্ব দিলে তারা পক্ষপাতিত্ব মূলক নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবেন।

অভিযোগে বলা হয়, মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রায় ৬ মাস পূর্বে মোংলা হতে বদলির আদেশ প্রাপ্ত হন। উক্ত বদলির আদেশ স্থগিত করে উপজেলা নির্বাচনে কারচুপি করার পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু তাহের হাওলাদার উপর মহলে তদবীর করে উক্ত নির্বাচন কর্মকর্তাকে মোংলাতে বহাল রেখেছেন। যে কারণে উক্ত নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন সর্বাত্মকভাবে আবু তাহের হাওলাদারের পক্ষপাতিত্ব করবেন এটাই স্বাভাবিক, যা তদন্তে পাওয়া যাবে।

এই অবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এ বিষয়ে সিইসির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

;