নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন এরশাদ পুত্র!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এরশাদের সঙ্গে পুত্র সাদ, ছবি: সংগৃহীত

এরশাদের সঙ্গে পুত্র সাদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এবার নির্বাচনী মাঠে এরশাদ পরিবারের একাধিক নতুন মুখকে দেখা যেতে পারে। ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদ সাদকে (সাদ এরশাদ) প্রার্থী করার জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

এর বাইরে নতুন মুখ হিসেবে এবার নির্বাচনী মাঠে সরব রয়েছেন ভাতিজা (মামাতো ভাইয়ের ছেলে) পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারি মেজর (অব.) খালেদ আক্তার, ভাগিনা (মেরিনা রহমানের ছেলে) আদেলুর রহমান আদেল।

মেজর খালেদ আক্তারের বিষয়ে নিশ্চিত হলেও অন্য দু’জনের বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। মেজর খালেদ আক্তার নির্বাচন করবেন লালমনিরহাট-১ (হাতিবান্ধা-পাটগ্রাম) আসন থেকে। ওই আসনে বর্তমানে আওয়ামী লীগের এমপি রয়েছেন মোতাহার হোসেন।

খালেদ আক্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, হ্যাঁ আমি এবারই প্রথম নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি। স্যারও গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন। আমি আশা করছি, জাতীয় পার্টির হারানো এই আসনটি পুনরুদ্ধার করতে পারবো। এখানে লাঙ্গলের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। আর বর্তমান এমপির নানা অনিয়ম দুর্নীতির কারণে মানুষ তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

নির্বাচিত হতে পারলে সীমান্তবর্তী এই আসনকে মাদকমুক্ত একটি সুন্দর সমাজ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন খালেদ আখতার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/01/1541044895387.jpg

ভাগিনা ব্যাংকার আদেলুর রহমান আদেল নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যাপক নির্বাচনী পোস্টার শোভা পাচ্ছে তার নির্বাচনী এলাকা ও পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। ওই আসনে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টির এমপি শওকত চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। এবার তাকে মনোনয়ন না দেওয়ার বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে ছেলে সাদের বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন খোদ রওশন এরশাদ। তাকে কুড়িগ্রাম-২ ( সদর-ফুলবাড়ি-রাজারহাট) আসন থেকে প্রার্থী করার বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন বলে রওশন এরশাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছেন। তবে এই প্রস্তাবের বিষয়ে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ হ্যাঁ কিংবা না কোনোটাই বলেননি।

রওশন এরশাদ পুত্র সাদ এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনযাপন করছেন। মাঝে-মধ্যে বাংলাদেশে আসলেও তাকে রাজনীতিতে দেখা যায়নি। কিংবা কোনো সভা-সমাবেশে দেখা যায়নি। সর্বশেষ তাকে দেখা যায় ২০১৫ সালে হোটেল ওয়েস্টিনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। সেদিন এরশাদ ওই অনুষ্ঠানে এরশাদ মুখ ফসকে তার একমাত্র পুত্র এরিখ বলে উল্লেখ করলে নিরবে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন সাদ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/01/1541053869788.jpg

রওশন এরশাদের ছেলে সাদ দেশে এলেও স্ত্রীসহ মায়ের গুলশানের বাসাতেই ওঠেন। বাবার সঙ্গে দেখা করতে গেলেও সেখানে কখনই থাকেন না। তার মায়ের একান্ত ইচ্ছা ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টির হাল ধরুক সাদ।

নতুন তিন মুখের বাইরে এরশাদের বোন মেরিনা রহমানকেও প্রার্থী করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে মা মেরিনা রহমান প্রার্থী হলে আদেলুর রহমানের আর সম্ভাবনা থাকছে না। মেরিনা রহমান বেশ কয়েকবার সংরক্ষিত আসনে এমপি মনোনিত হয়ে আসছেন।

এছাড়া নিয়মিত একাদশে অর্থাৎ আগে থেকেই পরিবারের যারা প্রার্থী রয়েছেন তারা এবারও থাকছেন। এরমধ্যে এরশাদ নিজে রংপুর-৩ (সদর) ও ঢাকা-১৭ (ক্যান্টমেন্ট, গুলশান, বনানী ও ভাষানটেক) আসনে প্রার্থী হবেন।

রওশন এরশাদ এবার নির্বাচন করবেন তার বাবার বাড়ি ময়মনসিংহ-৪ আসন থেকে। ২০১৪ সালেও তিনি এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ভাই জিএম কাদের লালমনিরহাট-৩ (সদর) থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর পার্টির সিনিয়র নেতা এরশাদের ভাগ্নি জামাই জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু নির্বাচন করবেন চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে। যদিও তিনি আত্মীয়তার চেয়ে পার্টির পরিচয়েই বড়। ২০০৮ ও ২০১৪ সালে তিনি ওই আসন থেকে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে আসেন।

বিগত সময়ে নির্বাচন করলেও এবার শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন ভাতিজা (বড় ভাইয়ের ছেলে) আসিফ শাহরিয়ার। এর আগে গঙ্গাচড়া আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙা থাকায় শাহরিয়ারের প্রার্থীতা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

তবে মসিউর রহমান রাঙাকে যদি লালমনিরহাট-২ (কালিগঞ্জ-আদিতমারি) আসনে প্রার্থী করা যায় সে ক্ষেত্রে শাহরিয়ার রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনে প্রার্থী করা হতে পারে। এক্ষেত্রে জটিলতা হচ্ছে ওই আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য রয়েছেন। তাকে বসিয়ে রেখে আসনটি ছাড়তে চাইছে না আওয়ামী লীগ।

আবার মসিউর রহমান রাঙার পক্ষ থেকে আপত্তি রয়েছে। সে কারণে শেষ পর্যন্ত শাহরিয়ারকে উপনির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হতে পারে। এরশাদ যদি দু’টি আসনে জেতেন তবে রংপুর ছেড়ে দিলে তখন হয়তো শাহরিয়ারের কপাল খুলতে পারে।

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের প্রেস ও পলিটিক্যাল সেক্রেটারী সুনীল শুভ রায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্যারের (এরশাদের) তিনভাই একসঙ্গে এমপি ছিলেন, যখন তিনি ক্ষমতার বাইরে। অর্থাৎ নিজ যোগ্যতায় তারা এমপি হয়েছিলেন। এবারও অনেকেই মনোনয়ন চাচ্ছেন। মনোনয়ন চাওয়া কোনো দোষের না, তবে পার্লামেন্টারি বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।

সাদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তার কোনো তথ্য জানা নেই। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পার্টির কোনো ফোরামে সে সদস্য থাকলেও থাকতে পারে। এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

   

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ১৯ মে থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে

;

‘ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকা এবং ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে বাধা দিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের ওপর কারো অনাস্থা নেই। বিএনপির অনাস্থা রাজনৈতিক ইস্যু। 

তিনি আরও বলেন, আশা করি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যে সব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।

গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এছাড়া নির্বাচন না থাকলে এদেশে সহিংসতা হয়না তাতো নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি।

ধান কাটা ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিষয়টা এমন নয়। আপানারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন৷ ওইদিন তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি হয়েছিলো। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তাছাড়া ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না।

নির্বাচন কমিশনার কমিশনার আরও বলেন, এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে।

;

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপ

১শ ১৬ জন কোটিপতির প্রার্থীর লড়াই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ১শ ৫৭টি উপজেলায় ১শ ১৬ জন কোটিপতি প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়াই করছেন বলে জানিয়েছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় টিআইবি।

টিআইবি জানায়, উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১শ ৫৭টি উপজেলায় একহাজার ৮শ ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে ১শ ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন কোটিপতি, যা আগের নির্বাচনের তুলনায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন, ১শ ৫ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছে আটজন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোটিপতির সংখ্যা তিনজন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোটিপতি সম্পদের তালিকার শীর্ষে আছেন নোয়াখালীর সেনবাগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম মানিক। তার অস্থাবর সম্পদ মোট ৮৪ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ধামরাইয়ের সুধীর চৌধুরী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ৩৫ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে আছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ২২ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা।

ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এইক্ষেত্রে দেখা যায়, অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে, স্ত্রীর সাড়ে ১১ হাজার ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার চারশত শতাংশ।

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;