বৃহত্তর রংপুরের ২২ আসনের ১৮টি চায় জাপা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃহত্তর রংপুরের (রংপুর-গাইবান্ধা-কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী) ২২ আসনের সর্বোচ্চ ৪টি ছাড় দিতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আওয়ামী লীগ ১০টি আসন দাবি করেছে বলে জাতীয় পার্টি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জাতীয় পার্টি দুর্গখ্যাত বৃহত্তর রংপুরে কোনভাবেই ছাড় দিতে চায় না দলটি। বৃহত্তর রংপুরের আসন প্রশ্নে প্রয়োজনে ‘জোট ত্যাগ’ করতেও দ্বিধা করবে না-এমন কঠোর অবস্থান নিতে চায় জাতীয় পার্টি। যদিও পরিস্থিতির কারণে ৪টি আসনে ছাড় দিতে এরশাদকে বাধ্য হয়েছে বলে জানা গেছে।

জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্বশুরবাড়ির আসন রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) নৈতিক কারণেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ২০০৮ সালেই। সে কারণে এবারও পীরগঞ্জের বিষয়ে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে কোন দাবিই  থাকছে না।

অন্যদিকে রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেফাল গ্রুপের মালিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মন্সী,  গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনেও একইভাবে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিঞা, নীলফামারী-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর। এই চারটি আসনেও জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দাবি নেই।

এর বাইরে রংপুরের অন্য ১৮ আসনে কোনো ছাড় দিতে নারাজ জাতীয় পার্টি। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লালমনিরহাট-২ (কালিগঞ্জ-আদিতমারি) আসনের বর্তমান সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-১ আসনে সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোহাতার হোসেন, গাইবান্ধা-২ (সদর) মাহবুব আরা গিনি, রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসন পেতে চায়।

জাতীয় পার্টি এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিষয়টি ঝুলে রয়েছে পরিস্থিতির উপর। যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে তাহলে চাপে রেখে দাবি আদায়ের মনোবাসনা রেখেছে জাতীয় পার্টি। অর্থাৎ ঝোপ বুঝে কোপ দাগাতে চায় দলটি।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টি ২০১৪ সালে ঢাকার ৪টি আসন পেয়েছিলো। এগুলো হচ্ছে ঢাকা-১৭ এইচএম এরশাদ, ঢাকা-৪ (শ্যামপুর-ডেমরা-যাত্রাবাড়ী) সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৬ (ওয়ারী-গেন্ডারিয়া-সুত্রাপুর-কোতয়ালী) কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলাম। এরমধ্যে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নির্বাচন বর্জন করলে সেখানে বিএনএফ’র প্র্রার্থী বিজয়ী হন।

এবার আরও তিনটি বাড়তি আসন দাবি করবে দলটি। জাতীয় পার্টি ঢাকা-৯ (খিলগাঁও-সবুজবাগ-বাসাবো) আসনে দেলোয়ার হোসেন খান, ঢাকা-৫ (ডেমরা-যাত্রাবাড়ী –কদমতলি) আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদকে প্রার্থী করতে চায়।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এরশাদের প্রেস ও পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, চাওয়াতো কোনো অপরাধ নয়। আমরাও চাইতে পারি, তারাও চাইতে পারে। তবে এই মুহূর্তে জাতীয় পার্টি তিনশ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে।

বৃহত্তর রংপুরের ২২টি আসনের মধ্যে ২০০৮ সালে জোটগত ভাবে নির্বাচন হলেও কয়েকটি আসন উন্মুক্ত রাখা হয়। এতে জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে বিজয় লাভ করে। আর আওয়ামী লীগ ১১টি আসনে জয়ী হয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৫টি আসনে বিজয়ী হয় জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা।

   

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;

৩০ উপজেলায় ব্যালট যাবে ভোটের একদিন আগে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১৬ জেলার ৩০ উপজেলায় আগের দিন ৬১৫ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। অন্যান্য স্থানে ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে ৩০ উপজেলার ৬১৫টি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সাথে ভোটগ্রহণের পূর্বের দিন ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি মালামালের সাথে ব্যালট পেপার প্রেরণের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমতি প্রদান করেছেন।

সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

যেসব উপজেলায় আগের দিন ব্যালট যাবে সেগুলো হলো- কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, অষ্টগ্রাম, গাইবান্ধা সদর, শিবগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা, কুমারখালী, ভোলা সদর, দৌলতখান, মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, বাহুবল, নবীগঞ্জ, খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, বিলাইছড়ি, রাজস্থলি, কাপ্তাই, লালমনিরহাট সদর ও সুন্দরগঞ্জ।

;