পাবনা-৩: আ.লীগ-বিএনপি উভয় দলে কোন্দল-গ্রুপিং



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পাবনা-৩ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

পাবনা-৩ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই ডজন প্রার্থী পাবনা-৩ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে রয়েছে। এ লক্ষ্যে নেতাকর্মীরা তাদের ছবি সংবলিত পোস্টার-বিল বোর্ড দিয়ে ছেয়ে ফেলেছেন নির্বাচনী এলাকা। এলাকায় গণসংযোগের পাশাপাশি মনোনয়ন বাগিয়ে আনতে তারা যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে। আওয়ামী লীগ চাইছে আসনটি ধরে রাখতে। আর বিএনপি চায় তাদের হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে।

চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত পাবনা-৩ আসনে ভোটার সংখ্যা সাড়ে ৪ লাখের অধিক। তাই এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সংখ্যাও অনেক। পাবনার ৫টি আসনের মধ্যে এই আসনেই সবচেয়ে বেশি প্রচার-প্রচারণা চলছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রায় দুই ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশী তৃণমূল নেতাকর্মী ও দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে পরিচিতি ও কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তবে প্রচার-প্রচারণায় সব থেকে বেশি এগিয়ে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিভিন্ন এলাকা ও গ্রাম-গঞ্জে নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে জানান দিচ্ছেন।

তথ্য মতে, ১৯৯১ সালে বিএনপির বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সাইফুল আযম আওয়ামী লীগের ওয়াজি উদ্দিন খানকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াজি উদ্দিন খান নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। সেসময় বিএনপির প্রার্থী ছিলেন কে এম আনোয়ারুল ইসলাম। ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী কে এম আনোয়ারুল ইসলাম জয়ী হন। তখন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন মকবুল হোসেন। আগেরবার হেরে ২০০৮ সালে জয়ের মুখ দেখেন জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে আসা মকবুল হোসেন। এ সময় বিএনপির প্রার্থী ছিলেন সাইফুল আযম। ২০১৪ সালেও জয়ী হন মকবুল হোসেন। তবে বিএনপি জোটের বর্জন করা ওই নির্বাচনে ভোট নিয়ে প্রতিপক্ষের ছিল নানা অভিযোগ।

বর্তমান সাংসদ মকবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে দলীয় নেতাকর্মীদের। তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ তিনি কর্মীদের মূল্যায়ন করেন না। গত পৌরসভা নির্বাচনে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে নিজের ছেলেকে প্রার্থী করেছেন। এ আসনের অন্য উপজেলা ও পৌরসভার নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। এছাড়া নানা কারণে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন। ফলে তার বিরোধী ও দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।

এ আসন থেকে আবারো প্রার্থী হতে মনোনয়ন চাইবেন বর্তমান এমপি মকবুল হোসেন। এছাড়া নৌকার মাঝি হতে জোর প্রচার চালাচ্ছেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ মাস্টার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এসএম হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি আতিকুর রহমান আতিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আলিম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন, চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো, পাবনা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট শাহ আলম, ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও আমেরিকার ভার্জিনিয়া রাজ্যের আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক ভিপি আবুল কালাম আজাদ, ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সরকার, ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আশরাফুল কবীর, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ।

অপরদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রতিকূল রাজনৈতিক অবস্থায় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছেন। হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ থাকলেও ক্ষমতাসীনদের হয়রানিতে মাঠে প্রচার চালাতে পারছে না বলে সম্ভাব্য প্রার্থীদের অভিযোগ। তবে বিএনপির তালিকাতেও আছে অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী।

ধানের শীষের প্রার্থী হতে কেন্দ্রে তদবির চালাচ্ছেন এমন নেতাদের মধ্যে রয়েছে সাবেক এমপি ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সাইফুল আযম।

তবে সাইফুল আযম তার নিজ এলাকা ফরিদপুরে থাকেন না। তার সঙ্গে এলাকার লোকজনের যোগাযোগ একেবারেই নেই। সাইফুল ১৯৯১ এবং আনোয়ারুল ২০০১ সালে বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। তাই এলাকার মানুষ নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় রয়েছে বলে দাবি নেতাকর্মীদের।

এছাড়া প্রার্থী হতে চান জিয়া সাংস্কৃতিক সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি হাসানুল ইসলাম রাজা, তার ভাই চাটমোহর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসাদুল ইসলাম হীরা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, পাবনা বারের সাবেক সম্পাদক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হাবিবুর রহমান হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বকুল।

এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলেই রয়েছে কোন্দল ও গ্রুপিং। দীর্ঘদিন ধরে এই কোন্দল চলে আসলেও কেন্দ্র কিংবা জেলা থেকে তা নিরসনের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ফলে দিন দিন বেড়েছে কোন্দলের ব্যাপকতা। তাই যে দল দ্রুত কোন্দল মিটিয়ে একক প্রার্থী ঘোষণা দিতে পারবে জয় তাদের পক্ষে ততটাই সহজ হবে বলে মনে করছে নির্বাচন বিশ্লেষকরা।

   

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;