কিশোরগঞ্জ-৪: তৌফিকে ঐক্যবদ্ধ আ.লীগ, দ্বন্দ্বে বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কিশোরগঞ্জ-৪: তৌফিকে ঐক্যবদ্ধ আ.লীগ, দ্বন্দ্বে বিএনপি, ছবি: বার্তা২৪.কম

কিশোরগঞ্জ-৪: তৌফিকে ঐক্যবদ্ধ আ.লীগ, দ্বন্দ্বে বিএনপি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে মজবুত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থায় আছে হাওরাঞ্চলীয় ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা অধ্যুষিত কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে। একক ও ঐক্যের প্রার্থী প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক সাংগঠনিক যোগ্যতা ও নেতৃত্বের দক্ষতায় পুরো দলকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের সর্বত্র শক্তিশালী জনসমর্থন গড়ে তুলেছেন। তুলনায় বিএনপি দ্বন্দ্ব ও সংঘাতে জর্জরিত।’

আসন্ন নির্বাচনের হাল-হকিকত সম্পর্কে বলতে গিয়ে বার্তা২৪.কমকে জানান বেসরকারি স্কুল শিক্ষিকা সাবেরি আলম। তিনি বলেন, ‘তার পিতা বর্তমান রাষ্ট্রপতি এ আসনের সাত বারের এমপি। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রকৌশলী তৌফিক একাধিকবার নির্বাচিত হয়ে উন্নয়ন ও সংগঠন গড়ার মাধ্যমে এলাকার প্রতিটি বাড়ি-মহল্লা চষে বেড়িয়েছেন। নিজের হাতে তিনি নতুন প্রজন্মকে আওয়ামী রাজনীতিতে সংযুক্ত করে পিতার রক্ত ও রাজনীতির যোগ্য উত্তরাধিকার হিসেবে মানুষের সঙ্গে মিশে আছেন। কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে নৌকার মাঝি হিসাবে তার কোনো বিকল্প নেই।’

‘সততা, পরিশ্রম ও নীতিই হলো- প্রকৌশলী তৌফিকের প্রধান শক্তি। এলাকার প্রতিটি উন্নয়ন কাজে নিজে তদারকি করে তিনি অন্যায়, অপচয় ও দুর্নীতি প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন। বিনয়, ভদ্রতা ও সৌজন্যের মাধ্যমে তিনি সর্বস্তরের মানুষকে আপন করে নিয়েছেন।’ বললেন অষ্টগ্রামের আবদুল্লাহপুরের ব্যবসায়ী ইন্নাস আলী। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির পুত্র বলে নয়, এলাকার সন্তান ও জননেতা হিসাবে সকল মানুষের জন্য তার দরজা খোলা। বাংলাদেশের আর কোনো সংসদ সদস্য এতো বেশি দিন ও সময় এলাকায় থাকে বলেও আমার মনে হয় না। বিপদে-আপদে মানুষ তাকে সব সময়ই হাতের কাছে পায়।’

সাধারণ মানুষের মতো আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করেন, এলাকার জন্য কঠোর পরিশ্রমের ফল প্রকৌশলী তৌফিক পেয়েছেন। তাকে ছাড়া আর কাউকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রার্থী হিসাবে কল্পনাও করে না। তিনি শক্তিশালী সংগঠন ও দৃঢ় জনভিত্তির মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একজন বিশ্বস্ত, জনপ্রিয় ও অবিচল রাজনৈতিক যোদ্ধা।

‘অবহেলিত হাওরাঞ্চলে যুগান্তকারী উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধনের মাধ্যমে প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক দল ও জনমনে আশার মশাল হয়ে জ্বলজ্বল করছেন। বৃহত্তর হাওরকে শিক্ষা, প্রযুক্তি, কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের পথে চালিত করে আগামীর সমৃদ্ধ ভবিষ্যতে দিকে নিয়ে যাওয়ার কাণ্ডারী তিনি। হাওর ও হাওরবাসীর ভাগ্যোন্নয়নের জন্য তার যোগ্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করি’- জানান স্থানীয় সমাজসেবক ধ্রুব নারায়ণ রায় চৌধুরী।

জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক ও শক্তিশালী প্রার্থী প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিকের প্রধান প্রতিপক্ষ হবে বিএনপি। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে দলটি দ্বন্দ্ব-সংঘাতে আকীর্ণ। বিএনপি নির্বাচনে প্রার্থী নির্ধারণেও ঐক্যবদ্ধ নয়। দলীয় সূত্রে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমান ও তরুণ উদীয়মান নেতা সৈয়দ অসীমের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। একদা ছাত্রলীগ, বাকশাল, কৃষক জনতা লীগ হয়ে বিএনপিতে আসা প্রবীণ ফজলুর রহমান মূলত ঢাকাতেই থাকেন এবং এলাকার সঙ্গে ক্ষীণ যোগাযোগ রক্ষা করছেন। তদুপরি বিভিন্ন সময়ে দলবদলের কারণে আস্থা ও ইমেজ সঙ্কটের একটি সমস্যাও তাকে ঘিরে রয়েছে। তুলনায় বিএনপির নবীন নেতা সৈয়দ অসীম জনসংযোগ ও দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের নিরিখে বেশ এগিয়ে।

বিএনপির সমর্থক আলী নিয়ামত খানপাঠান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেভাবে সংগঠন ও প্রার্থী ঠিক করে রেখেছে, বিএনপি তা পারেনি। ইটনা বিএনপির সেক্রেটারি স্বপন ঠাকুরসহ তরুণ নেতারা আন্দোলন-সংগ্রাম করে সংগঠন ধরে রেখেছেন। কিন্তু কেন্দ্র ও জেলা এ আসনের ব্যাপারে মনোযোগী নয়। যারা বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচন করতে চান, তারাও সক্রিয় নন। নমিনেশন পেলে তারা মাঠে নামবেন বলে অপেক্ষা করছেন। এমন অবস্থায় আওয়ামী লীগের তৈরি মাঠে তারা বিশেষ সুবিধা করতে পারবেন না।’

মিঠামইনের বিএনপি কর্মী আব্বাস মৃধা বলেন, ‘নমিনেশন নিয়ে এসে কয়েকটি ভাষণ-বক্তৃতা দিয়ে মানুষকে উত্তেজিত করে কাছে টানার দিন শেষ। আবেগ, উচ্ছ্বাস বা হঠকারিতা নয়, মানুষ এখন সচেতন বিধায় জেনে-বুঝে ভোট দেন। ফলে বিএনপির উচিত প্রার্থী চাপিয়ে না দিয়ে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে এই আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া।’

স্থানীয় বিএনপির একাধিক সূত্র মনে করে, কেন্দ্রে ফজলুর রহমান শক্তিশালী হলেও এলাকায় সৈয়দ অসীম জনপ্রিয় ও জনসম্পৃক্ত। বার বার দলবদল করায় এবং এই আসনের নির্বাচনে একাধিক বার পরাজিত ফজলুর রহমানের চেয়ে তরুণ ও জনপ্রিয় সৈয়দ অসীমের গ্রহণযোগ্যতা ও সম্ভাবনা বেশি। সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জের প্রায় ৪০% এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসনের ইটনার এক প্রান্তে ফজলুর রহমানের বাড়ি ও সমর্থন। সৈয়দ অসীমের সমর্থনে রয়েছে মিটামন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা। এসব বিবেচনাও মনোনয়নের সময় সামনে রাখতে হবে।

বিএনপির প্রার্থী যেই হোক, তাকে লড়তে হবে দলীয় দ্বন্দ্ব ও অনৈক্য সামান দিয়ে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিকের বিরুদ্ধে। তদুপরি এই আসনে বিএনপির জয়ের রেকর্ড নেই বললেই চলে। আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যগত এই আসনে সে কারণেই জনপ্রিয় প্রার্থী প্রকৌশলী তৌফিককে রাজনীতির ময়দানে আর ভোটের মাঠে টেক্কা দেওয়া বিএনপির পক্ষে খুব সহজ বিষয় হবে না।

   

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;