খুলনা-১: ঝোপ বুঝে কোপ মারবে বিএনপি



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনা-১ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

খুলনা-১ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে খুলনা জেলা। অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে এ জেলা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ৪ হাজার ৩৯৪ দশমিক ৬৪ বর্গ কিলোমিটারের খুলনা জেলায় মোট ভোটার ১৮ লাখ ১৮ হাজার ৬৩৭ জন। এ জেলায় রয়েছে ৬টি সংসদীয় আসন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিটি জেলায় নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে মরিয়া রাজনৈতিক দলগুলো। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা ইতোমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন লাগিয়েছেন। এছাড়াও গণসংযোগ করে প্রচারণা শুরু করেছেন।

জানা গেছে, সুন্দরবনের উপকূলীয় উপজেলা দাকোপ ও শহর লাগোয়া বটিয়াঘাটা উপজেলা নিয়ে খুলনা-১ আসন গঠিত। জাতীয় সংসদের ৯৯নং আসন এটি। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত খুলনা-১ আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে খ্যাত। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি নির্বাচনে এ আসন থেকে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। ফলে এ আসন থেকে নৌকার টিকিট পেতে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িত নেতাকর্মীরা।

এদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় দ্বন্দ্বে এ আসনটি নিজেদের করে নিতে সুযোগ খুঁজছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর কোন্দলে সুবিধাজনক অবস্থানে বিএনপি। আওয়ামী লীগের অর্ধ ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশীর বিপরীতে বিএনপির একক প্রার্থী রয়েছে। বলা যায়, বিএনপি এ আসনে ঝোপ বুঝে কোপ মারার জন্য ঘাপটি মেরে বসে আছে।

এ আসনে গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দুজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। এদের মধ্যে একজন দলীয় প্রার্থী হয়ে, অন্যজন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করেন। এরশাদের শাসনামলের পর থেকে খুলনার ছয় আসনের পাঁচটিতে ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে। তবে খুলনা-১ আসনটি ঘুরে ফিরে আওয়ামী লীগের হাতেই রয়েছে।

তবে স্থানীয়দের মতামত, বর্তমানে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক সু-সম্পর্ক নেই। তাই এ আসন থেকে দলীয় একক প্রার্থী দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে এবার বিএনপির কাছে হারতে পারে আওয়ামী লীগ।

খুলনা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় টিকিট পেতে ৬ জন প্রার্থী জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা হলেন- খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দু’বারের সাবেক এমপি শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস, গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সাবেক এমপি ননী গোপাল মণ্ডল, বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান, দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার উপদেষ্টা শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল।

আওয়ামী লীগের কোন্দল রোধ করতে না পারলে নিশ্চিত এ আসন রক্ষায় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা নিজেই নির্বাচন করতে পারেন এমন আলোচনাও রয়েছে দলের ঊর্ধ্বতন মহলে।

অপরদিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী শুধুমাত্র একজন। বর্তমানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান আগেও দু’বার এ আসন থেকে নির্বাচন করেছেন, তার ওপরই ভরসা রাখছে বিএনপি।

এছাড়া এ আসন থেকে জাতীয় পার্টির হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন দলের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হয়ে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ করছেন দলের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ এবং সিপিবির হয়ে খুলনা-১ আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এম এম রুহুল আমিন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, খুলনা-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার ৫৩৭ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২১ হাজার ৩২৪ জন ও নারী ভোটার রয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ২১৩ জন।

উল্লেখ্য, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের ফলাফল যাচাই করে দেখা যায় এ আসনে মোট ভোটের ৪৭ থেকে ৬২ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া এ এলাকায় প্রতি নির্বাচনেই সিপিবি, জাকের পার্টি, ইসলামী জাতীয় ঐক্যসহ কয়েকটি ক্ষুদ্র দল অংশ নিলেও উল্লেখযোগ্য ভোট পায়নি তারা।

   

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;

৩০ উপজেলায় ব্যালট যাবে ভোটের একদিন আগে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১৬ জেলার ৩০ উপজেলায় আগের দিন ৬১৫ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। অন্যান্য স্থানে ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে ৩০ উপজেলার ৬১৫টি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সাথে ভোটগ্রহণের পূর্বের দিন ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি মালামালের সাথে ব্যালট পেপার প্রেরণের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমতি প্রদান করেছেন।

সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

যেসব উপজেলায় আগের দিন ব্যালট যাবে সেগুলো হলো- কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, অষ্টগ্রাম, গাইবান্ধা সদর, শিবগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা, কুমারখালী, ভোলা সদর, দৌলতখান, মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, বাহুবল, নবীগঞ্জ, খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, বিলাইছড়ি, রাজস্থলি, কাপ্তাই, লালমনিরহাট সদর ও সুন্দরগঞ্জ।

;

১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ৬৩ জেলার ১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে অনিয়ম বন্ধে তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটরা আগামী ২১ মে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন কাজ করবে বলে জানান।

ইসির আইন শাখার উপসচিব আব্দুস সালাম এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় জানানো হয়, ইসি জানায়, ৬৩টি জেলার ১৫৭টি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের পূর্বের দু’দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দু’দিন ১৯ মে হতে ২৩ মে পর্যন্ত মোট ৫ (পাঁচ) দিনের জন্য ১৫৭ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।

ইসি জানায়, 'উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩' এর বিধি ৮৪ক- তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে নির্বাচনি অপরাধসমূহ The Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর section 190 এর sub-section (1) এর অধীন আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্ন করা হবে।

এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালনকালে এক জন বেঞ্চ সহকারী/স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটগণকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় আদালত পরিচালনার নিমিত্ত দু’জন সশস্ত্র পুলিশ নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ইসি ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ১৫৭ উপজেলার ভোট গ্রহণ আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।

;