সিলেটের চার অর্থনীতিবিদ হতে চান নৌকার মাঝি



সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে নিজ নিজ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চান চার অর্থনীতিবিদ। তারা হলেন-বর্তমান সংসদ সদস্য, অর্থ ও পকিল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, রুপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবীর, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি ড. আবদুল মোমেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন।

জানা গেছে,  শনিবার (১০ নভেম্বর) সিলেট-৫ আসন (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) থেকে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন আহমদ আল কবীর।  ৯ নভেম্বর সুনামগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন নিয়েছেন এমএ মান্নান ও  সিলেট-১ আসনের নিয়েছেন  আবদুল মোমেন এবং আগামীকাল রোববার দলের মনোনয়ন কিনবেন হবিগঞ্জ-৪ ফরাস উদ্দিন।

এমএ মান্নান

সরকারের সাবেক সচিব মান্নান আমলা হিসেবে ছিলেন খ্যাতিমান। তিনি ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের অর্থ এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্বাচনী এলাকা জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকে আবারও তিনি এমপি হতে চান। তার আসনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের ছেলে আজিজুস সামাদ ডনও মনোনয়ন নিয়েছেন। তবে তাকে শক্তিশালী প্রার্থী বিবেচনা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পরবর্তী অর্থমন্ত্রী মান্নান হতে পারেন বলে মনে করছেন।

মান্নান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৭৪ সালে তদানীন্তন সিএসপি ক্যাডারে যোগদান করেন এবং জেলা প্রশাসক কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুগ্মসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক এবং এনজিও ব্যুরোতে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইকোনমিক মিনিস্টার হিসেবে জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ২০০৩ সালে সরকারী চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এম এ মান্নান ২০০৫ সালে  আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ২০০৮ সালে সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি পাবলিক অ্যাকাউন্টস সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১০ এবং ২০১৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/10/1541858757119.jpg

আহমদ আল কবীর

ড. আহমদ আল কবীর একাধারে অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, মিডিয়া ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্যও তিনি। ভূমিকা রেখেছেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। ইউএসএআইডি, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউএনএফপিএসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছেন তিনি।

মনোনয়নপত্র সংহের পর তিনি জানান, জকিগঞ্জ-কানাইঘাট উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি রাজনৈতিক কাজ করছেন। স্থানীয়ভাবে উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশে নিয়মিত উপস্থিত থেকেছেন। স্বাস্থ্যখাতে এককভাবে সবচেয়ে বড় এনজিও সংস্থার প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। যেটা শুরু হয়েছিল তার নির্বাচনী আসন জকিগঞ্জ থেকে। বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তাকে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়নের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন। তারা তাকে সমর্থনও দিয়েছেন। জানা গেছে, ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন বিষয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭টি দেশে বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৪টি দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তিনি বাংলাদেশে শহর এলাকায় ‘সূর্যের হাসি’ কার্যক্রমের প্রধান হিসাবে ইউএসএআইডি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

২০০২ সাল থেকে নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আরটিএম ইন্টারন্যাশনাল’র প্রধান হিসাবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে এশিয়া অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়া ২০০৯ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/10/1541858785960.jpg

আবদুল মোমেন

কূটনীতিতে প্রৌঢ় ও অর্থনীতিবীদ ড. এ কে আবদুল মোমেন গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন। অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই হওয়ায় এখন সিলেট-১ আসনে ভোটারদের কাছে চেনা মুখ তিনি। ব্যক্তিগত ইমেজ আর সুদক্ষ কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের কল্যাণ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। রাজনীতির জঠিল সমীকরণে নয়, আধুনিক উন্নয়ন চিন্তাভাবনায় নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশার সঙ্গে তার ভাবনার মেলবন্ধন ঘটাতে চান জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন। দীর্ঘদিন সরকারের কোনো পদে না থাকলেও উন্নয়ন ভাবনা এবং ব্যাংকিং সেক্টরসহ সেবাখাতের সহজ প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি ভাবেন।

জানা গেছে, আবদুল মোমেন ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত বোস্টনের ফ্রেমিংহাম স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইকোনমিক্স ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি (রাষ্ট্রদূত) হিসেবে যোগ দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়েছিলেন। এরপর পড়ালেখা শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রেরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। কাজ করেছেন বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। প্রতিনিধিত্ব করেছেন বহু আন্তর্জাতিক সংস্থায়। সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক এবং এমসি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন।

পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন। এরপর যোগ দেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে। শিক্ষকতা শুরু করেন হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর আমেরিকায় অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে একটি যৌথ প্রকল্পে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর সেখান থেকে ফিরে এসে বোস্টনের ফ্রেমিংহাম স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইকোনমিক্স ডিপার্টমেন্টে যোগ দেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/10/1541858816450.jpg

ড. ফরাস উদ্দিন

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৭ম গভর্নর ও বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ছিলেন ড. ফরাস উদ্দিন। (হবিগঞ্জ-৪) আসন থেকে নির্বচন করতে রোববার সকালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনবেন তিনি। তিনি ১৯৯৮-২০০১ সাল পর্যন্ত গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে বেসরকারি ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রেসিডেন্ট। শিক্ষাগত, প্রশাসনিক, ব্যাংকিং ও অর্থ ব্যবস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজ নৈপুণ্যের অপূর্ব স্মারক তার বর্ণাঢ্য জীবন।

ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল ও ঢাকা সিটি কলেজের ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএসহ বিভিন্ন জায়গায় তার প্রায় ২০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১৯৭৩-৭৫ সময়ে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে কাজ করেছেন।

   

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;