ইনুর আসনে মনোনয়ন কিনলেন হানিফের ভাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হাসানুল হক ইনু। ছবি: সংগৃহীত

হাসানুল হক ইনু। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের পর এবার তার বড় ভাই রশিদুল আলমও কুষ্টিয়া থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন কিনেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের অন্যতম সদস্য এবং সাবেক আমলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য। আর কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) ও কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসন থেকে এবার মনোনয়ন কিনেছেন রশিদুল আলম।

কুষ্টিয়া-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল হক চৌধুরী আর কুষ্টিয়া-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাসদ সভাপতি, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তবে শেষ পর্যন্ত কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে মনোনয়ন না পেলে কুষ্টিয়া-১ আসন থেকে নৌকা নিয়ে রশিদুল আলম লড়বেন বলে দলীয় সূত্র আভাস দিয়েছে।

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর–ভেড়ামারা) আসন থেকে হাসানুল হক ইনু দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মন্ত্রীও হয়েছেন। তবে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জাসদের হাতে মিরপুর-ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নানাভাবে নির্যাতিত হয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালানো হয়েছে। দুই উপজেলার নেতারা তাকে বয়কট করেছে। সম্প্রতি যৌথসভা করে দুই উপজেলার নেতাকর্মীরা ইনুকে না দিয়ে আওয়ামী লীগের কাউকে মনোনয়ন দেয়ার জোর দাবি জানান। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে জাসদের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করেছে।

জাসদ নেতারা জানান, ২০০৮ সালে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে হাসানুল হক ইনু একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। সেবার আওয়ামী লীগের নেতারা মনোনয়ন উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকে। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তবে এবার কিছু আওয়ামী লীগ নেতার কারণে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। তারা জামায়াত-বিএনপিকে ছাড় দিয়ে জাসদকে আক্রমণ করছে। তবে আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা বিরোধিতা করলেও তৃণমূল থেকে ইনুকেই চাচ্ছে।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মহাজোট শরিক জাসদ সভাপতি ইনুকে চাপে রাখতে কুষ্টিয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন কিনেছেন রশিদুল আলম। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতাও মনোনয়ন কিনেছেন।

মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, তারা কুষ্টিয়া-২ থেকে রশিদুল আলমকে প্রার্থী হিসেবে চাইবেন। শেষ পর্যন্ত যদি ইনুকে এ আসনে প্রার্থী করা হয়, তবে বিকল্প হিসেবে কুষ্টিয়া-১ আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে লড়বেন তিনি।

মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আতাহার আলী বলেন, ‘নেত্রী যাকে দলীয় মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষে কাজ করবে দলের নেতাকর্মীরা। আমরা দলের প্রার্থী চাইতেই পারি। সেটা দল বিবেচনা করবে।’

মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী বলেন, ‘হাসানুল হক ইনু দুই বার এমপি হয়ে এলাকায় ব্যাপক কাজ করেছেন। দলমত নির্বিশেষে তার জনপ্রিয়তা আছে। এখানে বিরোধিতা করে লাভ নেই। যারা বিরোধিতা করছে তারায় শেষ পর্যন্ত ইনুর সঙ্গে মাঠে নামবে। আর মনোনয়ন যে কেউ তুলতে পারে। এটা নিয়ে আমরা বিচলিত নই।’

এদিকে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন পেয়ে জয়লাভ করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আফাজ উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন পেলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত জয়ী হন রেজাউল হক চৌধুরী। এরপর বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এখানে সাবেক ও বর্তমান দুই এমপি ছাড়াও প্রায় ১৬ জন নেতাকর্মী মনোনয়ন কিনেছেন। তারাও নির্বাচনে নৌকা প্রতীক চান। এখানে বর্তমান ও সাবেক এমপির কাউকে মনোনয়ন দিলে জিতে আসা কঠিন হবে বলে মনে করেন সবাই। এর বাইরে আর যারা মনোনয়ন কিনেছেন তাদের এলাকায় তেমন কোনো জনসমর্থন নেই বললেই চলে।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল। নেতাকর্মীরা তিন ভাগে বিভক্ত। এসব নেতাদের একজন মনোনয়ন পেলে বাকিরা বেঁকে বসবে। তাই এমন কাউকে খোঁজা হচ্ছে যাকে মনোনয়ন দিলে সবাই তার পক্ষে মাঠে নামবে এবং জিতে আসা সহজ হবে। সেক্ষেত্রে রশিদুল আলমের বিকল্প কেউ নেই বলে মনে করছেন সবাই। তাকে মনোনয়ন দিলে সব বিরোধ মিটে যাবে। অবশ্য এর আগে মাহবুব উল আলম হানিফ কুষ্টিয়া-১ থেকে নির্বাচন করার জন্য মাঠে নামলে সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদের লোকজন হামলা করে। সে বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে এবার। তবে দলীয় নেত্রী সবাইকে নিয়ে বসে ঠিক করে দিলে কোনো ঝামেলা থাকবে না।

দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন রিমন জানান, কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসন থেকে এখন পর্যন্ত ১৬ জন মনোনয়ন কিনেছেন। তিনি নিজেও কিনে জমা দিয়েছেন।

রশিদুল আলমের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। দলের জন্য অনেক পরিশ্রম করছেন। তাকে যদি নেত্রী মনোনয়ন দেয়, সবাই একজোট হয়ে মাঠে নামবে। এতে সন্দেহ নেই।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, ‘মনোনয়নপত্র কিনছেন অনেকেই। নৌকা নিয়ে যে জয়লাভ করতে পারবে, এমন নেতারাই মনোনয়ন পাবেন বলে আমরা ধারণা করছি। আর বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করার সুযোগও কাউকে দেয়া হবে না।’

   

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপ

১শ ১৬ জন কোটিপতির প্রার্থীর লড়াই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ১শ ৫৭টি উপজেলায় ১শ ১৬ জন কোটিপতি প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়াই করছেন বলে জানিয়েছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় টিআইবি।

টিআইবি জানায়, উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১শ ৫৭টি উপজেলায় একহাজার ৮শ ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে ১শ ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন কোটিপতি, যা আগের নির্বাচনের তুলনায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন, ১শ ৫ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছে আটজন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোটিপতির সংখ্যা তিনজন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোটিপতি সম্পদের তালিকার শীর্ষে আছেন নোয়াখালীর সেনবাগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম মানিক। তার অস্থাবর সম্পদ মোট ৮৪ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ধামরাইয়ের সুধীর চৌধুরী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ৩৫ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে আছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ২২ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা।

ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এইক্ষেত্রে দেখা যায়, অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে, স্ত্রীর সাড়ে ১১ হাজার ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার চারশত শতাংশ।

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;