নির্বাচনী জোটে ‘উইনেবল’ প্রার্থীর খোঁজে আ.লীগ



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নির্বাচনী জোটে ‘উইনেবল’ প্রার্থীর খোঁজে আ.লীগ। ছবি: বার্তা২৪.কম

নির্বাচনী জোটে ‘উইনেবল’ প্রার্থীর খোঁজে আ.লীগ। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা শেষ। ভোট ৩০ ডিসেম্বর। তফসিল ঘোষণার পর থেকে দেশে বইছে ভোটের হাওয়া। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট, জাতীয় পার্টি, যুক্তফ্রন্ট, বিএনপি, ঐক্যফ্রন্টসহ নির্বাচনমুখী দলগুলো তাদের প্রার্থী নির্ধারণে ব্যস্ত।

এ লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের মিত্ররা ইতোমধ্যেই নিজেদের মধ্যে দর-কষাকষি করছে। ভোটের ফলাফলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে প্রার্থী নির্ধারণে সর্বোচ্চ সতর্ক আওয়ামী লীগ। জোটের প্রার্থীদের ‘আমলনামা’ বিশ্লেষণ করে তারপর চূড়ান্ত মনোনয়ন দিতে চান তারা।

আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোটগত ও আসন সমঝোতা এই দুই প্রক্রিয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে চায়। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল জোটগতভাবে ভোট করবে, বেশির ভাগের প্রতীক হবে নৌকা। আর জাতীয় পার্টি, যুক্তফ্রন্টসহ তাদের অন্য মিত্রদের সঙ্গে হবে আসন সমঝোতা, তারা চাইলে নিজস্ব প্রতীকে ভোট করবে। আওয়ামী লীগ সাপোর্ট দেবে। যেকোনো সংসদীয় আসনে জয়ের জন্য ‘ইলেকটেবল’/ ‘সিলেক্টেবল’ ও ‘উইনেবল (জয়ী হতে পারেন এমন)’ প্রার্থী যদি জোটের মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে তাকেই মনোনয়ন দিতে চান তারা। এতে আওয়ামী লীগের নিজস্ব প্রার্থীদের কপাল পুড়লেও সেটা মেনে নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনকে বেশ গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। বিশেষ করে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিএনপি এবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ভোটে জয়ের ক্ষেত্রে দারুণ চ্যালেঞ্জ অনুভব করছে ক্ষমতাসীরা। তাই প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি রাখতে চান না তারা।

প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি জরিপের ফলাফল মূল্যায়ন করে প্রার্থী নির্ধারণ করছেন। ইতোমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ জনের নৌকার মনোনয়ন নিশ্চিত করে তাদেরকে ভোটের জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হয়েছে। ৬০ থেকে ৭০ জনের ওই তালিকায় অনেক আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী যেমন বাদ পড়েছেন তেমনি কপাল খুলছে অপেক্ষাকৃত তরুণদের।

সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ছয়টি পৃথক জরিপ করিয়েছেন। এসব জরিপে আওয়ামী লীগ, ১৪-দলীয় জোট, মিত্র ও বিরোধী জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের কার কী অবস্থান, তা উঠে এসেছে। শরিক ও মিত্রদের ইতোমধ্যে নিজ নিজ দলের ‘উইনেবল’ প্রার্থী কারা, সেই তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। এই তালিকার সঙ্গে জরিপ মিলিয়ে তারপরই আসন ছাড় দেওয়া হবে।

জানা গেছে, নির্বাচনী শরিকদের কথা চিন্তা করে ৭০/৮০টি আসন ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করছে ক্ষমতাসীনরা। বিশেষ করে মিত্র জাতীয়পার্টির জন্য বেশি সংখ্যক আসন ছাড় দিতে রাজি আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। যদিও সে সংখ্যাটি নিয়ে দেন-দরবার চলছে। শুধু তাই নয় জয়ী হয়ে আসার সামর্থ্য থাকলে ছোট দলের বড় নেতাকেও আসন ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা আছে আওয়ামী লীগের।

তবে আওয়ামী লীগ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের শরিক ও মিত্রদের সঙ্গে আসন নিয়ে আলোচনা শুরু করেনি। ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ বা যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকৃত চাহিদা কী, তা বোঝার চেষ্টা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে দুই একদিনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনে নিজ দলের প্রার্থীতালিকা তৈরি করবে। এরপর জোটের শরিক ও মিত্রদের সঙ্গে আসন নিয়ে সমঝোতায় বসবে।

এদিকে দ্রুত আসন বণ্টন চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। শনিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোববারের মধ্যে আওয়ামী লীগ তার ৩০০ আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের জোটের প্রার্থিতাও নিশ্চিত করা হবে। ম‌নোনয়ন চূড়ান্তের পর আওয়ামী লীগ জোটের প্রার্থীর জন্য প্রয়োজ‌নে আসন ছে‌ড়ে দে‌বে। তবে সে প্রার্থীকে হতে হবে ‘উইনেবল’/ ইলেকটেবল।’

   

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;