আচরণ বিধি মানছে না কেউ, প্রচারণা সামগ্রী সরাচ্ছে সিটি করপোরেশন



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ থেকেই নিজেদের মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে রাখতে এলাকায় পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে ফেলেন বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তফসিল ঘোষণার পর একদফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় পেছানো হয়েছে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নির্বাচনী আচরণ বিধি না মেনে এসব প্রচারণা চালাচ্ছেন। সময় বেধে দেওয়ার পরও তারা এগুলো অপসারণ করেননি। এজন্য বাধ্য হয়েই নির্বাচনী প্রচারণা সামগ্রী সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

জানা গেছে, গত ১৮ নভেম্বর রাত ১২ টার মধ্যে বিভিন্ন এলাকার অবৈধ নির্বাচনী প্রচারণা সামগ্রী সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেয় নির্বানচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু ওই সময় সীমার মধ্যে কেউ ইসির নির্দেশনা পালন করেনি। শেষমেশ বাধ্য হয়ে দুই সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কর্মীদের দিয়ে এসব অবৈধ প্রচারণা সামগ্রী সরাচ্ছে ইসি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/20/1542703880469.jpg

সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ক্ষত্রেই নির্বাচনী আচরণ বিধিকে তোয়াক্কা না করার প্রবণতা সব থেকে বেশি। রাজধানীতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ও দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কার্যালয়ের সামনে এখনো অবৈধ প্রচারণার পোস্টার-ফেস্টুন দেখা যায়। অন্যদিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ের সামনের রাস্তাও দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের  অবৈধ প্রচারণার পোস্টার-ফেস্টুন এখনো দেখা গেছে।

যদিও ইসির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বেশিরভাগ অবৈধ প্রচারণার সামগ্রী সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এর প্রমাণ রাজধানীতে দেখা মেলেনি। দৃশ্যমান কিছু কিছু জায়গায় অবৈধ প্রচারণার সামগ্রী সরিয়ে ফেলা হলেও অলি-গলিতে এখনো রয়ে গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/20/1542703710211.jpg

সোমবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তান পুরানা পল্টন, আজিমপুর, খিলগাঁও, মতিঝিল ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে দুই সিটি করপোরেশোনে ছোট ছোট কয়েকটি দল একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অবৈধ প্রচারণা সামগ্রী সরাচ্ছেন। কিন্তু কোথাও কোনো দলীয় লোকজনকে দেখে যায়নি নির্বাচনী আচরণ বিধিকে সম্মান দেখিয়ে অবৈধ প্রচারণা সামগ্রী সরাতে। তারা যেমন ইসির বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রচারণা সামগ্রী সরায়নি, তেমনি সময় শেষ হওয়ার পরেও তাদের দেখা মেলেনি। এক কথায় নির্বাচনী আচরণ বিধিকে তারা বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাচ্ছে। 

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা-কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যারা তফসিলের আগের প্রচারণা সামগ্রী লাগিয়েছে তারা এখন নানা কাজে ব্যস্ত। এদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন যে দলীয় মনোনয়ন পাবেন না এবং যারা মনে করছেন মনোনয়ন পাবেন তারা নতুন প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত। তাই এসব সামগ্রী সরানোর বিষয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই।

অন্যদিকে দেখা গেছে, দৃশ্যমান কিছু জায়গায় থেকে অবৈধ প্রচারণার সামগ্রী সরিয়ে দায় সারার চেষ্টা করছে ইসি। সরেজমিনে দেখা গেছে, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অনেক সময় সিটি করপোরেশোনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মীদের দিয়ে আবার অনেক সময় রাস্তায় পাশে থাকা রিকশা চালক বা ছিন্নমূল মানুষদের দিয়ে এসব অবৈধ প্রচারণা সামগ্রীর সরানোর দায় সারা কাজ করছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/20/1542703859481.jpg

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিফাত ফেরদৌসের নেতৃত্বে কয়েকজন ছিন্নমূল মানুষকে অবৈধ পোস্টার-ফেস্টুন সরাতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মো. রিফাত ফেরদৌস বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘কয়েকটি জায়গা থেকে তিনি এসব প্রচারণা সামগ্রী সরিয়েছেন।’

ছিন্নমূল মানুষদের দিয়ে কেন এসব সরানো হচ্ছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

এদিকে এসব অবৈধ প্রচারণার সামগ্রীর বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, প্রচার উপকরণ অপসারণের সময়সীমা ছিল গত বুধবার  দিবাগত রাত ১২টা পর্যস্ত। কমিশন খোঁজ নিয়েছে, ৯০ শতাংশ উপকরণ সরানো হয়েছে। যেগুলো সরানো হয়নি, সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

   

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;