নির্বাচনের মাঠ এখনও অসমতল: বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নির্বাচন কমিশনে বিএনপির প্রতিনিধি দল/ ছবি: বার্তা২৪

নির্বাচন কমিশনে বিএনপির প্রতিনিধি দল/ ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনের মাঠ এখনও অসমতল দাবি করেছে বিএনপি। দলটির যুগ্ন মহাসচিব মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, নির্বাচনের মাঠটি এখনও প্রচন্ড অসতল। আমরা নিবাচনের অংশগ্রহণ করার প্রতিজ্ঞা করেছি সেটা ভঙ্গ করে সেখান থেকে আমাদের সরে যেতে বাধ্য করার মতো উপাদান যেনে খুব তড়িঘরি তৈরি করা হয়েছি।

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে দলটির পক্ষ থেকে সরকারের ডিসি, এসপি, পুলিশসহ প্রশাসনের প্রায় ৭০ জনকেকে দায়িত্ব থেকে অপসারনের দাবি সম্বলিত চিঠি ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদের কাছে দেয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দল। পরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,  নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘনে সরকারের এবং কোনো কোন ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উনাদের কাছে কিছু দালিলিক উপস্থাপন করেছি। প্রমানাদিসহ  নির্বাচনি তফিসিল ঘোষণার পর সরকার কিংবা নির্বাচনী কোনো কর্মকর্তা যে কাজগুলো করতে পারেন না সেই কাজগুলো অনবরত করা হচ্ছে। তার কয়েকটি উদাহরণ আমরা উনাদের সামনে তুলে ধরেছি এবং এগুলোর প্রতিকার চেয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে  এসব না ঘটে আর যারা এসব করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। তার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ হচ্ছে সবার জন্য সমান সুযোগ সুষ্টির যে প্রতিবন্ধকতা যেগুলো বড় আকারে আমাদের চোখে পড়ছে সেগুলো তুলে ধরেছি।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ছেলে একজন এমপি প্রার্থী। তিনি বঙ্গভবনে তার নির্বাচনী এলাকার লোকজন নিয়ে সেখানে বসে নির্বাচনী কাজ করছেন। তাদের আদর আপ্যায়ন করা হয়েছে। যেটি প্রভাব বিস্তারের অন্যতম উদাহরণ।

আলাল বলেন, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব , চট্টগ্রাম বিভাগের রিটার্নিং কর্মকর্তা এদের সঙ্গে সব রির্টানিং কর্মকর্তারা পুলিশ সুপারদের নিয়ে রুদ্ধদার বৈঠক করেন। ১৬ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের বিভাগীয় কমিশনার ও রির্টানিং কর্মকর্তা তার এলাকার অন্য রিটার্নি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। এটিা নির্বাচন আচরণ বিধির ৭৩ এর ২ বি, ৭৭ এর ১/ই এবং আরপিও এর লঙ্ঘন।

এনটিএমসি ও বিটিআরসির দলকানা কর্মকর্তারা গুলশানে তারেক রহমানের কথোপথন বন্ধ করে রেখেছেন। এখনও সেখানে ইন্টারনেন্ট বন্ধ। এটিও নির্বাচনী আচরণ বিধির লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, গ্রেফতার এখনও চলছে ব্যাপক হারে। গতকাল রাতেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাড়াও মনোনয়ন বোর্ডে রয়েছেন এমন নেতা রয়েছেন। এছাড়া পোষ্টার বিলবোর্ড সরানোর যে সময়সীমা দেয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে এখনও পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ঢাকা শহরে এখনও অসংখ্য নৌকা প্রতীকের বিলবোর্ড পোষ্টার রয়েছে। এমনকি সিটি করপোরেশনসহ এই সরকারের বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচারের নামে নৌকা প্রতীকের প্রচার করছেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশের বিশেষ শাখা রির্পোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ বার বার তাদের সাথে যোগযোগ করে জানতে চাচ্ছে কে কোন দল করেন। এই তৎপরতা এখনও গণহারে চলছে।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, খুলনার হরিণঘাটায় কিছু দালিলিক তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। সেখানে নির্বাচন কর্মকর্তারদের নামের তালিকার নামের পাশে লেখা হয়েছে কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি আর জামায়াত করে। তারা যে চিঠি আদান প্রদান করেছেন তার কপি আমাদের কাছে আছে। মুল কথা হচ্ছে মাঠটি প্রচন্ত রকমের অসমতল। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বাধ্যকরার মত সকল উপাদান কেন যানি তড়িঘড়ি করে করা হচ্ছে। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে আবারও দাবি জানাই মাঠ সমতল করার ক্ষেত্রে গ্রেফতার বন্ধ করা। দল কানা কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয়া। অতিউৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। পুলিশকে নিরপেক্ষ আচরণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন যাতে নির্দেশনা দেয়।

সকালে সিইসি একটি বিশেষ বৈঠক করেছে যেখানে সিইসি আহ্বান করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা যাতে  বাড়ি বাড়ি গিযে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের হয়রানি না করেন- এই নির্দেশনায় আপনারা আস্থা রাখতে পারছেন কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দেখছি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। এটি তো অনুরোধ বা অনুনয়। কিন্তু উনার তো নির্দেশ দেয়ার কথা। উনি নির্দেশনা দিবেন। সেই ক্ষমতা তার রয়েছে। সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন আমরা চাই।

প্রশাসনে দলবাজ লোক রয়েছে-বিএনপির কাছে এর তালিকা আছে কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি বড় তালিকা আমরা নিয়েছি। তাদের নাম পদবি এবং বর্তমান কর্মস্থল উল্লেখ করে আমরা নির্বাচন কমিশনকে আজকে দিয়েছি।

এই তালিকায় কোন লেভেলের কতজন আছেন- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর মধ্যে পুলিশ সুপার আছে, বিশেষ শাখার পুলিশ কর্মকর্তারা আছেন, ডিআইজি সাহেবরা আছেন, এডিশনাল ডিআইজি কর্মকর্তারা আছে এবং এআইজি সাহেবরাও আছেন।

সাংবাদিকরা এসময় সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সংখ্যা ষাটের ঊর্ধ্বে আছেন। তবে আমরা পুরো চিত্রটি পাইনি।

   

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;