নির্বাচনে বড় বাজেট চায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আইন-শঙ্খলা বাহিনীর বৈঠক/ছবি: সুমন শেখ

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আইন-শঙ্খলা বাহিনীর বৈঠক/ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, এপিবিএনসহ বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। বিগত সময়ের তুলনায় বাড়তি লোকবল নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় বড় বাজেট চায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক খসড়া বাজেটে ৪শ' ১০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রাখা হলেও পুলিশ বাহিনী ৪২৪ কোটি ও আনসার বাহিনী ৪৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। সার্বিক হিসাব অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চায়।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বাজেট বরাদ্দের বিষয়ে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের আগে ও পরে মোট সাতদিন দায়িত্ব পালনের বিষয়টি তুলে ধরে প্রায় ৪২৪ কোটি টাকা দাবি করেছে পুলিশ বাহিনী। এ ছাড়া আনসার বাহিনী ৪৪৩ কোটি, বার্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৭০ কোটি, কোস্ট গার্ড ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। বৈঠকে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বৈঠকে বসবে কমিশন। সেখানে বাজেট চূড়ান্ত হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে পুলিশ চারদিন থাকলেও এবার সাত দিন থাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যরা নির্বাচনের সময়ে থাকবেন চারদিন, মোতায়েনের পূর্বে দুইদিন ও প্রত্যাগমনের জন্য একদিন এই মোট সাত দিন ধরে ৪২৪ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। তবে কমিশনের প্রাথমিক বাজেটে ১২০ কোটি টাকা ধরা হলেও, পরে এ বাহিনীর জন্য বরাদ্দ দেড়শ কোটি টাকার কিছু বেশি রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্বাচনে পুলিশের ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৭জন মোতায়েন থাকবেন। এর মধ্যে এসপি থেকে তদুর্ধ্ব কর্মকর্তা ৩৪৯ জন রয়েছেন। পুলিশের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের অর্ধেক নির্বাচনের আগে ও বাকি অর্ধেক অর্থ নির্বাচনের পরে দেওয়া হবে।

আর আনসার সদস্যদের জন্য প্রায় দুইশ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু তারা এর দ্বিগুণ অর্থ বরাদ্দ চায়। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, ভোটের মাঠে তাদের ছয়দিন থাকতে হবে। তাদের যে ভাতার হার নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য তারা তার দ্বিগুণ অর্থ দাবি করছে। তাদের জন্য দুইশ কোটি টাকা দেওয়ার জন্য কমিশনের প্রাথমিক বাজেটে রাখা হলেও তারা চাইছে ৪৪৩ কোটি টাকা। কমিশন তাদের ছয়দিনের টাকাই দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে তাদের জন্য বরাদ্দ দুইশ কোটি টাকাই থাকছে। তাদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকার সম্পূর্ণ অর্থই আগাম পরিশোধ করা হবে।

অন্যদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কমিশনের কাছে ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। এর আগে কমিশনের কাছে দেওয়া এক চিঠিতে তারা ৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। কিন্তু আজকের বৈঠকে তা বেড়ে ৭০ কোটিতে উঠে আসে। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের জন্য ৩০ কোটি টাকা বাজেট রাখা হয়েছে। আলোচনা সাপেক্ষে তা বেড়ে ৩৫ কোটি টাকা হতে পারে। তাদের জন্য বরাদ্দের অর্ধেক টাকা আগাম পরিশোধ করা হবে। বাকি টাকা নির্বাচনের পর সমন্বয় করা হবে।

এ ছাড়া নির্বাচনে কোস্টগার্ডের সদস্যরা কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখারীসহ উপকূলীয় এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। তারাও মাঠে সাতদিন অবস্থান করবেন। এ বাহিনীর জন্য কমিশন ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। আজকের বৈঠকে তারা কিছু দাবি-দাওয়া রেখেছে। তবে কমিশন তাদের অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে সম্মত নয় বলে জানা গেছে। তারাও নির্বাচনের পূর্বে বরাদ্দকৃত অর্থের অর্ধেক এবং নির্বাচনের পরে বাকি অর্ধেক অর্থ পাবেন।

আর সশস্ত্র বাহিনীর জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দের পরিমাণ বাড়বে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর বৈঠকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করবে। কমিশন সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী কতদিন মোতায়েন থাকবে সে বিষয়ের ওপর বরাদ্দ নির্ভর করবে।

এদিকে আজকের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, বিগত নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭ কিছু বেশি। কিন্তু নির্বাচন হয়েছে ১৮ হাজার ২০৮ কেন্দ্রে। বাকি নির্বাচনী আসনে একক প্রার্থী জয়ী হওয়া ভোটের প্রয়োজন হয়নি। ফলে বাড়তি লোকবল প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু এবার ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। হিসেব অনুযায়ী এবার ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা দিগুণের চেয়েও বেশি। ফলে দিগুণ জনবল প্রয়োজন। এ ছাড়া বিগত নির্বাচনের তুলনায় এবার ভাতার পরিমাণ বেড়েছে। তাই বিগত সময়ের হিসেব অনুযায়ী বরাদ্দ দিলে সেটি বন্টনে সমস্যা হবে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে সশস্ত্রবাহিনীর জন্য ৫৭ কোটি ২৬ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪০ টাকা। পুলিশের জন্য ৫৯ কোটি ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৭৯ টাকা, বিজিবির জন্য ১৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩৫ টাকা, আনসার বাহিনীর জন্য ৬৩ কোটি ২১ লাখ ৯৯ হাজার ৩০২ টাকা বরাদ্দ ছিল।

এবারই প্রথমবারের মতো ভোটকেন্দ্রের পাহারায় নির্বাচনে নামানো হচ্ছে গ্রাম পুলিশ (দফাদার ও চৌকিদার) তারা মাঠে থাকবেন দুই দিনের জন্য। ভোটের মাঠে দুই দিন দায়িত্ব পালন করবেন প্রায় ৪৫ হাজার গ্রাম পুলিশ। দুই দিনে তাদের জনপ্রতি এক হাজার টাকা ভাতা দেয়া হবে।

এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাদের কত বাজেট সেটা জানতে চেয়েছি। আমার এবার আনসার বাহিনীকে শতভাগ অগ্রীম বরাদ্দ দিবো। আর অন্যান্য বাহিনীকে বাজেটের ৫০ শতাংশ অগ্রীম বরাদ্দ দেওয়া হবে। বাকি টাকা পরবর্তীতে সমন্বয় করা হবে। এবার গ্রাম পুলিশকেও নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করা হবে বলেও জানান তিনি।

তফসিল অনুসারে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১০ ডিসেম্বর।

   

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;