বিএনপি কার্যালয়ের তালা খুলল ১০ বছর পর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি কার্যালয়ের তালা খুলল ১০ বছর পর। ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপি কার্যালয়ের তালা খুলল ১০ বছর পর। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কচুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁদপুর-১ আসন। এই নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগ কোণঠাসা, আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বিএনপি কোণঠাসা অবস্থায় থাকে। এ কারণে গত ১০ বছর এখানে কোণঠাসা অবস্থায় ছিল বিএনপি।

তবে দশ বছর পর গত দুইদিন আগে কচুয়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়টির তালা খোলা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশে অফিসটি খুলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। কচুয়া পৌর বাজারের প্রধান সড়কে উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল ও অঙ্গ-সংগঠনের প্রধান এ কার্যালয়টি অবস্থিত।

দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, বিগত ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির অফিসটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখন অফিসটি চালু করায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।

কচুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হুমায়ন কবির বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। তাই দলীয় কার্যালয়টি খোলা হয়েছে। এতো দিন কার্যালয়ের বাইরে দলীয় কার্যক্রম ও কর্মসূচি পালন করেছি। এখন থেকে কার্যালয়টি ব্যবহার করে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসাহ দেয়া যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই আসনে এখনো বিএনপির দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী নিশ্চিত হয়নি। তিনজন মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে। দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তার পক্ষে ধানের শীষ প্রতীকে কাজ করব।’

উল্লেখ্য, চাঁদপুর-১ (কচুয়া) নির্বাচনী আসনে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ.ন.ম এহসানুল হক মিলন, তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী ও প্রবাসী বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন।

এদের মধ্যে এই আসনে কে হচ্ছেন ধানের শীষের প্রার্থী তা চূড়ান্তভাবে জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

   

সিলেটে শপথ নিলেন ১১ উপজেলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত সিলেট বিভাগের ১১টি উপজেলার নির্বাচিত ১১ জন জনপ্রতিনিধি শপথ গ্রহণ করেছেন।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের হলরুমে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান শপথ গ্রহণ করেন। শপথবাক্য পাঠ করান সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি।

৯ মে সিলেট বিভাগের চারটি জেলার মধ্যে ১১টি উপজেলায় প্রথম ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার যারা শপথ নিয়েছেন, তারা হলেন- সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সুজাত আলী রফিক, ভাইস চেয়ারম্যান মো.সাইফুল ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান হাছিনা।

দক্ষিণ সুরমায় চেয়ারম্যান মো. বদরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান আইরিন রহমান কলি।

বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা মুহিবুর রহমান সুইট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান করিমা বেগম।

গোলাপগঞ্জে চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম, ভাইস চেয়ারম্যান মো.নাবেদ হোসেন ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) সেলিনা আক্তার শীলা।

দিরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম মুনসুর সুদীপ ও ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) ছবি বেগম।

শাল্লা উপজেলায় চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস, ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম চৌধুরী অপু ও ভাইস চেয়ারম্যান শর্বরী মজুমদার।

জুড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মণি, ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ (জুয়েল রানা) ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী বেগম।

বড়লেখায় চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম।

কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, ভাইস চেয়ারম্যান রাজ কুমার কালোয়ার, নারী ভাইস চেয়ারম্যান নেহার বেগম।

আজমিরীগঞ্জে চেয়ারম্যান মো.আলাউদ্দিন মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মিলোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) মাহমুদা আক্তার রেপা।

বানিয়াচংয়ে চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফ হুসেন খান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা আক্তার বিউটি।

;

চেয়ারম্যান প্রার্থী ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
চেয়ারম্যান প্রার্থী ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন

চেয়ারম্যান প্রার্থী ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে এক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারই আপন দুই ভাই।

রোববার (২৬ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী জাহেদুল হকের বিরুদ্ধে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তার দুই ভাই মুহাম্মদ ছাইদুল হক ও মোহাম্মদ নেছারুল হক। এতে তারা অভিযোগ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ভাই তাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মুহাম্মদ ছাইদুল হক ও মোহাম্মদ নেছারুল হক বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুই ভাইয়ের সম্পদ লুট করেন, জায়গা-সম্পত্তি দখল করেন তিনি কীভাবে উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের সম্পদ ও জনগণের জানমাল রক্ষা করবেন?’

জাহেদুল হক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধার ফল জনগণ পাবেন কিনা সেটি নিয়ে সন্দিহান দুই ভাই। তারা বলেন, ‘আমরা তার কাছ থেকে জনগণ সেবা পাবেন কিনা সেটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান ও আশঙ্কায় রয়েছি। বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা গ্রামে ১৯৮২ সালে আমাদের পিতা মরহুম নুরুল হক সওদাগর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমিনিয়া-ফোরকিয়া নুরিয়া এতিমখানা ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা এবং কমর আলী সওদাগর নামে জামে মসজিদ। ২০১৬ সালে মাদ্রাসাটির ব্যয়ভার বহনের জন্য নগদ সাড়ে সাত কোটি টাকা জমা থাকলেও বর্তমানে সেই টাকা জাহেদুল হকসহ কয়েক জন কুক্ষিগত করে রেখেছেন।’

ভাইয়ের বিরুদ্ধে বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জানিয়ে মুহাম্মদ ছাইদুল হক ও মোহাম্মদ নেছারুল হক বলেন, ‘আগামী ২৯শে মে অনুষ্ঠেয় বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আমাদের পরিবারেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে আমরা পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে বোয়ালখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।’

তবে দুই ভাইয়ের অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহেদুল হকের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

;

ইসির অফিসারের বিরুদ্ধে বিতর্কিতদের প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্রিসাইডিং ও সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বি এক প্রার্থী।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (আনারস প্রতীক)।

অভিযোগে তিনি বলেছেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের নির্দেশ দিলেও বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিংড়ি প্রতীকের আবু তাহের হাওলাদারের সহিত সখ্যতার মাধ্যমে তার মনোনীত প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন।

তারা হলেন, বিশ্বজিৎ মন্ডল, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মোংলা, পুষ্পজিৎ মন্ডল, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, মোংলা, বাগেরহাট, আ, ই, শ, ম বাকী বিল্লাহ, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মোংলা, শেখ আনোয়ার হোসেন, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মোংলা, মো. কামাল উদ্দিন, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মোংলা, মনোজ কান্তি বিশ্বাস, প্রভাষক, মোংলা সরকারি কলেজ, মোংলা, মো. জাফর রানা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার, মোংলা, মিলন ফকির, সহকারী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, মোংলা উপ-বিভাগ, গুরুদাস বিশ্বাস, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, মোংলা, সোহান আহম্মেদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, মোংলা, নির্বাচনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা সকলেই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চিংড়ি মাছ প্রতীকের নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ওই সকল কর্মকর্তাদের দিয়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন একতরফা নির্বাচনের নকশা তৈরী করছেন। সাবেক মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সরোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে মোংলা সরকারি কলেজ ও বঙ্গবন্ধু মহিলা সরকারি কলেজর প্রভাষকগণ সরাসরি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনের সাথে জড়িত। তাই উক্ত নির্বাচনে উক্ত কলেজ দুটি'র প্রভাষকগণকে নির্বাচনি দায়িত্ব দিলে তারা পক্ষপাতিত্ব মূলক নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবেন।

অভিযোগে বলা হয়, মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রায় ৬ মাস পূর্বে মোংলা হতে বদলির আদেশ প্রাপ্ত হন। উক্ত বদলির আদেশ স্থগিত করে উপজেলা নির্বাচনে কারচুপি করার পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু তাহের হাওলাদার উপর মহলে তদবীর করে উক্ত নির্বাচন কর্মকর্তাকে মোংলাতে বহাল রেখেছেন। যে কারণে উক্ত নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন সর্বাত্মকভাবে আবু তাহের হাওলাদারের পক্ষপাতিত্ব করবেন এটাই স্বাভাবিক, যা তদন্তে পাওয়া যাবে।

এই অবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এ বিষয়ে সিইসির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

;

ফেনী সদর উপজেলায় নির্বাচনী আমেজ, প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ৩য় ধাপে আগামী ২৯ মে ফেনীর ৩টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলা। এরমধ্যে সব থেকে বেশি উৎসবমুখর পরিবেশ রয়েছে ফেনী সদর উপজেলায়। নির্বাচনে অন্যকোনো হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকলেও নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল। পাশাপাশি প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোর্শেদা আক্তার।

ফেনী সদরে নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে দোয়াত-কলম, টিউবওয়েল ও কলস মার্কার পোস্টার-ব্যানারে শহর থেকে গ্রামের প্রতিটি অলিগলি ছেয়ে গেছে। ব্যানার-পোস্টারের পাশাপাশি প্রচারের তোড়জোড়ে পাড়া-মহল্লায় চলছে নির্বাচনী মাইকিং। তবে অন্য কোনো প্রার্থীর তেমন কোনো প্রচারণা লক্ষ্যে করা যায়নি।

নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে

প্রচারণার মাঠে বর্তমান চেয়ারম্যানের দোয়াত-কলম ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর কার্যক্রম তেমন দেখা যায়নি। শহরের অধিকাংশ পোস্টার ব্যানার দোয়াত-কলম প্রার্থীর৷ গুটিকয়েক পোস্টার রয়েছে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর।

নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে সদরের ১২ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডে পথসভা, বর্ধিত সভা, মহিলা সমাবেশ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী শুসেন শীল। সভা সমাবেশে সকলকে কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করে ভোট উৎসবে মেতে উঠার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার (২৪ মে) ইউনিয়ন পর্যায়ের মহিলা সমাবেশের শেষ দিনে নিজ ইউনিয়ন বালিগাঁওয়ে মহিলা সমাবেশে অংশ নেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল। এসময় বালিগাঁও ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার মহিলা সমাবেশে অংশ নেন এবং নিজেদের ইউনিয়নের সন্তানকে বিপুল ভোটে জয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হল বাহারের সভাপতিত্বে ও ফেনী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জিলা আক্তার মিমির সঞ্চালনায় মহিলা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জাহানারা বেগম সুরমা, সাধারণ সম্পাদক লায়লা জেসমিন বড়মনি, ফেনী পৌরসভা মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা হোসেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোর্শেদা আক্তার, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নূরুল আবছার আপন।

ফেনী সদর উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৩মে থেকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের ১৬ টি বর্ধিত সভা, ১২টি মহিলা সমাবেশ, পৌর এলাকায় ৬টি পথসভা এবং ফেনী শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, প্রত্যেক ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও মহল্লায় গণসংযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ফেনীতে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়, জেলার ওলামা ও মাশায়েখদের সাথে মতবিনিময়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় এবং ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করবেন তিনি।

আসন্ন ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পৌরবাসী ও সদর উপজেলার বাসিন্দাদের ভোট উৎসবে মেতে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল ও পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।

পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, শুসেন চন্দ্র শীল বালিগাঁওসহ ফেনী সদরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিতে হবে। নিজাম হাজারী যেভাবে ফেনীকে সুন্দর রেখেছেন আমাদের সে ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করতে হবে। দোয়াত-কলম, টিউবওয়েল ও কলস প্রতীককে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আমরা যেভাবে সবাই ভোট উৎসব করে নিজাম উদ্দিন হাজারীকে জয়ী করেছি, আগামী ২৯ তারিখ ও আমরা সবাই একসাথে কাজ করে আমাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে চাই।

চেয়ারম্যান প্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, জাতীয় নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২৯ তারিখ ও আমরা ভোট উৎসব করতে চাই। যে ভোটে আওয়ামী লীগের বিজয় হবে আমাদের নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর বিজয় হবে। আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত সংগঠন। দেশ গঠনে আওয়ামী লীগের অবদান সবচাইতে বেশি। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।

তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষ্যে ফেনী সদরে উৎসবের আমেজ বইছে। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে মুখিয়ে আছে। আমরা সকল ইউনিয়নে গিয়েছি, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়েছি। মহিলা সমাবেশ, বর্ধিত সভা, মতবিনিময় সভা করেছি। এতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফেনীর মানুষ ভোট উৎসবে মেতে উঠার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন সহ মোট ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। যার মধ্যে অন্যান্য প্রার্থীদের তেমন কোনো প্রচার প্রচারণা দেখা যায়নি। 

;