ঢাকা-১ আসন: জয় নির্ধারণে ‘ফ্যাক্টর’ নবাবগঞ্জ দোহারের 'ডুবা ভোট'



সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নবাবগঞ্জ থেকে: ইছামতি নদী তীরের নবাবগঞ্জ। এখানকার সাধারণ মানুষের কাছে সমস্যা রাস্তাঘাট। ঢাকা দোহার সড়কের অবস্থা ভাল না। তবে কাজ শুরু দেখে কিছুটা খুশি। উন্নয়ন ভাবনার চেয়ে তাদের কাছে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোট দেওয়ার পরিবেশ নিয়ে। নিজের পছন্দ আর মত প্রকাশের ভয় তাদের মনে। মাঠে নৌকা প্রতীকে শিল্পপতি সালমান এফ রহমান আর ধানের শীষে খন্দকার আবু আশফাককে এসব মাপকাঠিতে বিচারে ফেলবেন তারা।

তবে সালমানের চেয়ে আবু আশফাক যে জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ তার একটা নজির এখানে আছে। আশফাক দুইবারের নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান। এই চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে এবার জাতীয় নির্বাচনের এমপি হতে চান। বিপরীতে সালমান এফ রহমান একবার জাতীয় নির্বাচনে হুদার বিপরীতে পরাজিত হয়েছিলেন।

সালমানের পৈতিৃক বাড়ি দোহারে। নবাবগঞ্জ দোহার মিলিয়ে ঢাকা ১ আসন। এর মধ্যে নবাবগঞ্জের ভোট বেশি। ১৪টি ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ। আর মাত্র ৯টি ইউনিয়নের দোহার। এদিক থেকে আশরাফের 'প্লাস পয়েন্ট' ধরছেন অনেকেই।

দোহার এবং নবাবগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার ৪০৭। এরমধ্যে ২ লাখ ১৬ হাজার ৮০৫ পুরুষ ভোটার আর ২ লাখ ২৩ হাজার ৬০২ নারী ভোটার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/07/1544175498048.jpg

নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরের দুই সিএনজি স্টেশনে সাড়ে ৩০০ সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে। তোয়াফ নামে এক সিএনজি অটোরিকশা চালক বলেন, একটি সিএনজির ওপর ৪ থেকে ৫ টি পরিবার নির্ভরশীল। কিন্তু এবার কোন সিএনজি চালক নৌকায় ভোট দেবে না। তারা সবচেয়ে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন এ সরকারের সিদ্ধান্তে। সড়কে সিএনজি নিয়ে উঠতে না পারায় তাদের আয় কমে গেছে। বড় ট্রিপ এখন নাই। আর লোকাল ট্রিপ নিয়ে নিয়েছে ইজিবাইকে। এর ওপর পুলিশের চাঁদা। এসবের পর এখন তারা পরিবর্তন চান।

দোহারের আতিক চাকরি করেন সাভারে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে। সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার এলাকায় থাকেন। তার মতে, ডুবা ভোট বিএনপির বেশি।

ডুবা ভোটের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বললেন, এখন ধানের শীষের নড়াছড়া কম। সবদিকে তো নৌকার পোস্টার। কেউ ধানের শীষের নাম নিলে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। শেষকালে এই ডোবা ভোটে বিএনপি এগিয়ে যাবে।

নবাবগঞ্জ সদরের আগে কোমরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে চায়ের আড্ডায় মেতেছেন মোতালেব, অরুন , রহিম বয়াতির দল। রহিম বয়াতির সোজাসাপ্টা বলেই দিলেন, তিনি আগেও নৌকায় ভোট দিয়েছেন এবারও দেবেন। মোতলেব দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোট কেমন হবে এ নিয়ে। অরুণ চান অন্তত ভোট দেওয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ।

ঢাকা থেকে দোহারগামী যমুনা এক্সপ্রেস বাসের যাত্রী আলা উদ্দিন। তারমতে, নৌকা আবার ক্ষমতায় এলে উন্নয়নকর্মকাণ্ডগুলো শেষ হবে।  ঢাকা ১ আসনে জয় পরাজয় ঠিক করবে নবাবগঞ্জের ভোট। সেখানে বিএনপির প্রার্থী দশ বছর ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। একচেটিয়া ভোট পেতে পারেন ওই প্রার্থী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/07/1544175519456.jpg

নবাবগঞ্জের সবচেয়ে বেশি ভোট কলাকোপা ইউনিয়নে। কলাকোপার একজন পেশায় কুষক ফখরুল ইসলাম বলেন, ভোট সুষ্ঠু হলে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক এগিয়ে যাবেন। তবে এটা ভোটের কাছাকাছি সময় বোঝা যাবে।

ঢাকা-১ আসনে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম। আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীকে এখানে সালমান এফ রহমানকে প্রার্থী দিয়েছে। সালমা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। আর বিএনপির বর্তমান নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রার্থী করেছে। তিনি ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক।

আবু আশফাক এক সময় ছাত্রদলের কেন্ত্রীয় নেতা ছিলেন। ২০১০ সালে ঢাকা জেলার যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৩ সালে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৬ সালে ঢাকা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টানা দুইবারের চেয়ারম্যান তিনি।

সালমান এফ রহমান আওয়ামী লীগ সভাপতির বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। দোহার নবাবগঞ্জকে নিয়ে নগরায়নের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন এই শিল্পপতি। কয়েকটি ইউনিয়নে গিয়ে তিনি উঠান বৈঠক করেছেন।

২০০১ সালের নির্বাচনে সালমান এফ রহমান ২ হাজার ৩০০ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার কাছে। এরপর দোহারে তিনি দীর্ঘদিন যেতে পারেন নি।

২০০৬ সেনা সমর্থিত মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকারের সময় আটক হন তিনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জেল থেকে ছাড়া পান। কিছুদিন ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ততার কারণে ও রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন।

টানা ২য় বারের মতো ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় রাজনীতিতে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হন সালমান এফ রহমান। মনোনীত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উপদেষ্টা প্যানেলে। নিয়োগ পান শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনোয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে।

   

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;