৫ বছরে কোটিপতি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের ৫ জন বিদ্রোহীসহ বিভিন্ন দল থেকে ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এর মধ্যে ১৪ দল মনোনীত প্রার্থী হলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। গত ৫ বছরে তার প্রায় ১০গুণ আয় বেড়ে এখন কোটিপতি হয়েছেন তিনি। এই পাঁচ বছরে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে।

এদিকে কৌশলগত কারণে বিএনপি থেকে হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও তার স্ত্রী শাহানারা পারভীন বকুল মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অস্থাবর সম্পত্তির দিক দিয়ে সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের চেয়ে তার স্ত্রী এগিয়ে আছেন। মামলার দিক দিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তার নামে হত্যাসহ ১৬টি মামলা রয়েছে।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমানের জমি রয়েছে সবচেয়ে বেশি। তার ১৫.৫ বিঘা কৃষি জমি রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্রের হলফনামা থেকে এমন তথ্য মিলেছে।

অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ: ১৪ দল মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএলবি। তার বার্ষিক আয় ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৪৬ টাকা।

১৪ দল মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ৫ বছরে কোটিপতি হয়েছেন। এই পাঁচ বছরে তার বেড়েছে অস্থাবর সম্পদ। তার নামে এক কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৭০ টাকার অস্থাবর সম্পদ ও ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে।

অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তার নামে নগদ ৪৭ লাখ ১২ হাজার ৮৮৮ টাকা, ব্যাংকে জমা ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪০২ টাকা, ৪৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮০ টাকা মূল্যের প্যারাডো জিপ ও এক লাখ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল, ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ল্যাপটপ, টিভি, ফ্রিজ ও এসি, এক লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ২ লাখ ৬৮ হাজার টাকার পিস্তল ও পয়েন্ট ২২ রাইফেল রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নামে ১২ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি ও ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের বাড়ি রয়েছে।

অন্যদিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সময় দাখিলকৃত হলফনামায় তার নামে অস্থাবর সম্পদ ছিল এক লাখ টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল। বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সেই হিসাব মতো তার বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় ১০ গুণের বেশি।

হাবিবুল ইসলাম হাবিব: সাতক্ষীরা-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে এমএসসি পাশ। তিনি ঠিকাদার পেশায় যুক্ত আছেন। এছাড়া কৃষি খাত, বাড়ি ভাড়া ও ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ২০ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৭ টাকা। তার স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৩ টাকা।

এছাড়া তার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে নগদ ১৫ লাখ ৭১ হাজার ৮০৩ টাকা, ব্যাংকে জমা ২০ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৭ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ, ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার ট্যাংকলরি রয়েছে। তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ ৩৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৮৯ টাকা, ১৫ লাখ টাকার এফডিআর, ৮ লাখ টাকার প্রাইভেট কার, ১০ ভরি স্বর্ণ ও ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন। তার নামে হত্যা, হত্যার প্রচেষ্টা, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক দ্রব্য, মাদক, প্রতারণা, দুর্নীতি, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৬টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে সাতটির কার্যক্রম স্থগিত, পাঁচটি বিচারাধীন ও চারটি তদন্তাধীন রয়েছে।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি হাবিব ২ দশমিক সাড়ে ১১ একর কৃষি জমি, ৪৪ দশমিক ৭৫ শতক অকৃষি জমি, পৈত্রিক ভিটায় ২ তলা বাড়ি ও রাজধানীর বনানীতে ৬তলা একটি ভবনের মালিক। এছাড়া তার স্ত্রীর নামে ৮ বিঘা কৃষি জমি ও ধানমন্ডিতে একটি বাড়ি রয়েছে।

কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব বর্তমানে এক কোটি ২৪ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৭ টাকা ঋণী।

মুজিবুর রহমান: সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ৭১ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ ও ১৫.৫ বিঘা কৃষি জমিসহ ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি এসব তথ্য উল্লেখ করেন।

সাতক্ষীরা-১ আসনে এই প্রার্থী বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল)। তিনি রাজনীতি ও বিভিন্ন ফার্মে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। তার বাৎসরিক আয় ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে আয় করেন ১ লাখ ৪২ হাজার ২৮৩ টাকা, পরামর্শক হিসেবে আয় ৩৮ হাজার টাকা, সম্মানী হিসেবে আয় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, মৎস্য খামার থেকে আয় ২ লাখ ৯ হাজার ৭১৬ টাকা।

শেখ মুজিবুর রহমানের অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার ঋণপত্র, ৫৫ লাখ টাকার প্রাডো জিপ, ২২ তোলা স্বর্ণ (৪০ হাজার টাকা), ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।

এছাড়া স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তার নিজ নামে ১৫.৫ বিঘা কৃষি জমি, ৫ শতক অকৃষি জমি ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি বাড়ি রয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রীর নামে ৭ বিঘা কৃষি জমি, ৫ শতক অকৃষি জমি, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি বাড়ি রয়েছে।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সৈয়দ দীদার বখত, জাসদের শেখ মো. ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, ইসলামী আন্দোলনের এফএম আছাদুল হক, কমিউনিস্ট পার্টির আজিজুর রহমান, এনপিপির আব্দুর রশিদ।

   

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;

৩০ উপজেলায় ব্যালট যাবে ভোটের একদিন আগে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১৬ জেলার ৩০ উপজেলায় আগের দিন ৬১৫ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। অন্যান্য স্থানে ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে ৩০ উপজেলার ৬১৫টি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সাথে ভোটগ্রহণের পূর্বের দিন ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি মালামালের সাথে ব্যালট পেপার প্রেরণের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমতি প্রদান করেছেন।

সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

যেসব উপজেলায় আগের দিন ব্যালট যাবে সেগুলো হলো- কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, অষ্টগ্রাম, গাইবান্ধা সদর, শিবগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা, কুমারখালী, ভোলা সদর, দৌলতখান, মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, বাহুবল, নবীগঞ্জ, খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, বিলাইছড়ি, রাজস্থলি, কাপ্তাই, লালমনিরহাট সদর ও সুন্দরগঞ্জ।

;

১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ৬৩ জেলার ১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে অনিয়ম বন্ধে তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটরা আগামী ২১ মে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন কাজ করবে বলে জানান।

ইসির আইন শাখার উপসচিব আব্দুস সালাম এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় জানানো হয়, ইসি জানায়, ৬৩টি জেলার ১৫৭টি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের পূর্বের দু’দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দু’দিন ১৯ মে হতে ২৩ মে পর্যন্ত মোট ৫ (পাঁচ) দিনের জন্য ১৫৭ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।

ইসি জানায়, 'উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩' এর বিধি ৮৪ক- তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে নির্বাচনি অপরাধসমূহ The Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর section 190 এর sub-section (1) এর অধীন আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্ন করা হবে।

এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালনকালে এক জন বেঞ্চ সহকারী/স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটগণকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় আদালত পরিচালনার নিমিত্ত দু’জন সশস্ত্র পুলিশ নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ইসি ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ১৫৭ উপজেলার ভোট গ্রহণ আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।

;