৩০০ আসনে মহাজোটের চূড়ান্ত প্রার্থী যারা



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মহাজোটের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে লড়বেন, ছবি: সংগৃহীত

মহাজোটের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে লড়বেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে দল ও মহাজোটের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। নিজেদের জন্য ২৪৮ আসন রেখে বাকি ৫২ আসন শরিকদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছে। এর মধ্যে ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টিকে ৫টি আসন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু)-কে দেওয়া হয়েছে ৩টি ও জাসদ (আম্বিয়া)-কে ১টি আসন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এ ছাড়া জাতীয় পার্টির (জেপি মঞ্জু) ২টি, তরিকত ফেডারেশন ২টি এবং মহাজোটের শরিক যুক্তফ্রন্টকে দেওয়া হয়েছে ৩টি আসন।

মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টিকে ৩৬টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য জাতীয় পার্টি এখনও দেন-দরবার ও দর কষাকষি করছে।

মহাজোটের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, শনিবার (৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে মহাজোটের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা জমা দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যাবেন।

মহাজোটের প্রার্থী তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নবীন-প্রবীণের সম্মিলন ঘটনো হয়েছে এবারের প্রার্থী তালিকায়। অনেক প্রভাবশালী, এমপি-মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতা বাদ পড়েছেন। এর মধ্যে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও আবদুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক প্রমুখ। যারা বাদ পড়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয় কোন্দল, দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে কয়েকজন বাদ পড়েছেন বলে জানা গেছে। তবে বির্তকিত অনেকে এবারও টিকে গেছেন।

এর আগে ২৫ মে ২৩১টি আসনে ২৪৮ জনকে নৌকার চিঠি দিয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ ১৭টি আসনে ২ জন করে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার ওই আসনগুলোতে একজন করে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। এর মধ্যে বাদ পড়ার তালিকায় দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া রয়েছেন। ১৪ দলের শরিক ও যুক্তফ্রন্টসহ নিজ দলের প্রার্থীদের নামে দলীয় প্রতীক বরাদ্দের জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর চিঠি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এর বাইরে কুড়িগ্রাম-১ ও ৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পাশাপাশি নৌকার প্রার্থী আছে। কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নতুন করে (শুক্রবার) জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থীকে নৌকার চিঠি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ রকম আরও বেশকিছু আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোটের শরিকদের আসন ভাগাভাগি নিয়ে জটিলতার নিরসন হয়নি। তবে শনিবারের মধ্যে এই ঝামেলা নিরসন হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

ওয়ার্কার্স পার্টি: রাশেদ খান মেনন (ঢাকা-৮), ইয়াসিন আলী- (ঠাকুরগাঁও-৩), ফজলে হোসেন বাদশা (রাজশাহী-২), মোস্তফা লুৎফুল্লাহ (সাতক্ষীরা-১), টিপু সুলতান (বরিশাল-৩)।

জাসদ (ইনু): তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু (কুষ্টিয়া-২), শিরিন আখতার (ফেনী-১) ও রেজাউল করিম তানসেন (বগুড়া-৪)।

জাসদ (আম্বিয়া): মঈনুদ্দিন খান বাদল (চট্টগ্রাম-৮)।

যুক্তফ্রন্ট: মেজর (অব.)এমএ মান্নান (লক্ষ্মীপুর-৪), মাহি বি চৌধুরী (মুন্সিগঞ্জ-১) ও এফএম শাহীন (মৌলভীবাজার-২)।

জাতীয় পার্টি (জেপি-মঞ্জু): আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (পিরোজপুর-২) ও রুহুল আমিন (কুড়িগ্রাম-৪)।

তরিকত ফেডারেশন: সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (চট্টগ্রাম-২) ও আনোয়ার খান (লক্ষ্মীপুর-১)।

জাতীয় পার্টি: মো. শওকত চৌধুরী (নীলফামারী-৪), জি এম কাদের (লালমনিরহাট-৩), মশিউর রহমান রাঙা (রংপুর-১), হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (রংপুর-৩), ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (গাইবান্ধা-১), এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (কুড়িগ্রাম-১),পনিরউদ্দিন আহমেদ ( কুড়িগ্রাম-২ ), ড. আক্কাস আলী (কুড়িগ্রাম-৩), শরিফুল আলম জিন্নাহ (বগুড়া-২), নুরুল ইসলাম তালুকদার (বগুড়া-৩), মো. নুরুল ইসলাম ওমর ( বগুড়া-৬), মুহাম্মদ আলতাফ আলী ( বগুড়া-৭), বেগম নাসরিন জাহান রত্না (বরিশাল-৬), বেগম রওশন এরশাদ (ময়মনসিংহ-৪), সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি (ময়মনসিংহ-৫), ফখরুল ইমাম ( ময়মনসিংহ-৮), মো. মুজিবুল হক চুন্নু (কিশোরগঞ্জ-৩ ), সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (ঢাকা-৪), কাজী ফিরোজ রশীদ (ঢাকা-৬), লিয়াকত হোসেন খোকা ( নারায়ণগঞ্জ-৩), এ কে এম সেলিম ওসমান ( নারায়ণগঞ্জ-৫), পীর ফজলুর রহমান (সুনামগঞ্জ-৪), ইয়াহিয়া চৌধুরী ( সিলেট-২), সেলিম উদ্দিন (সিলেট-৫), মোহাম্মদ আবদুল মুনিম চৌধুরী (হবিগঞ্জ-১), অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), মোহাম্মদ আমির হোসেন (কুমিল্লা-২), নুরুল ইসলাম মিলন ( কুমিল্লা-৮), আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৫)।

আওয়ামী লীগ: মাজহারুল ইসলাম প্রধান (পঞ্চগড়-১), অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন (পঞ্চগড়-২), রমেশচন্দ্র সেন (ঠাকুরগাঁও-১), দবিরুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও-২), মনোরঞ্জন শীল গোপাল (দিনাজপুর-১), আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম (দিনাজপুর-৩), পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (দিনাজপুর-৫), শিবলী সাদিক (দিনাজপুর-৬), মো. আফতাব উদ্দিন সরকার (নীলফামারী-১), সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), মোতাহার হোসেন (লালমনিরহাট-১), সমজাকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২), আবুল কালাম মো. আহসানুল হক (রংপুর-২), টিপু মুনশি (রংপুর-৪), আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান (রংপুর-৫),জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী (রংপুর-৬), হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি (গাইবান্ধা-২), ডা. ইউনুস আলী সরকার (গাইবান্ধা-৩), সামসুল আলম দুদু (জয়পুরহাট-১), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), আবদুল মান্নান (বগুড়া-১), হাবিবুর রহমান (বগুড়া-৪)।

সাধনচন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক (নওগাঁ-৪) নিজাম উদ্দিন জলিল (নওগাঁ-৫), ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬), ওমর ফারুক চৌধুরী (রাজশাহী-১), প্রকৌশলী এনামুল হক (রাজশাহী-৪), শাহরিয়ার আলম (রাজশাহী-৬), সহিদুল ইসলাম বকুল (নাটোর-১), জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), মো. আবদুল কুদ্দুস (নাটোর-৪), স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম (সিরাজগঞ্জ-১), ডা. হাবিবে মিল্লাত (সিরাজগঞ্জ-২), ডা. আবদুল আজিজ (সিরাজগঞ্জ-৩), তানভির ইমাম (সিরাজগঞ্জ-৪), আবদুল মমিন মণ্ডল (সিরাজগঞ্জ-৫), হাসিবুর রহমান স্বপন (সিরাজগঞ্জ-৬), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু (পাবনা-১), আহমেদ ফিরোজ কবির (পাবনা-২), মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), শামসুর রহমান শরীফ ডিলু (পাবনা-৪), গোলাম ফারুক প্রিন্স (পাবনা-৫), ফরহাদ হোসেন দোদুল (মেহেরপুর-১), আ ক ম সারোয়ার জাহান (কুষ্টিয়া-১), আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ (কুষ্টিয়া-৩), সেলিম আফতাব জর্জ (কুষ্টিয়া-৪)।

সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন (চুয়াডাঙ্গা-১), আলী আজগার টগর (চুয়াডাঙ্গা-২), আবদুল হাই (ঝিনাইদহ-১), তাহজীব আলম সিদ্দিকী (ঝিনাইদহ-২), মো. শফিকুল আজম খান (ঝিনাইদহ-৩), আনোয়ারুল আজিম আনার (ঝিনাইদহ-৪), শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর-১), মে. জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন (যশোর-২), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর-৩), রণজিৎ কুমার রায় (যশোর-৪), স্বপন ভট্টাচার্য (যশোর-৫), জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক (যশোর-৬), সাইফুজ্জামান শিখর (মাগুরা-১), যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার (মাগুরা-২),বিএম কবিরুল হক মুক্তি (নড়াইল-১), ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা (নড়াইল-২), শেখ হেলাল উদ্দিন (বাগেরহাট-১), শেখ তন্ময় (বাগেরহাট-২), খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের স্ত্রী হাবিবুন্নাহার (বাগেরহাট-৩), মোজাম্মেল হোসেন (বাগেরহাট-৪), পঞ্চানন বিশ্বাস (খুলনা-১), শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল (খুলনা-২), মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা-৩), সাবেক ফুটবলার ও ব্যবসায়ী আবদুস সালাম মুর্শেদী (খুলনা-৪), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), আকতারুজ্জামান বাবু (খুলনা-৬), মীর মোস্তাক আহমেদ রবি (সাতক্ষীরা-২), সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক (সাতক্ষীরা-৩), এসএম জগলুল হায়দার (সাতক্ষীরা-৪)।

অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (বরগুনা-১), শওকত হাচানুর রহমান রিমন (বরগুনা-২), মো. শাহজাহান মিয়া (পটুয়াখালী-১), আ স ম ফিরোজ (পটুয়াখালী-২), এসএম শাহজাদা (পটুয়াখালী-৩), মহিব্বুর রহমান মহিব (পটুয়াখালী-৪), আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ (ভোলা-১), আলী আজম (ভোলা-২), নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন (ভোলা-৩), বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪), আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ (বরিশাল-১), শাহে আলম (বরিশাল-২), স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথ (বরিশাল-৪), কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম (বরিশাল-৫), বজলুল হক হারুন (ঝালকাঠি-১), আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠি-২), আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম (পিরোজপুর-১)।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির (টাঙ্গাইল-২), আতাউর রহমান খান (টাঙ্গাইল-৩), হাসান ইমাম খান (টাঙ্গাইল-৪), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), আহসানুল ইসলাম (টাঙ্গাইল-৬), একাব্বর হোসেন (টাঙ্গাইল-৭), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), জাহিদ আহসান রাসেল (গাজীপুর-২), ইকবাল হাসান সবুজ (গাজীপুর-৩), সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর-৫), সালমান এফ রহমান (ঢাকা-১), খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম (ঢাকা-২), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু (ঢাকা-৩), হাবিবুর রহমান মোল্লা (ঢাকা-৫), হাজী সেলিম (ঢাকা-৭), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), ফজলে নূর তাপস (ঢাকা-১০), ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ (ঢাকা-১১), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (ঢাকা-১২), ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান (ঢাকা-১৩), আসলামুল হক আসলাম (ঢাকা-১৪), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা (ঢাকা-১৬), চিত্রনায়ক ফারুক খান পাঠান (ঢাকা-১৭), সাহারা খাতুন (ঢাকা-১৮), ডা. এনামুর রহমান (ঢাকা-১৯), বেনজীর আহমেদ (ঢাকা-২০), এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয় (মানিকগঞ্জ-১), মমতাজ বেগম (মানিকগঞ্জ-২), জাহিদ মালেক স্বপন (মানিকগঞ্জ-৩), সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (মুন্সীগঞ্জ-২), অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস (মুন্সীগঞ্জ-৩), লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক (নরসিংদী-১), কামরুল আশরাফ খান (নরসিংদী-২), জহিরুল হক ভূঁইয়া (নরসিংদী-৩), অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪), রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু (নরসিংদী-৫), গোলাম দস্তগীর গাজী (নারায়ণগঞ্জ-১), নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ-২), একেএম শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪), কাজী কেরামত আলী (রাজবাড়ী-১), মো. জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২), সাবেক সচিব মঞ্জুর হোসেন (ফরিদপুর-১), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (ফরিদপুর-২), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফরিদপুর-৩), কাজী জাফরউল্লাহ (ফরিদপুর-৪), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১) ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম (গোপালগঞ্জ-২), আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (গোপালগঞ্জ-৩),নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন (মাদারীপুর-১), নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান (মাদারীপুর-২), আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ (মাদারীপুর-৩), আওয়ামী লীগের কার্যকরী সংসদের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু (শরীয়তপুর-১), আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম (শরীয়তপুর-২), নাহিম রাজ্জাক (শরীয়তপুর-৩)।

আবুল কালাম আজাদ (জামালপুর-১), মো. ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মির্জা আজম (জামালপুর-৩), ডা. মোহাম্মদ মুরাদ হাসান (জামালপুর-৪), ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন (জামালপুর-৫)। আতিউর রহমান আতিক (শেরপুর-১), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী (শেরপুর-২), একেএম ফজলুল হক চান (শেরপুর-৩)। জুয়েল আরেং (ময়মনসিংহ-১), শরীফ আহমেদ (ময়মনসিংহ-২), অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন (ময়মনসিংহ-৬), মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী (ময়মনসিংহ-৭), আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন (ময়মনসিংহ-৯), ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল (ময়মনসিংহ-১০), মানু মজুমদার (নেত্রকোনা-১), আশরাফ আলী খান খসরু (নেত্রকোনা-২), আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল (নেত্রকোনা-৩), রেবেকা মোমিন (নেত্রকোনা-৪), ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (নেত্রকোনা-৫)। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ-১), নূর মোহাম্মদ (কিশোরগঞ্জ-২), রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক (কিশোরগঞ্জ-৪), আফজাল হোসেন (কিশোরগঞ্জ-৫), নাজমুল হাসান পাপন (কিশোরগঞ্জ-৬)।

ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), জয়া সেনগুপ্তা (সুনামগঞ্জ-২), এমএ মান্নান (সুনামগঞ্জ-৩), মুহিবুর রহমান মানিক (সুনামগঞ্জ-৫), একে আবদুল মোমেন (সিলেট-১), মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী (সিলেট-৩), ইমরান আহমেদ (সিলেট-৪), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ (সিলেট-৬), মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন (মৌলভীবাজার-১), নেছার আহমেদ (মৌলভীবাজার-৩), মো. আবদুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), মো. আবদুল মজিদ খান (হবিগঞ্জ-২), মো. আবু জাহির (হবিগঞ্জ-৩), মো. মাহবুব আলী (হবিগঞ্জ-৪)।

বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১), র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), অ্যাডভোকেট আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), মো. এবাদুল করিম বুলবুল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া (কুমিল্লা-১), সেলিমা আহমাদ মেরি (কুমিল্লা-২), ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন (কুমিল্লা-৩), রাজী মোহাম্মদ ফখরুল (কুমিল্লা-৪), অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু (কুমিল্লা-৫), আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার (কুমিল্লা-৬), অধ্যাপক আলী আশরাফ (কুমিল্লা-৭), নুরুল ইসলাম মিলন (কুমিল্লা-৮), মো. তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (কুমিল্লা-১০), রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক (কুমিল্লা-১১), মহীউদ্দীন খান আলমগীর (চাঁদপুর-১), নুরুল আমিন রুহুল (চাঁদপুর-২), আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), মুহম্মদ শফিকুর রহমান (চাঁদপুর-৪), নিজামউদ্দিন হাজারী (ফেনী-২), এইচএম ইব্রাহিম (নোয়াখালী-১), মোর্শেদ আলম (নোয়াখালী-২), মো. মানুর রশিদ কিরণ (নোয়াখালী-৩), একরামুল করিম চৌধুরী (নোয়াখালী-৪)।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহাজাহান কামাল (লক্ষ্মীপুর-৩), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিয়ার মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪), এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৬), আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (চট্টগ্রাম-৯), মো. আফসারুল আমিন (চট্টগ্রাম-১০), সামশুল হক চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১২), সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (চট্টগ্রাম-১৩), নজরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৪), আবু রেজা নদভী (চট্টগ্রাম-১৫), মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৬), জাফর আলম (কক্সবাজার-১), আশেকুল্লাহ রফিক (কক্সবাজার-২), সাইমুম সারোয়ার কমল (কক্সবাজার-৩), শাহিনা আক্তার চৌধুরী (কক্সবাজার-৪), কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি), বীর বাহাদুর উ শৈ সিং (বান্দরবান), রাঙ্গামাটি দীপংকর তালুকদার।

   

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;