খাগড়াছড়িতে নৌকা আর লাঙ্গলে সরগরম



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খাগড়াছড়িতে লাঙ্গলের পোস্টার, ছবি: বার্তা২৪

খাগড়াছড়িতে লাঙ্গলের পোস্টার, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ি থেকে ফিরে: পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে এর আগে লাঙ্গল প্রতীকের এতো ঢাক-ঢোল দেখা যায়নি। যদিও স্থানীয়রা জানান, লাঙ্গলের জন্যে কখনোই খাগড়াছড়ি উর্বর ছিল না। বরং আ'লীগ-বিএনপি'র পর তৃতীয় স্থানে ইউপিডিএফ এর নাম উঠে আসে। তবে ‌একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির (জাপা) সোলায়মান আলম শেঠ। আর দৃশ্যমান কোন প্রচারণায় নেই ধানের শীষ বা অন্য প্রার্থীদের।

গত শুক্র এবং শনিবার (১৪, ১৫ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ধানের শীষের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়ার একটি প্রচারণা গাড়ি ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়েনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/17/1545040801771.gif

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) তারিখ সন্ধ্যায় নগরের সবচেয়ে ব্যস্ত বাজার রোড এবং দীঘিনালা রোডে একটি চাঁন্দের গাড়িতে ধানের শীষে ভোট চেয়ে প্রচারণা চালাতে দেখা যায়। গাড়ির ওপরে মাইক থেকে খালেদা জিয়া ও ধানের শীষ মার্কার স্লোগান ভেসে আসে। এর পেছনে একটি মাইক্রোতে দলেরই কয়েকজন নেতাকর্মী ছিলেন। কারণ মাইক্রোটির সামনে এক গুচ্ছ ধানের শীষ বেঁধে রাখা ছিল। তবে দুটি গাড়ির কোনটিতেই কোন পোস্টার বা ফেস্টুন নেই।

এদিকে পাহাড়ি অঞ্চলে যেখানে বসতি রয়েছে সেসব স্থানে প্রচারণা চোখে পড়েনি। সেসব স্থানে পোস্টারের চেয়ে প্রার্থীরা নিজেদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই প্রচার চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দীঘিনালার মুদি ব্যবসায়ী রতন ত্রিপুরা। তিনি বলেন, 'পার্বত্য জেলায় দৃশ্যমান প্রচারণাগুলো মূলত শহরমুখী।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/17/1545040821978.gif

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মাটিরাঙ্গা থেকে খাগড়াছড়ি শহরে যাওয়ার পথে নৌকার সমর্থনে একটি মোটর সাইকেল র‍্যালি দেখা যায়। র‍্যালিতে পাহাড়ি এবং বাঙালি কমিউনিটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

নগরীর শাপলা চত্বর এবং পৌরসভা এলাকায় পোস্টারের মাধ্যমে নৌকা এবং লাঙ্গল প্রতীকের ব্যাপক প্রচারণা চোখে পড়েছে। এছাড়াও কিছু ফেস্টুনও রয়েছে। বাজার রোডে ল্যাম্পপোস্টগুলো ব্যবহার করে নৌকার পোস্টার ঝুলানো হয়েছে। বেশ কয়েক স্থানে রয়েছে লাঙ্গলের পোস্টারও। গোটা শহরে বা পাহাড়ি সড়কগুলোতেও একটিও ধানের শীষের পোস্টার চোখে পড়েনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি ছাড়াও অন্য আরেক প্রার্থীর কোন প্রচারণা চোখে পড়েনি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি নির্বাচনে অন্যতম ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিপিএফ) এর নতুন কুমার চাকমারও কোন প্রচারণা চোখে পড়েনি। তবে স্থানীয়রা বলছেন, 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এই জনপদে আঞ্চলিক শক্তিটি বরাবরই তৃতীয় অবস্থান নিয়ে থাকে।'

নৌকা প্রতীক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার প্রচারণা সবচেয়ে বেশি এই অঞ্চলে। রামগড়, মাটিরাঙ্গা, দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি বাজারে নির্বাচনের যে প্রচারণা ও পোস্টার রয়েছে তার নব্বই ভাগই এই প্রার্থীর। বাজার রোডের সবগুলো ল্যাম্পপোস্টেই নৌকার প্রচারণায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৫ তারিখ সন্ধ্যায় চাঁন্দের গাড়ি, পিক-আপ এবং মোটরসাইকেলে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি রোডে একটি প্রচার দল চোখে পড়ে। গাড়ি থেকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী থিম সং এবং বিভিন্ন স্লোগান ভেসে আসছিল। এছাড়াও গাড়িটি পোস্টার এবং ফেস্টুন মোড়ানো।

এদিকে গত ১৩ ডিসেম্বর প্রচারণার সময় শহরের কদমতলি এলাকায় ধানের শীষ মার্কার প্রচারণার গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকরা। হামলায় গাড়ির কাঁচ, প্রচারণায় ব্যবহৃত মাইক ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে জেলা বিএনপি।

একই দিনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম রাসেল।

খাগড়াছড়ি আসনে পাঁচ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনে অন্য প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল জব্বার গাজীরও কোন দৃশ্যমান প্রচারণা নেই।

   

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ১৯ মে থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে

;

‘ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকা এবং ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে বাধা দিতে পারবে না।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর কারো অনাস্থা নেই। বিএনপির অনাস্থা রাজনৈতিক ইস্যু। 

;

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপ

১শ ১৬ জন কোটিপতির প্রার্থীর লড়াই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ১শ ৫৭টি উপজেলায় ১শ ১৬ জন কোটিপতি প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়াই করছেন বলে জানিয়েছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় টিআইবি।

টিআইবি জানায়, উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১শ ৫৭টি উপজেলায় একহাজার ৮শ ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে ১শ ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন কোটিপতি, যা আগের নির্বাচনের তুলনায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন, ১শ ৫ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছে আটজন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোটিপতির সংখ্যা তিনজন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোটিপতি সম্পদের তালিকার শীর্ষে আছেন নোয়াখালীর সেনবাগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম মানিক। তার অস্থাবর সম্পদ মোট ৮৪ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ধামরাইয়ের সুধীর চৌধুরী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ৩৫ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে আছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ২২ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা।

ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এইক্ষেত্রে দেখা যায়, অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে, স্ত্রীর সাড়ে ১১ হাজার ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার চারশত শতাংশ।

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;