টুকুর প্রচারণায় দিশেহারা সাইয়িদ, মাঠে নেই নিজামীপুত্র!



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
বাঁ থেকে, শামসুল হক টুকু (আ'লীগ), মুহাম্মদ নাজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র প্রার্থী), আবু সাইয়িদ (গণফোরাম), ছবি: সংগৃহীত

বাঁ থেকে, শামসুল হক টুকু (আ'লীগ), মুহাম্মদ নাজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র প্রার্থী), আবু সাইয়িদ (গণফোরাম), ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি’র জনপ্রিয়তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ছেড়ে গণফোরামে যোগদানকারী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।

আর মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপেল প্রতীক নিয়ে মাঠে নেই যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী পুত্র ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নাজিবুর রহমান।

ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ একের পর এক অভিযোগ করছেন তার নির্বাচনী প্রচারণা, গণসংযোগ আর নেতাকর্মীদের উপরে হামলা-ভাংচুর ও মারপিটের।

অন্যদিকে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নিন্দা ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি।

অন্যদিকে আপেল প্রতীক মরার উপর খাড়ার ঘাঁতে পরিণত না হয় এমনটি ভাবছেন ধানের শীষের সমর্থকরা।

এদিকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর পুত্র ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান ওরফে নাজিব মোমেন জোটগতভাবে প্রার্থী হবেন এমন আশা নিয়েই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

কিন্তু শেষ সময়ে এসে তার বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছেন গণফোরামের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরের দিন চিঠি দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য জেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট বাহক পাঠালেও সেই আবেদন খারিজ করে আপেল প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয় তাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আপেল প্রতীক বরাদ্দ পেলেও নির্বাচনী মাঠে নিরুত্তাপ তিনি। এমনকি তিনি দেশের বাইরেও অবস্থান করছেন। নির্বাচন বিষয়ে তার মতামতের জন্য রোমিং করা মুঠোফোন নাম্বারে গণমাধ্যমের একাধিক কর্মী যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

তবে দু’একজনের মুঠোফোন রিসিভ করলেও গণমাধ্যমের কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার) আসনটি সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত। সাঁথিয়া পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫৮২ ও বেড়া পৌরসহ ৫টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৫৩৪। নির্বাচন ঘিরে এ আসন বেশ আমেজপূর্ণ। তবে নৌকা প্রতীকের প্রচার প্রচারণা সব থেকে এগিয়ে। সে তুলনায় ধানের শীষের প্রচার প্রচারণা তুলনামূলক কম।

এই আসনে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের বাইরে জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) সরদার শাহজাহান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকে আব্দুল মতিন এবং আপেল প্রতীক নিয়ে নিজামী পুত্র মুহাম্মদ নাজিবুর রহমান। 

সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান বেশ শক্ত। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির পর এই আসনে জয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে জামায়াতের ভোট ব্যাংক। ভোটার সমর্থন হিসেবে বিএনপির চেয়ে এগিয়ে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত। ২০১৪ সালের নির্বাচন বাদে সর্বশেষ ৪টি সংসদ নির্বাচনে দল দু’টি জয় পায় দুইবার করে। বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের হলেও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সাঁথিয়া উপজেলার ৩টি পদই রয়েছে জামায়াতের দখলে। শক্ত অবস্থান থাকার পরও ১৯৯৬ সালের পর পাবনা-১ আসনে বিএনপির কেউ প্রার্থী হতে পারেননি। তাই জামায়াতের ভোট ব্যাংক ও দুর্গ হিসেবে এই আসনের আশা ছেড়েই দিয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তবে হাল ছাড়েননি স্থানীয় নেতারা।

তথ্য মতে, ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আবু সাইয়িদকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়া জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। ১৯৯৬ সালে জামায়াতের নিজামী ও বিএনপির মেজর (অব:) মঞ্জুর কাদেরকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। ২০০১ সালে আসন পুনরুদ্ধার করে জামায়াত। আবু সাইয়িদকে হারিয়ে জয় পান চারদলীয় জোটের প্রার্থী মাওলানা নিজামী। ২০০৮ সালে সংস্কারপন্থী হিসেবে বহিষ্কৃত হন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। ফলে নৌকার নতুন মাঝি হয়ে অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু জামায়াতের আমির নিজামীকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করে জামায়াত-বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। সেবার নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকুর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। তার করা নানা অনিয়ম কারচুপির অভিযোগের ওই নির্বাচনে জয় পান টুকু।

সচেতন নাগরিক, সাধারণ ভোটার আর বিশ্লেষকদের অভিমত, বর্তমান সাংসদ, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামসুল হক টুকু দলীয় ভাবে গড় সাফটা দলীয় ভোট পেলেও ভোটারদের ভোট বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী আবু সাইয়িদ।

তাদের মতে, এই আসনে যুদ্ধাপরাধী বিচারে অধ্যাপক আবু সাইয়িদের ভূমিকা ছিল বেশ তৎপর। অন্যদিকে বিএনপির চিরশত্রু হিসেবে খ্যাত তিনি। সবকিছু ছাপিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হলেও কট্টরপন্থী বিএনপি-জামায়াতে ভোট পাওয়া নিয়ে রয়েছে সন্দিহান।

সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হাসান আলী খান বলেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে আমরা চ্যালেঞ্জ মনে করছি না। যার তথ্য, উপাত্ত আর ডকুমেন্টারিতেই এই আসনে যুদ্ধাপরাধী জামাতের আমির নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তাই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস বিএনপির ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচন করলেও খোদ বিএনপির ভোটই সে পাবে না। সেখানে জামাতের ভোটের প্রশ্নই আসে না।

আর এ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট শিল্পপতি, বিএনপি নেতা হাজী ইউনুছ আলী বলেন, প্রার্থী বড় নয়, দল ও দলীয় প্রতীককে প্রাধান্য দিয়েই ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। এবারের নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে ধানের শীষের প্রতীকে ভোটাররা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ থেকে পিছপা হবে না।

ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ গণমাধ্যমে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় নামলে নৌকার সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমার উপর আক্রমণ করেছিল। যানবাহন ভাংচুর করেছে। মোটর সাইকেল চালকসহ ছিনতাই করে উধাও করে দিয়েছে। এ ঘটনার পরপরই আমি থানায় গিয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহিত করেছি। এ ঘটনা দুদিন পর নির্বাচনী সভা গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে নৌকার কর্মীরা ধানের শীষের কর্মীদের উপর হামলা করেছে। গাড়ী ভাংচুর করেছে। 

এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী করেন, প্রচারণা নয়, নিজামীর কবর জিয়ারত করতে গিয়ে জামায়াত নেতাকর্মীদের বাঁধার সন্মুখিন হয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নামধারী ধানের শীষের প্রার্থী। অথচ তিনি মিথ্যাচার করছেন।

টুকু বলেন, আবু সাইয়িদ আইএসআইয়ের এজেন্ট। তিনি সুবিধাবাদী মানুষ। দলের দুঃসময়ে তিনি সুবিধা আদায় করতে না পেরে সংস্কারপন্থী বনে যান। এবারের নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি ড. কামালের গণফোরামে যোগ দিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ধানের শীষের নির্বাচন করছেন।

টুকু আরও বলেন, তিনি অধ্যাপক নন, তারপর নামের সাথে অধ্যাপক ব্যবহার করে জাতির সঙ্গে বেঈমানী করে চলেছেন। এ কারণে সম্প্রতি তার নামে মামলাও হয়েছে। 

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা এই আসনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি নাকি যুদ্ধাপরাধী সমর্থিত শক্তিকে বেছে নেবেন এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। চায়ের কাপে ঝনঝনানি আর যান্ত্রিক শব্দযন্ত্রে নির্বাচন ঘিরে চলছে আলাপচারিতা। কে ধরবেন হাল এ নিয়ে চলছে হিসাবনিকাশ।

   

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ১৯ মে থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে

;

‘ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকা এবং ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে বাধা দিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের ওপর কারো অনাস্থা নেই। বিএনপির অনাস্থা রাজনৈতিক ইস্যু। 

তিনি আরও বলেন, আশা করি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যে সব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।

গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এছাড়া নির্বাচন না থাকলে এদেশে সহিংসতা হয়না তাতো নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি।

ধান কাটা ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিষয়টা এমন নয়। আপানারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন৷ ওইদিন তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি হয়েছিলো। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তাছাড়া ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না।

নির্বাচন কমিশনার কমিশনার আরও বলেন, এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে।

;

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপ

১শ ১৬ জন কোটিপতির প্রার্থীর লড়াই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ১শ ৫৭টি উপজেলায় ১শ ১৬ জন কোটিপতি প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়াই করছেন বলে জানিয়েছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় টিআইবি।

টিআইবি জানায়, উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১শ ৫৭টি উপজেলায় একহাজার ৮শ ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে ১শ ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন কোটিপতি, যা আগের নির্বাচনের তুলনায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন, ১শ ৫ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছে আটজন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোটিপতির সংখ্যা তিনজন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোটিপতি সম্পদের তালিকার শীর্ষে আছেন নোয়াখালীর সেনবাগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম মানিক। তার অস্থাবর সম্পদ মোট ৮৪ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ধামরাইয়ের সুধীর চৌধুরী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ৩৫ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে আছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ২২ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা।

ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এইক্ষেত্রে দেখা যায়, অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে, স্ত্রীর সাড়ে ১১ হাজার ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার চারশত শতাংশ।

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;