আওয়ামী লীগের ইশতেহার মঙ্গলবার, থাকছে চমক!



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চমক নিয়ে হাজির হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে প্রার্থীর মত ইশতেহারেও চমক দেখাতে চান তারা। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা শেষে মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) এবারের নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে এক অনুষ্ঠানে জাতির সামনে ইশতেহার তুলে ধরবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ইশতেহার হবে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের রোডম্যাপ। একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরা হবে এতে।

আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে জানা যায়, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ হচ্ছে ইশতেহারের স্লোগান। ইশতেহারে থাকবে সরকারের গত দুই মেয়াদের সাফল্যচিত্র। ২০২১, ২০৩০, ২০৪০, ২০৭১ এবং ২১০০ এরকম কয়েকটি ধাপে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় থাকবে তার সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা তুলে ধরা থাকবে। ডেল্টা প্ল্যানে আগামী ২১০০ সালে বাংলাদেশ কোথায় অবস্থান করবে সেই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বদ্বীপ বা ডেল্টা পরিকল্পনা, ব্লু ইকোনোমি ও তরুণদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে ইশতেহারে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

ইশতেহার কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বার্তা২৪কে বলেন, আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারে আগামীর বাংলাদেশের কথা তুলে ধরা হবে। আগামী ১০০ বছরে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে তা স্পষ্ট করা হবে ঘোষণা পত্রে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় তরুণদের সম্পৃক্ত করাসহ জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষ পরিকল্পনাগুলোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনে বছর দু’টি নিয়ে আওয়ামী লীগের বিশেষ পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে ইশতেহারে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/18/1545071110814.jpg

সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের ইশতেহারে প্রাধান্য পাওয়া বিষয়গুলোকে মোট ৭টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। অঙ্গীকারে শুরু হয়ে পটভূমি, তৃতীয় ভাগে থাকছে আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত দুই মেয়াদের সাফল্যচিত্র।

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক চিত্র জাতির সামনে তুলে ধরা হয়েছে ইশতেহারে। পঞ্চম অধ্যায়ে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের অবস্থান গত দশ বছরে কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা স্থান পেয়েছে। এরপর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। এরপর উপরের ছয় অধ্যায়ের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে জাতির কাছে নৌকায় ভোট চাওয়ার মধ্যদিয়ে ইশতেহার ৬৪তম পৃষ্ঠায় শেষ হয়েছে।

ইশতেহারের অঙ্গীকারনামা ঠিক করতে প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্ধৃতি: ‘এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এ দেশের মানুষ, যারা আমার যুবক শ্রেণি আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়।’

ইশতেহারে অনেকগুলো অঙ্গীকার করা হয়েছে যার মধ্যে আছে-আমার গ্রাম-আমার শহর: গ্রাম পরিকল্পনায়, প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণসহ ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ শিরোনামে থাকবে তরুণদের নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা। যাতে শিক্ষিত বেকার তরুণদের জন্য একটি এবং গ্রামের তরুণদের জন্য আরেকটি আলাদা পরিকল্পনা থাকবে। তরুণ-যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা; দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ; নারীর ক্ষমতায়ন; লিঙ্গ সমতা ও শিশু কল্যাণ; পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা; সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল; মেগা প্রজেক্টসমূহের দ্রুত ও মানসম্মত বাস্তবায়নের মতো বিষয়গুলো।

থাকছে মেগা প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, ব্লু ইকোনোমি, ব-দ্বীপ বা ডেল্টা পরিকল্পনা, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, সার্বিক উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার প্রচলন, টেকসই উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও শিশুকল্যাণ, নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা, সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূল; নিরাপদ সড়ক ও দারিদ্র্য নির্মূল উল্লেখ থাকবে ‘বিশেষ অগ্রাধিকার’ হিসেবে। পাশাপাশি গণতন্ত্র, নির্বাচন ও কার্যকর সংসদ, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষা, দক্ষ, সেবামুখী ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন, জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গড়ে তোলা, শিল্প উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন ও সুরক্ষা, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষাসহ অন্যান্য খাতে থাকবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা।

২০০৮ সালের ‘দিন বদলের সনদ’ ও ২০১৪ সালের ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ স্লোগানে ইশতেহার প্রকাশ করে জনসাধারণের ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলো আওয়ামী লীগ। তারা আশা করছে এবারো ইশতেহার দিয়ে চমক দেখাতে পারবেন তারা। আওয়ামী লীগের ইশতেহার কমিটির সদস্য সায়েম খান বলেন, এবারের ইশতেহার দিয়েও আওয়ামী লীগ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করে চমক দেখাবে।

   

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপ

১শ ১৬ জন কোটিপ্রতি প্রার্থীর লড়াই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ১শ ৫৭টি উপজেলায় ১শ ১৬ জন কোটি প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়াই করছেন বলে জানিয়েছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় টিআইবি।

টিআইবি জানায়, উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১শ ৫৭টি উপজেলায় একহাজার ৮শ ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে ১শ ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন কোটিপতি, যা আগের নির্বাচনের তুলনায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন, ১শ ৫ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছে আটজন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোটিপতির সংখ্যা তিনজন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোটিপতি সম্পদের তালিকার শীর্ষে আছেন নোয়াখালীর সেনবাগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম মানিক। তার অস্থাবর সম্পদ মোট ৮৪ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ধামরাইয়ের সুধীর চৌধুরী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ৩৫ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে আছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ২২ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা।

ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এইক্ষেত্রে দেখা যায়, অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে, স্ত্রীর সাড়ে ১১ হাজার ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার চারশত শতাংশ।

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;