আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চাহিদার অর্ধেক অগ্রিম দিয়েছে ইসি



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, এপিবিএনসহ বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। বিগত সময়ের তুলনায় বাড়তি লোকবল নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় বড় বাজেট চায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক খসড়া বাজেটে ৪১০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রাখা হলেও তার পরিমাণ বাড়ছে। ইসি আইন-শৃঙ্খলা খাতে যে বরাদ্দ রেখেছে সেনাবাহিনী বাদে সেই অর্থ অন্যান্য বাহিনীর জন্য দিতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর জন্য আলাদাভাবে বাজেটের প্রয়োজন হবে। এদিকে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ডের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের অর্ধেক টাকা আগাম প্রদান করেছে কমিশন।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জন্য ২৭১ কোটি ৮৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশকে ৬৩ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার, র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানকে (র‌্যাব) ১০ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে ১ কোটি ৫৬ লাখ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ৩৩ কোটি দুই লাখ ৪৩ হাজার, আনসার ও ভিডিপি ১৬৩ কোটি ৮১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

পুলিশের জন্য বরাদ্দকৃত ৬৩ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার টাকার মধ্যে খোরাকি বাবদ ৩৬ কোটি ১৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, জ্বালানি বাবদ ১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, মনোহরি দ্রব্যাদি বাবদ ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং আপ্যায়ন ব্যয় ৩ কোটি ১ লাখ ৩৭ হাজার, যানবাহন (ভাড়া ও মেরামত) বাবদ ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

বিজিবি'র জন্য আগাম ৩৩ কোটি দুই লাখ ৪৩ হাজার বরাদ্দের মধ্যে খোরাকি খাতে ১১ কোটি ৫০ লাখ ৬৫ হাজার, জ্বালানি খাতে ৩ কোটি ৩৫ লাখ, মনোহরি ২১ লাখ ৩৩ হাজার, আপ্যায়ন ব্যয় ৩৩ লাখ ১৫ হাজার, যানবাহন ১৬ কোটি তিন লাখ ৭১ হাজার, ব্যবস্থাপনা ব্যয় ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

র‌্যাবের জন্য আগাম ১০ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দের মধ্যে খোরাকি খাতে ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৮৯ হাজার, জ্বালানি খাতে ৩ কোটি ২৪ লাখ ৬৪ হাজার, মনোহরি ৫০ লাখ, আপ্যায়ন ব্যয় ২৮ লাখ ৭৫ হাজার, যানবাহন ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য আগাম ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দের মধ্যে খোরাকি খাতে ২৫ লাখ, জ্বালানি খাতে ৮৪ লাখ, মনোহরি ৩ লাখ, আপ্যায়ন ব্যয় ২ লাখ, যানবাহন ৪২ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

আনসার ও ভিডিপির জন্য বরাদ্দকৃত ১৬৩ কোটি ৮১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে খোরাকি বাবদ ১৪১ কোটি ৩৭ লাখ ৫১ হাজার টাকা, জ্বালানি বাবদ ৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, মনোহরি দ্রব্যাদি বাবদ ৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, আপ্যায়ন ব্যয় ১২ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে পুলিশ চারদিন থাকলেও এবার সাত দিন থাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যরা নির্বাচনের সময়ে থাকবেন চারদিন, মোতায়েনের পূর্বে দুইদিন ও প্রত্যাগমনের জন্য একদিন এই মোট সাত দিন ধরে ৪২৪ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। তবে কমিশনের প্রাথমিক বাজেটে ১২০ কোটি টাকা ধরা হলেও, পরে এ বাহিনীর জন্য বরাদ্দ দেড়শ কোটি টাকার কিছু বেশি রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্বাচনে পুলিশের ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৭জন মোতায়েন থাকবেন। এর মধ্যে এসপি থেকে তদুর্ধ্ব কর্মকর্তা ৩৪৯ জন রয়েছেন। পুলিশের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের অর্ধেক নির্বাচনের আগে ও বাকি অর্ধেক অর্থ নির্বাচনের পরে দেওয়া হবে।

আর আনসার সদস্যদের জন্য প্রায় দুইশ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু তারা এর দ্বিগুণ অর্থ বরাদ্দ চায়। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, ভোটের মাঠে তাদের ছয়দিন থাকতে হবে। তাদের যে ভাতার হার নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য তারা তার দ্বিগুণ অর্থ দাবি করছে। তাদের জন্য দুইশ কোটি টাকা দেওয়ার জন্য কমিশনের প্রাথমিক বাজেটে রাখা হলেও তারা চাইছে ৪৪৩ কোটি টাকা। কমিশন তাদের ছয়দিনের টাকাই দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে তাদের জন্য বরাদ্দ দুইশ কোটি টাকাই থাকছে। তাদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকার সম্পূর্ণ অর্থই আগাম পরিশোধ করা হবে।

অন্যদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কমিশনের কাছে ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। প্রথম দিকে কমিশনের কাছে দেওয়া এক চিঠিতে তারা ৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী বৈঠকে তা বেড়ে ৭০ কোটিতে উঠে আসে। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের জন্য ৩০ কোটি টাকা বাজেট রাখা হয়েছে। আলোচনা সাপেক্ষে তা বেড়ে ৩৫ কোটি টাকা হতে পারে। তাদের জন্য বরাদ্দের অর্ধেক টাকা আগাম পরিশোধ করা হবে। বাকি টাকা নির্বাচনের পর সমন্বয় করা হবে।

এ ছাড়া নির্বাচনে কোস্টগার্ডের সদস্যরা কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। তারাও মাঠে সাতদিন অবস্থান করবেন। এ বাহিনীর জন্য কমিশন ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। সম্প্রতি এক বৈঠকে তারা কিছু দাবি-দাওয়া রেখেছে। তবে কমিশন তাদের অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে সম্মত নয় বলে জানা গেছে। তারাও নির্বাচনের পূর্বে বরাদ্দকৃত অর্থের অর্ধেক এবং নির্বাচনের পরে বাকি অর্ধেক অর্থ পাবেন।

আর সশস্ত্র বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেবে কমিশন। ইতোমধ্যে তারা একটি অনুলিপি কমিশনে দিয়েছে। পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তের পর চূড়ান্ত বাজেট দেবেন তারা।

সম্প্রতি ইসির সঙ্গে এক বৈঠকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, বিগত নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭ কিছু বেশি। কিন্তু নির্বাচন হয়েছে ১৮ হাজার ২০৮ কেন্দ্রে। বাকি নির্বাচনী আসনে একক প্রার্থী জয়ী হওয়া ভোটের প্রয়োজন হয়নি। ফলে বাড়তি লোকবল প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু এবার ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। হিসেব অনুযায়ী এবার ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা দিগুণের চেয়েও বেশি। ফলে দিগুণ জনবল প্রয়োজন। এ ছাড়া বিগত নির্বাচনের তুলনায় এবার ভাতার পরিমাণ বেড়েছে। তাই বিগত সময়ের হিসেব অনুযায়ী বরাদ্দ দিলে সেটি বন্টনে সমস্যা হবে।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে সশস্ত্রবাহিনীর জন্য ৫৭ কোটি ২৬ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪০ টাকা। পুলিশের জন্য ৫৯ কোটি ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৭৯ টাকা, বিজিবির জন্য ১৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩৫ টাকা, আনসার বাহিনীর জন্য ৬৩ কোটি ২১ লাখ ৯৯ হাজার ৩০২ টাকা বরাদ্দ ছিল।

এবারই প্রথমবারের মতো ভোটকেন্দ্রের পাহারায় নির্বাচনে নামানো হচ্ছে গ্রাম পুলিশ (দফাদার ও চৌকিদার) তারা মাঠে থাকবেন দুই দিনের জন্য। ভোটের মাঠে দুই দিন দায়িত্ব পালন করবেন প্রায় ৪৫ হাজার গ্রাম পুলিশ। দুই দিনে তাদের জনপ্রতি এক হাজার টাকা ভাতা দেয়া হবে।

তফসিল অনুসারে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

   

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৭.৫৭ শতাংশ: ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় ইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ইসি সচিবালয়ের তৈরি করা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত ১৫৬ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল তিন কোটি ৩৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬২০ জন। এদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন এক কোটি ২৫ লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৭ জন। অর্থাৎ ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

এই নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ভোট হয়েছে ১২৯টি উপজেলায়। এতে ভোট পড়েছে ৩৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ভোট হয়েছে ২৩টিতে, ভোট পড়েছে ৩২ দশমিক ১৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায়, ৭৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলায়, ১৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

গত ৮ মে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন আশা করেছিল প্রথম ধাপের চেয়ে ভোট দ্বিতীয় ধাপে বেশি পড়বে।

এবার দেশের উপজেলাগুলোয় চার ধাপে নির্বাচন করছে ইসি। আগামী ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

কালীগঞ্জে রাকিবুজ্জামান-আদিতমারীতে ফারুক চেয়ারম্যান নির্বাচিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলা পরিষদে যথাক্রমে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ইমরুল কায়েস ফারুক বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমান ও আদিতমারী উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপন চাচা মাহবুবুজ্জামান আহমেদকে পরাজিত করেছেন ভাতিজা রাকিবুজ্জামান আহমেদ। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবির হোসেন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শিউলি রানী।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুজ্জামান আহমেদ (আনারস) প্রতীকে ২৪ হাজার ২শ ৬ ভোট ও তার চাচা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ (ঘোড়া) প্রতীকে ১৯ হাজার ১শ ৪৪ ভোট পেয়েছেন।

অন্যদিকে, আদিতমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমরুল কায়েস ফারুক (মোটর সাইকেল) প্রতীকে ৩২ হাজার ৪শ ২৫ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. রফিকুল আলম (আনারস) প্রতীকে ২৮ হাজার ৬শ ৫১ ভোট পান।

আদিতমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছামসুন নাহার (পদ্মফুল) প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যানের পদে মাইদুল ইসলাম সরকার (উড়োজাহাজ) প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

লালমনিরহাট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা লৎফর কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

;

কালীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

ভোটার উপস্থিতির হিসাবে গড় মিল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হিসাব নিয়ে গড় মিল তথ্য উঠে এসেছে বেসরকারি ফলাফল শিটে।

কোনো ফলাফল শিটে ২১.১৬ শতাংশ, কোনো শিটে ২১.১৩ শতাংশ আবার কোনো ফলাফল শিটে ২১ শতাংশ ও ২১.১১ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) ওই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। কালীগঞ্জের ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জহির ইমামের স্বাক্ষরিত ফলাফল শিটে উপস্থিতির হিসাবের এ গড়মিল তথ্য উঠে আসে।

ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন।

চেয়ারম্যান পদের ফলাফল শিটে দেখানো হয়, মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২শ ৭৮টি, যা মোট ভোটের ২১.১৬ শতাংশ। প্রথমে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবির হোসেন চৌধুরীকে বিজয়ী করে এক ফলাফল শিটে দেখানো হয়, মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৬শ ৬৬টি, যা মোট ভোটের ২১ শতাংশ।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হিসাব নিয়ে গড় মিল, ছবি- বার্তা২৪.কম

পরে দেবদাস কুমার রায়কে বিজয়ী করে অপর এক ফলাফল শিটে দেখানো হয়, মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২শ ৮টি, যা মোট ভোটের ২১.১৩ শতাংশ।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিউলী রানী রায়কে বিজয়ী করে ফলাফল শিটে দেখানো হয় মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৫ হাজার ১শ ৭৩টি, যা মোট ভোটের ২১.১১ শতাংশ।

বুধবার (২২ মে) এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জের ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জহির ইমামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় থেকে একটি টিম এসেছে, আমি তাদের সঙ্গে আছি। নির্বাচন কর্মকর্তা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

পরে এ বিষয়ে জানতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে যেভাবে ফলাফল শিট এসেছে, সেই আলোকে গোটা উপজেলার ফলাফল শিট তৈরি করা হয়েছে।

;

চুয়াডাঙ্গায় জামানাত হারাচ্ছেন বর্তমান দুই চেয়ারম্যানসহ ১১ প্রার্থী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার নতুন দুই মুখ নির্বাচিত হয়েছে। আর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব হোসেনের। আলমডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরও ২ জন জামানত হারাচ্ছেন। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ দুই উপজেলার মোট ৭ জন প্রার্থী জামানত হারাতে বসেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ উপজেলায় মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৩৮৮টি। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৯৮৬টি। আর বৈধ ভোট পড়েছে ৯৮ হাজার ৮০২টি। শর্ত অনুসারে কোনো প্রার্থীকে জামানত টিকাতে হলে ভোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয়। এখানে একজন প্রার্থীকে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ৩০০টি ভোট। এই নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫০ হাজার ৮১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের ভাইপো নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। আর বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আসাদুল হক বিশ্বাস আনারস প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ৪১৯টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জামানত হারিয়েছেন।

এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় মোট ভোট পড়েছে ৮০ হাজার ৭১৪টি। আর বৈধ ভোট পড়েছে ৭৭ হাজার ৯৯৪টি। এর মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ২৮০টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কে এম মঞ্জিলুর রহমান। আর দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব হোসেন। নির্বাচনে জামানত টিকাতে তার প্রয়োজন ছিল ৯ হাজার ৭৪৯ ভোট। এই সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় তিনি জামানত হারিয়েছেন।

এছাড়া আলমডাঙ্গায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪ ভোট। আর আনারস প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ১০৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন মো. মোমিন চৌধুরী ডাবু।

অপর দিকে, এই নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা সদরে ৩ ও আলমডাঙ্গায় ৪ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ভাইস চেয়ারম্যানদের ফলাফলে দেখা যায়, ৯৬ হাজার ৫৮২টি বৈধ ভোট পড়েছে। এখানে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩ জন জামানত হারিয়েছেন। এখানে একজন প্রার্থীকে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ৭২টি ভোট। তবে এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে তালা প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়েছেন মো. মামুন-অর রশীদ, উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে মো. মিরাজুল ইসলাম (কাবা) পেয়েছেন ৬ হাজার ২৮৫ ভোট এবং মাইক প্রতীক নিয়ে মো. শামীম হোসেন পেয়েছেন ৮ হাজার ২৯৫ ভোট। তাদের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৮ জন। এর মধ্যে ৪ জন জামানত খুইয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ ভোট পড়েছে ৭৪ হাজার ৯৫৪টি। এখানে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ৯ হাজার ৩৬৯টি ভোট। তবে বই প্রতীক নিয়ে মো. মামুনার রহমান পেয়েছেন ৮ হাজার ৭০৪ ভোট, টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে মো. আজিজুল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭৬ ভোট, উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে আরেক আজিজুল হক পেয়েছেন ৬ হাজার ১০৯ ভোট এবং পালকি প্রতীক নিয়ে মো. সোহেল রানা (শাহীন) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৩ ভোট। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন।

;