ভোটের দিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশের আকাঙ্ক্ষায় ভোটাররা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম
প্রচারণায় এগিয়ে হাজী সেলিম, ছবি: বার্তা২৪

প্রচারণায় এগিয়ে হাজী সেলিম, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ৩ দিন বাকি। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশনের শেষ মুহূর্তের নানা প্রস্তুতি চলছে।

অন্যদিকে, আগামী সরকার যাদের ভোটে নির্ধারণ হবে সেই ভোটাররাই এখন শঙ্কায় রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তো? তারা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন তো? এসব নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ভোটারদের মনে।

ঢাকা-৭ আসনের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ দেখে তারা কিছুটা শঙ্কিত আছেন। কেননা বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা সংঘাতের খবরে ভোটের পরিবেশ নিয়ে তারা বিচলিত হয়ে পড়েছেন। তাদের মনে আশঙ্কা জাগছে ভোটের এক দিন আগে বা ভোটের দিন তাদের এলাকায় যেন আবার নির্বাচনী সংঘাত না হয়। তারা চান শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা-৭ আসনের আজিমপুর, লালবাগ, ঢাকেশ্বরী মন্দির ও পোস্তগোলা এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

লালবাগ এলাকার ভোটার মো.আসলাম বার্তা২৪কে বলেন, নির্বাচনে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র এক দলের লোকজনদের মাঠে দেখছি। বাকিরা কোথায়, তারা মাঠে না থাকলেতো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সকল দলের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে, কিন্তু মাঠে শুধু একদল।

আজিমপুর এলাকার ভোটার কামরুজ্জামান বার্তা২৪কে বলেন, আমরা এক এলাকায় ব্যবসা করি। আমরা চাই ভোট শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক। কিন্তু এখনো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শুনেছি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে মাঠেই নামতে দিচ্ছে না। তাহলে তো বোঝাই যাচ্ছে ইলেকশনের দিন সংঘাত অবধারিত। আমরা এ অবস্থা চাই না আমাদের এলাকায়।

ভোটারদের এমন আশঙ্কার চিত্র ঢাকা-৭ আসনে সরেজমিনে দেখা গেছে। কেননা আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারণা ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর কোনো ধরনের কার্যক্রম নেই মাঠে। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু নৌকা আর নৌকা।

ভোটাররা আরো বলেন, কোথাও কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারছেন না ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মোস্তফা মহসীনের নেতাকর্মীরা। তাদের ঢাকা-৭ আসনের মধ্যে থাকা ১৩ ওয়ার্ডের মধ্যে কোনো ওয়ার্ডেই নির্বাচনী প্রচারণার ক্যাম্প দেখা যায়নি। এছাড়া প্রচারণার মাঠে তো তাদের দেখাই যায়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা-৭ আসনের ২৭ নং ওয়ার্ডের বিএনপির নেতা আশফাক হোসেন বার্তা২৪কে বলেন, আমরা প্রচারণা চালাব কীভাবে। হাজী সেলিমের লোকজন ও পুলিশের অত্যাচারে এলাকায় থাকতেই পারছি না। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা এই কাজ করতেই থাকবে। আর আমাদের যদি এ অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ ভোটাররা কি আদৌ ভোট দিতে পারবে।

তবে এসব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে পোস্তগোলায় অবস্থিত হাজী সেলিমের রাজনৈতিক কার্যালয়ের দপ্তর সচিব এস এম মিরানুর রহমান মিরান বার্তা২৪কে বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এমন একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছেন যে এই এলাকার স্থানীয়ই না। তাই স্থানীয় বিএনপি ও ভোটারদের তাকে নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। তাই কোনো প্রচারণাই নেই। ভোটারদের সব আকর্ষণ আমাদের প্রার্থী হাজী সেলিম ভাইকে নিয়ে।

   

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপ

১শ ১৬ জন কোটিপতির প্রার্থীর লড়াই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ১শ ৫৭টি উপজেলায় ১শ ১৬ জন কোটিপতি প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়াই করছেন বলে জানিয়েছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় টিআইবি।

টিআইবি জানায়, উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১শ ৫৭টি উপজেলায় একহাজার ৮শ ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে ১শ ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন কোটিপতি, যা আগের নির্বাচনের তুলনায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন, ১শ ৫ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছে আটজন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোটিপতির সংখ্যা তিনজন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোটিপতি সম্পদের তালিকার শীর্ষে আছেন নোয়াখালীর সেনবাগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম মানিক। তার অস্থাবর সম্পদ মোট ৮৪ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ধামরাইয়ের সুধীর চৌধুরী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ৩৫ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে আছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ২২ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা।

ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এইক্ষেত্রে দেখা যায়, অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে, স্ত্রীর সাড়ে ১১ হাজার ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার চারশত শতাংশ।

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;