ঢাকা-১৩ আসনে ইভিএমে ভোটিং প্রশিক্ষণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকা-১৩ আসনে চলছে ইভিএমে ভোটারদের ভোটিং প্রশিক্ষণ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা-১৩ আসনে চলছে ইভিএমে ভোটারদের ভোটিং প্রশিক্ষণ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিজিটাল ভোটার আইডি কার্ড (স্মার্টকার্ড) নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ভোটাররা। একজন ভোটার গিয়ে দাঁড়ালেন ইভিএম এর সামনে, কার্ড ইন করে পছন্দের প্রতীকে ভোট দিয়ে স্লিপ নিয়ে বের হয়ে গেলেন ভোটকেন্দ্র থেকে।

আরেকজন এসে দাঁড়ালেন তার জায়গায়। ঠিক এমনভাবেই চলছে ঢাকা-১৩ আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম এর ব্যবহারিক বা ডামি ভোটিং প্রশিক্ষণ।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বালিকা বিদ্যালয় মাঠসহ এ আসনের বিভিন্ন জায়গায় চোখে পরে এই ডামি ভোটিংয়ের চিত্র।

সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষকদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে চলছে ভোটের এই ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ। কিভাবে ইভিএম এ ভোট দেবেন তা জানতে স্থানীয় ভোটার মোজাম্মেল ইসলাম স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।

মোজাম্মেল বলেন, ‘দেশ এগিয়ে গেছে তার প্রমাণ এই ভোট ব্যবস্থা। এর চেয়ে সহজ আর আধুনিক ব্যবস্থা আর কখনো দেখিনি।’

তার স্ত্রী রেনু বেগন জানান, অনেক সহজ লেগেছে তার কাছে।

তরুণ ভোটার রায়হান বলেন, ‘ব্যাপারটা অনেক ইজি, সময়ও কম লাগে।’

দায়িত্বরত সশস্ত্র বাহিনী কর্মকর্তারা জানান, কৌতূহল নিয়ে অনেকেই এসেছিলেন প্রশিক্ষণ ভোটিং কেন্দ্রে। সবাই সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরে গেছেন।

তারা জানান, তিনভাবেই ভোট দেওয়া যায় এই ভোটিং মেশিন দিয়ে। কেউ যদি ডিজিটাল ভোটার আইডি হারিয়ে ফেলেন বা যদি কেউ এমন থাকেন যে, এখনো ডিজিটাল কার্ড হাতে পান নাই, তারা ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ বা ভোটার আইডি নম্বর দিয়েও ভোট দিতে পারবেন।

উল্লেখ্য ঢাকা-১৩ সহ আরো পাঁচটি আসনে প্রথমবারের মত ইভিএম এ ভোট হবে।

   

কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় আহত ৬, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি বিভাগীয় কমিশনারের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অন্তত ৬ সমর্থক আহত হয়েছেন। তবে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর সতর্কতায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মজিদ সরদার ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফের সমর্থকদের মাঝে এ সংঘর্ষ ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের বিষয়টি জানার পর অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, ভোটগ্রহণে কোনো প্রভাব পড়েনি। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামাণিক জানান, সকালে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক আছে।

তবে এদিন দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর সতর্কতায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়াই সকাল থেকে দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলার মোট ২৬৭টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির কারণে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে।

এ সময় তিনি ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দিতে আশ্বস্ত করেন। আর সেখানে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নারী ও তরুণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশি।

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কল্যাণ চৌধুরী জানান, দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীর দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। সকালে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কোথাও বড় ধরনের সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে দুর্গাপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অন্তত ৬ সমর্থক আহত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা, যেমন পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিজিবি, যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

;

নিষ্প্রাণ ভোটকেন্দ্র!



সীরাত মঞ্জুর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোটকেন্দ্রের প্রাণ যদি হয় ভোটার, তবে সেই ভোটারশূন্য কেন্দ্রগুলোকে নিষ্প্রাণই বলা যায়। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ধাপের চট্টগ্রামের উপজেলা নির্বাচনের বেশিরভাগ কেন্দ্রে শুরু থেকেই ভোটার উপস্থিত কম লক্ষ্য করা গেছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর পর্যন্ত হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হওয়া থেকে কেন্দ্রগুলোর চিত্র ছিল এমন। 

দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ কেন্দ্রে তেমন ভোটার দেখা যায়নি। এসময় ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অলস বসে থাকতে দেখা যায়। যদিও এ কেন্দ্রের বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ফটিকছড়ি পৌর সদরের এ কেন্দ্রটিকে নিজেদের ভোট ব্যাংক মনে করে থাকেন প্রার্থীরা।


এই কেন্দ্রটির অদূরে ফটিকছড়ি সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুপুর দেড়টায় গিয়ে কোনো ভোটার দেখা যায়নি। দুপুর ১২টার পর্যন্ত এ কেন্দ্র ১৩ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার।

দুপুর ২টার দিকে সুন্দরপুরের ছিলোনিয়া কেন্দ্রে গিয়েও দেখা মিলে একই দৃশ্যের। ভোটকেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরের কোনো ভোটার পাওয়া যায়নি। একদম নিষ্প্রাণ ছিল এ কেন্দ্রটিও।

কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার মো. রায়হান নাছিম বলেন, 'এ কেন্দ্রে ২ হাজার ৪৮ জন ভোটার রয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৮৪টি ভোট কাস্ট হয়েছে।'

তবে ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীর বেশ কিছু কেন্দ্র পরিদর্শন করে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

তিনি বলেন, 'আজকের চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। আমরা হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির বেশ কিছু কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। ভোটের পরিবেশ খুবই ভালো। সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশ ভোটগ্রহণ হয়েছে। এবং জনসাধারণ ভোট দিতে এসেছেন। কিছু কিছু কেন্দ্র কাস্টিং কম হয়েছে, আবার কিছু কিছু কেন্দ্রে বেশি হয়েছে। মহিলাদের কিছু কেন্দ্রে কম, এটি গরম একটি কারণ হতে পারে।'


দুপুরের পর ভোটার আরও বাড়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'আমাদের ধারণা যে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিশেষ করে মধ্যাহ্ন ভোজের পর ভোটাররা ভোট দিতে আসবেন। এখন পর্যন্ত যে ভোট কাস্টি হয়েছে সেটা আমার কাছে মনে হয়েছে যথেষ্ট। প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের এই ভোটগ্রহণের সংখ্যা এখন পর্যন্ত তুলনামূলক ভালো।'

এদিকে নির্বাচন কমিশনের স্মার্ট অ্যাপের তথ্যানুযায়ী, দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাটহাজারী ১০৬টি কেন্দ্রের বিপরীতে ৪০ কেন্দ্রের প্রদত্ত ভোটের হার মাত্র ১৮ শতাংশ। এছাড়া এই উপজেলায় সকাল ১০টা পর্যন্ত ৪৭ কেন্দ্রে ৮ শতাংশ ভোট পড়ে। একই অবস্থা ফটিকছড়ি উপজেলায়ও।
এ উপজেলায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৪২ কেন্দ্রের বিপরীতে ৯৫টি কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোটের হার ছিল ১৪ শতাংশ। এ উপজেলায় প্রথম দুই ঘণ্টায় ১১০টি কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোটের হার ছিল মাত্র ৬ শতাংশ।

তিন উপজেলার মধ্যে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলায় সবকটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও রাঙ্গুনিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন। এ উপজেলায়ও দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৯৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১টি কেন্দ্র প্রদত্ত ভোটের হার মাত্র ৯ শতাংশ।


এবারে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে তিন উপজেলায় মোট ভোটার ১১ লাখ ২০ হাজার ৭৩৪ জন। এর মধ্যে হাটহাজারী উপজেলায় ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৮ জন। এতে পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৩ জন এবং নারী ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৮০৫ জন। অন্যদিকে ফটিকছড়ি উপজেলায় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬০৭ জন। যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৮ জন, নারী ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৬৭ জন। আরেক উপজেলা রাঙ্গুনিয়ায় মোট ভোটার ২লাখ ৯৮ হাজার ৬৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৮ হাজার ১২২ জন এবং নারী ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৭ জন।

তিন উপজেলায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৪৩টি। এরমধ্যে হাটহাজারীতে ভোট কেন্দ্র ১০৬টি, ফটিছড়িতে ১৪২টি এবং রাঙ্গুনিয়ায় ৯৫টি। ভোটগ্রহণে জন্য তিন উপজেলা নিয়োগ করা হয়েছে ৯ হাজার ৬৭৪ জন কর্মকর্তা।

এছাড়াও ৬০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা।

;

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা, ৫ দিনের কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
যুবকের জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা, ৫ দিনের কারাদণ্ড

যুবকের জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা, ৫ দিনের কারাদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টার অপরাধে মো. পারভেজ মিয়া (২২) নামে এক ব্যক্তিকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া জয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে তাকে এই কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। পারভেজ উপজেলার কুটি মধ্যপাড়া এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে ।

কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কুটি ইউনিয়নের ২৩ নং কুটি অটল বিহারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক ব্যক্তি জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টার অপরাধে তাকে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১-চ ধারায় ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

;

বিচ্ছিন্ন ঘটনায় শেষ হলো দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে । বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া, জাল ভোট, কেন্দ্র দখল, আটকসহ নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে দেশের কোথাও বড় ধরনের কোনো সহিংসতা হয়নি।

সারা দেশে দ্বিতীয় ধাপের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। ভোট শুরুর প্রথম ৪ ঘণ্টায় ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু ৪ টায় ভোট প্রদান শেষে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে।

এদিকে, জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে হবিগঞ্জ ও রংপুরে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে চট্টগ্রামে উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপে ভোট কাস্টিং ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মাঝেই সারাদেশে কম ভোটার উপস্থিতি নিয়েই দ্বিতীয় ধাপের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। 

নির্বাচনে তিনটি পদে এক হাজার ৮২৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। 

এই ধাপে তিন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ প্রার্থী। রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় সকল পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

১৫৬ উপজেলায় মোট তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। ভোটগ্রহণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ১৬টি কেন্দ্রের ৯১ হাজার ৫৮৯টি ভোটকক্ষে।

২৪ উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে এবং ১৩২ উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

;