জোটবদ্ধ নির্বাচনে সবাই চায় নৌকা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে জোটগতভাবে ভোট করবে বলে ১০টি দল নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে। ১০ দলের মধ্যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করবে আটটি দল।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) এ কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে দলগুলো চিঠি দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

নতুন নিবন্ধন পাওয়া তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে প্রগতিশীল ইসলামী জোট যাবে নির্বাচনে। সেই সঙ্গে রওশন এরশাদপন্থী জাতীয় পার্টির একাংশও নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে ইসিতে।

এদিকে নির্বাচনের তফসিলকে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল। জোট বদ্ধ হয়ে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে বিএনপিসহ নিবন্ধিত ৩৪টি দল এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি ইসিকে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক একাধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল মিলে নির্বাচনী জোট গঠন করা হলে, এ জোটের যেকোনো একটি দলের প্রতীক জোটভুক্ত দলসমূহের প্রার্থীদের বরাদ্দ করা যাবে। এরূপ প্রতীক পেতে হলে জোটকে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। যার সময়সীমা তফসিল ঘোষণার পর তিনদিন। আজ শনিবার ছিল শেষদিন।

চিঠি দেওয়া দলগুলোর আবেদনে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ জোটবদ্ধ হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহ দেখিয়েছে জাসদ (ইনু), ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতান্ত্রিক পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি (জেপি), সাম্যবাদী দল ও বিকল্পধারার বাংলাদেশ নৌকা প্রতীকে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে যাওয়া জন্য ইসিতে চিঠি দিয়েছে।

এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া নতুন দল তৃণমূল বিএনপিও চিঠি দেয় ইসিতে। সেখানে তারা এককভাবে নির্বাচনে যাবে সোনালী আঁশ প্রতীকে। সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে যাবে ১৫টি দলের সমন্বয়ে গঠিত প্রগতিশীল ইসলামী জোট এই মর্মে তারাও ইসিতে চিঠি দেয়। তবে, ইসলামী এই জোটের কেউই ইসির নিবন্ধিত নয়।

এদিকে, এরশাদের দল জাতীয় পার্টির (জাপা) পক্ষ থেকে এককভাবে না জোটগত ভাবে নির্বাচনে যাবে সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসিতে কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি। কিন্তু দুপুরে হঠাৎ করে জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ জোটগত ভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভোট করবে জানিয়ে চিঠি দেয় ইসিতে।

চিঠিতে লেখা হয়, এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক লাঙ্গল কিংবা প্রার্থীর ইচ্ছানুসারে মহাজোটে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন।

চিঠির আবেদন অনুযায়ী আওয়ামী লীগের জোটে ক্ষমতাসীন দলসহ ৯টি দল ভোট করবে। আর এককভাবে তৃণমূল বিএনপি।

সকালে জাতীয় পার্টি থেকে এক চিঠিতে ইসিকে জানানো হয়, নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

জিএম কাদের বলেছে তার স্বাক্ষরে মনোনয়ন হবে। আর রওশন এরশাদ বলেছে তারা জোটে ভোট করবে, ইসি কোন চিঠি আমলে নেবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বলেন, এটা কমিশন দেখবে। কারণ দুটো চিঠি এসেছে। কমিশন যেটা আমলে নেয়।

তিনি আরও বলেন, সাইনিং অথরিটি কে হওয়ার কথা- নরমালি দলের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিব সাইনিং অথরিটি নরমালি হয়।

আওয়ামী লীগের চিঠিতে ভাষ্যটা কি? জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আওয়ামী লীগের চিঠিতে আছে যে তারা জোটবদ্ধভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। আর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষরে তারা মনোনয়ন দেবে।

নৌকা প্রতীক নিয়ে কারা ভোট করবেন? জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আওয়ামী লীগের চিঠিতে সেটি বলা নাই যে, কারা ভোট করবে। তারা বলছে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।