‘শান্তিপূর্ণ’ ভোটের জন্য প্রস্তুত ইসি



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই ভোট। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোটকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভাগীয় শহরগুলোতে চলে গেছে নির্বাচনি সামগ্রী। শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতের মধ্যেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য সামগ্রী। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সারা দেশসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবি ও সেনাবাহিনীর তল্লাশি ও টহল চলছে।

ভোটের মাঠে দীর্ঘ ১০ বছর পর নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করে বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ ১২টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিএনপিসহ জোটের শরিকরা।

নির্বাচন কমিশন বলছে, শান্তিপূর্ণ ভোট নিয়ে কোন শঙ্কার কারণ নেই। কমিশন ইতোমধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্ন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।

তিনি বলেছেন, দেশে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।"

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অবঃ) বার্তা২৪.কমকে বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য কমিশন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় ছয় লাখের বেশি সদস্য ভোটের মাঠে কাজ করছেন। ভোটররা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারেন তার জন যতটা প্রস্তুতি দরকার, সেটি আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দেখার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি কাজ করছে। কিছু অভিযোগের সত্যতা তাঁরা পেয়েছেন। সেসব ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে, সেসব আসনে মক ভোটিং (আসল ভোট কীভাবে দেওয়া হবে তা জানার ব্যবস্থা) হয়েছে। জনগণের ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। জরুরি প্রয়োজনে পরিবহন কাজের জন্য প্রস্তুত রয়েছে সশস্ত্রবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা ভোটারদের নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থা নিয়েছি। ভোটারদের নিরাপত্তায় অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন। ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশা করছি।

জানা গেছে, ভোটে ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার ( দুইজন বিভাগীয় কমিশন ও ৬৪ জন জেলা প্রশাসক) দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজার ১৮৩। ভোকক্ষ ২ লাখ সাত হাজার ৩১২টি। ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫জন। আর মহিলা ভোটার ৫ কোটি ১৬  লাখ ৬৬ হাজার ৩১২ জন।

এবারের নির্বাচনে মোট ৩৯ দল অংশগ্রহণ করছে। ২৯৯টি আসনে প্রার্থী ১ হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নিবন্ধত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ১ হাজার ৭৩৩ জন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা ১২৮ জন। একক দল হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা) সব থেকে বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

ভোটকেন্দ্র এবং নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ৬ লাখ আট হাজার সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এরমধ্যে পুলিশ প্রায় এক লাখ ২১ হাজার, আনসার প্রায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার, গ্রাম পুলিশ প্রায় ৪১ হাজার।

ভোটে ৩৮৯ উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৪১৪ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), ১৮ উপজেলায় নৌবাহিনীর ৪৮ প্লাটুন, ১২ উপজেলায় কোস্টগার্ডের ৪২ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), বিজিবির ৯৮৩ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), র‌্যাবের প্রায় ৬০০ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের প্রায় ২ হাজার প্লাটুন (প্রায় ৬৫ হাজার) দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও সারাদেশে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের টহল দল নিয়োজিত আছেন।

ভোটের মাঠে ১ হাজার ৩২৮ জন অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য ৬৫২ জন অবশিষ্ট ৬৭৬ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল/ স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে ১২২টি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটিতে ২৪৪জন দায়িত্ব পালন করছেন।

ভোটে ৪০ হাজার ১৮৩জন প্রিজাইডিং অফিসার, দুই লাখ সাত হাজার ৩১২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬২৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচনে ৮১টি প্রতিষ্ঠানের ২৫ হাজার ৯০০ জন দেশীয় পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন। এছাড়াও ফেমবোসা, এএইএ,দ ওআইসি ও কমনওয়েলথ হতে আমন্ত্রিত ও অন্যান্য বিদেশী পর্যবেক্ষক ৩৮ জন, কূটনৈতিক ও বিদেশী মিশনের ৬৪ জন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশস্থ দূতাবাস, হাইকমিশন বিদেশী সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি ৬১ জনসহ মোট ১৬৩ জন দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটে ৩০০ আসনের মধ্যে গাইবান্ধা- ৩ আসনে একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট স্থগিত করে পুনঃতফসিল দেয়া হয়েছে। ফলে ভোট হবে ২৯৯ আসনে।

   

ফেনী সদর উপজেলায় নির্বাচনী আমেজ, প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ৩য় ধাপে আগামী ২৯ মে ফেনীর ৩টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলা। এরমধ্যে সব থেকে বেশি উৎসবমুখর পরিবেশ রয়েছে ফেনী সদর উপজেলায়। নির্বাচনে অন্যকোনো হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকলেও নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল। পাশাপাশি প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোর্শেদা আক্তার।

ফেনী সদরে নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে দোয়াত-কলম, টিউবওয়েল ও কলস মার্কার পোস্টার-ব্যানারে শহর থেকে গ্রামের প্রতিটি অলিগলি ছেয়ে গেছে। ব্যানার-পোস্টারের পাশাপাশি প্রচারের তোড়জোড়ে পাড়া-মহল্লায় চলছে নির্বাচনী মাইকিং। তবে অন্য কোনো প্রার্থীর তেমন কোনো প্রচারণা লক্ষ্যে করা যায়নি।

নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে

প্রচারণার মাঠে বর্তমান চেয়ারম্যানের দোয়াত-কলম ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর কার্যক্রম তেমন দেখা যায়নি। শহরের অধিকাংশ পোস্টার ব্যানার দোয়াত-কলম প্রার্থীর৷ গুটিকয়েক পোস্টার রয়েছে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর।

নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে সদরের ১২ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডে পথসভা, বর্ধিত সভা, মহিলা সমাবেশ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী শুসেন শীল। সভা সমাবেশে সকলকে কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করে ভোট উৎসবে মেতে উঠার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার (২৪ মে) ইউনিয়ন পর্যায়ের মহিলা সমাবেশের শেষ দিনে নিজ ইউনিয়ন বালিগাঁওয়ে মহিলা সমাবেশে অংশ নেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল। এসময় বালিগাঁও ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার মহিলা সমাবেশে অংশ নেন এবং নিজেদের ইউনিয়নের সন্তানকে বিপুল ভোটে জয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হল বাহারের সভাপতিত্বে ও ফেনী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জিলা আক্তার মিমির সঞ্চালনায় মহিলা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জাহানারা বেগম সুরমা, সাধারণ সম্পাদক লায়লা জেসমিন বড়মনি, ফেনী পৌরসভা মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা হোসেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোর্শেদা আক্তার, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নূরুল আবছার আপন।

ফেনী সদর উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৩মে থেকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের ১৬ টি বর্ধিত সভা, ১২টি মহিলা সমাবেশ, পৌর এলাকায় ৬টি পথসভা এবং ফেনী শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, প্রত্যেক ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও মহল্লায় গণসংযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ফেনীতে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়, জেলার ওলামা ও মাশায়েখদের সাথে মতবিনিময়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় এবং ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করবেন তিনি।

আসন্ন ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পৌরবাসী ও সদর উপজেলার বাসিন্দাদের ভোট উৎসবে মেতে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল ও পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।

পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, শুসেন চন্দ্র শীল বালিগাঁওসহ ফেনী সদরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিতে হবে। নিজাম হাজারী যেভাবে ফেনীকে সুন্দর রেখেছেন আমাদের সে ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করতে হবে। দোয়াত-কলম, টিউবওয়েল ও কলস প্রতীককে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আমরা যেভাবে সবাই ভোট উৎসব করে নিজাম উদ্দিন হাজারীকে জয়ী করেছি, আগামী ২৯ তারিখ ও আমরা সবাই একসাথে কাজ করে আমাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে চাই।

চেয়ারম্যান প্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, জাতীয় নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২৯ তারিখ ও আমরা ভোট উৎসব করতে চাই। যে ভোটে আওয়ামী লীগের বিজয় হবে আমাদের নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর বিজয় হবে। আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত সংগঠন। দেশ গঠনে আওয়ামী লীগের অবদান সবচাইতে বেশি। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।

তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষ্যে ফেনী সদরে উৎসবের আমেজ বইছে। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে মুখিয়ে আছে। আমরা সকল ইউনিয়নে গিয়েছি, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়েছি। মহিলা সমাবেশ, বর্ধিত সভা, মতবিনিময় সভা করেছি। এতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফেনীর মানুষ ভোট উৎসবে মেতে উঠার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন সহ মোট ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। যার মধ্যে অন্যান্য প্রার্থীদের তেমন কোনো প্রচার প্রচারণা দেখা যায়নি। 

;

উপজেলা নির্বাচন: দৌলতপুরের ওসিকে প্রত্যাহার, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে তলব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে উপযুক্ত কর্মকর্তা পদায়নে সম্মতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সাথে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের মতো অভিযোগে দুই উপজেলা প্রার্থীকে তলব করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।  

শুক্রবার (২৪ মে) ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান ও নির্বাচন শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই তথ্য জানিয়েছে। 

ইসি জানায়, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল হোসাইনের বিরুদ্ধে আচরণ লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় তার প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না সে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে ইসি। এক্ষেত্রে আগামী ২৭ মে সকাল সাড়ে দশটায় ইসিতে উপস্থিত ব্যাখ্যা দিতে হবে তাকে।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরীকেও আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে ব্যাখ্যা তলব করেছে ইসি। তাকে আগামী ২৬ মে বেলা ১১টায় ব্যাখ্যা দিতে আসতে হবে। 

;

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে ) ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বিষয়টি জানিয়েছে।

আতিয়ার রহমান জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. শাহারুল ইসলাম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগ ১৩ মে আদেশে মো. শাহারুল ইসলামকে নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ তার অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন মাননীয় আপিল বিভাগে সিপিএলএ নং ১৭১৩/২২৪ দায়ের করলে ২০ মে ২০২৪ তারিখের আদেশে "No Order" প্রদান করা হয়।

এমতাবস্থায়, বাস্তবতার নিরীখে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থিতা বাতিল কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরীকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

২৬ মে সকাল ১১ টায় এ প্রার্থীকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলে ইসি।

তৃতীয় ধাপেও ২৯ মে এ উপজেলায় ভোটের কথা রয়েছে।

;

মঠবাড়ীয়ার রিয়াজের প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ইসি সচিব বলেন, রিয়াজ উদ্দিন প্রতীক বরাদ্দের দিন বড় ধরণের শোডাউন করেছেন। যেটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ জন্য রিটার্নিং অফিসার তার কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছিলেন। তার ব্যাখ্যা পেয়ে সন্তুষ্ট না হয়ে রিটার্নিং অফিসার বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টি গোচরে আনেন।

কমিশনের নির্দেশে আজ তিনি ও দুইজন আইনজীবীকে নিয়ে শুনানীতে অংশগ্রহণ করেছেন। শুনানিতে তিনি দোষ স্বীকার করে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে তার আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাটি একটি বড় ধরণের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে।

আগামী ২৯ মে এই উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

;