দুইদিনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ১৮৩ জনের আবেদন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাতিল হওয়া প্রার্থিতা ফিরে পেতে স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আরও ১৪১ জন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন। এনিয়ে দুই দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ১৮৩ জন আবেদন করল।
এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক বৈধ ঘোষিত তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপিল আবেদন জমা পড়েছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের অস্থায়ী ক্যাম্পের বুথগুলোতে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব আবেদন জমা পড়ে। যা চলবে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল শুনানির মাধ্যমে রায় ঘোষণা করা হবে। ১১টি অঞ্চলকে ভাগ করে ১১টি বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রথম দিন মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) প্রার্থিতা ফিরে পেতে ৪২ জন প্রার্থী আপিল আবেদন জমা দিয়েছেন।
ইসি আইন শাখার যুগ্ম সচিব মাহবুবার রহমান বলেন, দ্বিতীয় দিনে সকাল ১০টায় আপিল আবেদন শুরুর পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সর্বমোট ১৩৯টি আপিল আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে রংপুর অঞ্চলের বুথে ১৬টি, খুলনা অঞ্চলের বুথে ১৮টি, বরিশাল অঞ্চলের বুথে ৬টি, ময়মনসিংহ অঞ্চলের বুথে ১৮টি, ফরিদপুর অঞ্চলের বুথে ৬টি, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বুথে ৯টি, ঢাকা অঞ্চলের বুথে ২৩টি, কুমিল্লা অঞ্চলের বুথে ১৫টি, সিলেট অঞ্চলের বুথে ৪টি এবং রাজশাহী অঞ্চলের বুথে ২৪টি আপিল জমা পড়েছে।
এর মধ্যে খুলনা-৪ আসনে আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী এনামুল হক বাবুল, বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহ এবং ময়মনসিংহ-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হাসানের বৈধতার বিরুদ্ধে তিনটি আপিল আবেদন জমা পড়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল গত বৃহস্পতিবার। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষ হয়েছে সোমবার। যাচাই–বাছাই শেষে ২ হাজার ৭১২ জনের মধ্যে ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। আর বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ১ হাজার ৯৮৫ জনের মনোনয়নপত্র। স্বাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতা, ঋণ কিংবা বিল খেলাপি আর দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে এসব মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়া প্রার্থীদের আপিল আবেদন শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার, যা চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিল আবেদনের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৫ ডিসেম্বর নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন। এতে মোট প্রার্থীর সংখ্যায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।
তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর, আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনের প্রচার শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে। চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।