ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভোটগ্রহণ শেষ, গণনার প্রস্তুতি/ছবি: সৈয়দ মেহেদী

ভোটগ্রহণ শেষ, গণনার প্রস্তুতি/ছবি: সৈয়দ মেহেদী

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ২৯৯ আসনে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। একটানা  বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এরেই মধ্যে ভোট গণনা শুরু হয়েছে।

নির্বোচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভোটের লড়াইয়ে ভোটাররা যাদের পক্ষে রায় দেবেন তারাই আগামী পাঁচ বছরের জন্য সরকার গঠন করবেন।

সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে। এ সময় স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা গেছে ভোটারদের। ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে সতর্ক অবস্থানে ছিলো আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। এবার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারাদেশে বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় ছয় লাখ আট হাজার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। যানবাহন চলাচলের ওপর আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ।

তবে ভোট শুরু পর থেকে অনিয়ম, কারচুপি, এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করছে বিএনপি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পাল্টা হামলা অভিযোগ করেছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, সামগ্রিক পরিস্থিতি বলে মন খারাপ করাতে চাই না। কিন্তু মিনিটে কল আসছে, যে ভাই আমাদের এখানে তো রাতেই (ভোট) হয়ে গেছে। সন্ধ্যার পরে থেকেই শুরু হয়ে গেলো। এগুলো দু:খজনক, লজ্জাজনক, আইনানুগভাবে এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের দাবি, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ হয়েছে।দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারা কেএম নূরুল হুদার সাংবাদিকদের বলেন, সারাদেশে দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচনী পরিস্থিতি ভালো ছিলো। সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে। দুই-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে।

সারাদেশে অনিয়মের অভিযোগ এনে ধানের শীষসহ বিভিন্ন দলের প্রায় অর্ধশতাধিক প্রার্থী ভোট বর্জন করেন। এছাড়া নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ প্রায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। সহিংসতার কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

এছাড়া এবার প্রথম সংসদ নির্বাচনে ছয় আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশে স্বত:স্ফূর্তভাবে ইভিএমে ভোট প্রদান করতে দেখা যায় ভোটারদের। দৈবচয়নের ভিত্তিতে ছয়টি সংসদীয় আসন নির্ধারণ করে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ছয়টি আসনের মধ্যে ছিলো ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা- ২ আসন, সাতক্ষীরা-২ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়।

জানা গেছে, নির্বাচনে ভোটার ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫জন। আর মহিলা ভোটার ৫ কোটি ১৬  লাখ ৬৬ হাজার ৩১২ জন। ভোটে ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার ( দুইজন বিভাগীয় কমিশন ও ৬৪ জন জেলা প্রশাসক) দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজার ১৮৩। ভোকক্ষ ২ লাখ সাত হাজার ৩১২টি। ভোটে ৪০ হাজার ১৮৩জন প্রিসাইডিং অফিসার, দুই লাখ সাত হাজার ৩১২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬২৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন।

ভোটে লড়েছেন প্রার্থী ১ হাজার ৮৬১

সব প্রক্রিয়া শেষে সংসদ নির্বাচনে ভোটের ব্যালটে ছিলো ১ হাজার ৮৬১ প্রার্থীর নাম; তাদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১৭৩৩ জন; বাকি ১২৮ জন স্বতন্ত্র। আওয়ামী লীগ ও শরিকদের মিলিয়ে নৌকার ২৭২ জন প্রার্থী চূড়ান্ত লড়াইয়ে আছেন। তাদের বিপরীতে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি ও শরিকদের প্রার্থী সংখ্যা ২৮২। স্বতন্ত্র প্রার্থী  ১২৮ জন।

দলগুলোর মধ্যে এলডিপির ৮ (ধানের শীষ ৪), জেপি ১১ (মহাজোট ২), সাম্যবাদী দল ২, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৮ (ধানের শীষ ৪), সিপিবি ৭৪, আওয়ামী লীগ ২৬০ (নৌকা ২৭২), বিএনপি ২৫৭ (ধানের শীষ ২৮২), গণতন্ত্রী পার্টি ৬, ন্যাপ ৯, জাতীয় পার্টি ১৭৫ (মহাজোট ২৫), বিকল্পধারা ২৬ (নৌকা ৩), ওয়ার্কার্স পার্টি ৮ (নৌকা ৫), জাসদ ১১ (নৌকা ৩), জেএসডি ১৯ (ধানের শীষ ৪), জাকের পার্টি ৯০, বাসদ ৪৪, বিজেপি ৩ (ধানের শীষ ১), তরিকত ফেডারেশন ১৭ (নৌকা ১), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ২৪, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ ৪৮, এনপিপি ৭৯, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম ৮ (ধানের শীষ ৩), গণফোরাম ২৮ (ধানের শীষ ৭), গণফ্রন্ট ১৩, পিডিপি ১৪, বাংলাদেশ ন্যাপ ৩, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১১, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১৮, কল্যাণ পার্টি ২ (ধানের শীষ ১), ইসলামী ঐক্যজোট ২৫, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ৫, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২৯৮, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ২৫, জাগপা ৪, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ২৮, খেলাফত মজলিস ১২ (ধানের শীষ ২), বিএমএল ১, মুক্তিজোট ২, বিএনএফ ৫৭ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে রয়েছেন।

ভোটের মাঠে ৬ লাখ ৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য

ভোটে ভোটকেন্দ্র এবং নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ৬ লাখ আট হাজার সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত ছিলো। এরমধ্যে পুলিশ প্রায় এক লাখ ২১ হাজার, আনসার প্রায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার, গ্রাম পুলিশ প্রায় ৪১ হাজার। ভোটে ৩৮৯ উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৪১৪ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), ১৮ উপজেলায় নৌবাহিনীর ৪৮ প্লাটুন, ১২ উপজেলায় কোস্টগার্ডের ৪২ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), বিজিবির ৯৮৩ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), র্যা বের প্রায় ৬শ' প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের প্রায় ২ হাজার প্লাটুন (প্রায় ৬৫ হাজার) দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও সারাদেশে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের টহল দল নিয়োজিত।

ভোটের মাঠে ১ হাজার ৩২৮ জন অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট:

ভোটের মাঠে ১৩শ' ২৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য ৬৫২ জন অবশিষ্ট ৬৭৬ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল/ স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে নিয়োজিত ছিলেন।  এছাড়াও ৬৪০ জন জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে ১২২টি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটিতে ২৪৪জন দায়িত্ব পালন করেছেন।

নির্বাচনে ৮১টি প্রতিষ্ঠানের ২৫ হাজার ৯০০ জন দেশীয় পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেছেন। এছাড়াও ফেমবোসা, এএইএ, ওআইসি ও কমনওয়েলথ হতে আমন্ত্রিত ও অন্যান্য বিদেশী পর্যবেক্ষক ৩৮ জন, কূটনৈতিক ও বিদেশী মিশনের ৬৪ জন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশস্থ দূতাবাস, হাইকমিশন বিদেশী সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশী ৬১ জনসহ মোট ১৬৩ জন দায়িত্ব পালন করবেন।

ফলাফল ঘোষণা

ফলাফল কেন্দ্রেই গণনা করা হবে। প্রিজাইডিং অফিসার ফলাফল গণনার পর উপস্থিত পোলিং এজেন্টদের কাছে হস্তান্তর করবেন। এরপর তিনি ফলাফল ও মালামাল সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের কার্যালয়ে এসে লিখিতভাবে জমা দেবেন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার সেই ফলাফল রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন। পরে রিটার্নিং অফিসাররা আরএমএস -এর মাধ্যমে (ইসির ইন্টারন্যাল সাইট) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাবেন। সচিবালয়ে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে ৮টি বিভাগের জন্য ৮টি মনিটর থাকবে। সেগুলো আমরা মনিটরে দেখাবো। এই ৮টি বিভাগকে একত্র করে একটি মনিটরে দেখানো হবে। আরও একটি মনিটর থাকবে রাজনৈতিক দলভিত্তিক। এই ১০টি মনিটরের মাধ্যমে ফলাফল দেখানো হবে। ওখানে একটি মঞ্চ থাকবে, সেখান থেকে ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করা হবে।

গাইবান্ধা- ৩ আসনে একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট স্থগিত করে পুনঃতফসিল দেয়া হয়েছে। এই আসনে ২৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছে ইসি।

   

ভোটে অনিয়ম, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ পৌর নির্বাচনে আটক তিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভার উপ-নির্বাচনে স্কুল শিক্ষক ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ তিন ভোট কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৬ জুন) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সকালে বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভা মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে ৯নং কেন্দ্রে (সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উত্তর পাশের ভবন, উত্তর বিজয়পুর (পুরুষ) কেন্দ্র) বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভোটগ্রহণের কার্যক্রম পরিদর্শনে গেলে ওই কেন্দ্রে কর্তব্যরত প্রিসাইডিং অফিসার মো. সাইদুর রহমান (ব্যবস্থাপক, গৌরনদী সোনলী ব্যাংক শাখা), সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন (প্রধান শিক্ষক, উত্তর কান্ডপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়), সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার সঞ্জয় কুমার ভদ্রকে (জাতীয় মহিলা সংস্থা, গৌরনদী উপজেলা) ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে পুলিশের সহায়তায় ১৮ হাজার টাকাসহ আটক করেন।

আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) অনুমান রাত ১০টায় গৌরনদী পৌরসভা মেয়র পদে উপ নির্বাচনে এইচএম জয়নাল আবেদীনের (মোবাইল প্রতীক) পক্ষে তার সমর্থকরা ওই প্রার্থীর পক্ষে সহায়তা করার জন্য টাকাগুলো প্রদান করেছেন।

আটকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গৌরনদী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। গৌরনদী থানা পুলিশ কর্তৃক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

সকাল ৮টায় এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

;

ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা, উপ-নির্বাচনের নির্দেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা

ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। পাশাপাশি ওই পৌর সভায় মেয়রের শূন্য পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই প্রজ্ঞাপন পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের শেখ মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে পৌরসভার ১১ জন কাউন্সিলর কর্তৃক বিভিন্ন অভিযোগে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় সরকার তথা স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৮ (১২) মোতাবেক ইসলামপুর পৌরসভার মেয়রের আসনটি রোববার (২৩ জুন) থেকে শূন্য ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া বিধানমত পৌরসভার মেয়রের শূন্য পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ১১ জন কাউন্সিলর কর্তৃক আনীত স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মালামাল লুট, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগসমূহ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও টানা তৃতীয় বারের মতো পৌরসভার মেয়র পদে দায়িত্ব পালনকারী আব্দুল কাদের শেখকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

বরখাস্তের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন আব্দুল কাদের শেখ। গত ৬ মে ওই রিট আবেদন শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত বেঞ্চ মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন।

এ ঘটনায় পৌর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে । সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এদিকে কাউন্সিলদের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা।

মেয়র পদ শূন্য ঘোষণার পর পরই উপ-নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ দফতর সম্পাদক এবং দুই বারের পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র বাবু অঙ্কন কর্মকার এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুই বারের পৌর কাউন্সিলর মোহন মিয়া।

জামালপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণার বিষয়টি অবগত হয়েছে। যথা সময়ে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

বিভ্রান্তিকরণ তথ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেবে ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকরণ তথ্য ব্যবস্থাপনায় করণীয় শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান। সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালীকরণ নিয়েও অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে।

সংস্থাটির উপ-সচিব মো. শাহ আলম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির হিসাব শাখায় পাঠিয়েছেন।

সম্মেলনটি আগামী ১৮ থেকে ১৯ জুলাইয়ে ব্রিটেনের ক্যামব্রিজে অনুষ্ঠিত হবে।

ইসি জানায়, ক্যামব্রিজ কনফারেন্স অন ইলেকটোরাল ডেমোক্রেসি শিরোনামে ওই সম্মেলনে অংশ নিতে ১৭ থেকে ২৬ জুলাই ব্রিটেন সফর করবেন মো. আহসান হাবিব খান। সম্মেলন কর্তৃপক্ষ তিনদিনের স্থানীয় থাকা খাওয়া ও যাতায়াত ব্যয় বহন করবে। বিমান ভাড়া বহন করবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। সম্মেলন শেষে ২১ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনার নিজেই ব্যয় বহন করবেন।

জানা গেছে, সম্মলেনে বিভিন্ন নির্বাচন কমিশন তাদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করতে পারবে। এছাড়া পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে থাকবে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বৈঠকের সুযোগ।

মূলত কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচন কমিশনগুলোর এ সম্মেলনে সংস্থাগুলো সর্বশেষ আইনি পরিমার্জন, ভোটার শিক্ষণ পদ্ধতি, অংশগ্রহণ, আন্তর্জাতিক সংস্থার ভূমিকা, গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রভৃতি নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে।

;

পৌর উপনির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট

প্রয়োজনে সারারাত ডাকঘর খোলা রাখার নির্দেশ ইসির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঞ্চন পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন এবং বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভার মেয়রের শূন্যপদে উপনির্বাচন উপলক্ষে ভোটের হিসাব বিবরণী পাঠানোর সুবিধার্থে আগামী ২৬ জুন বুধবার বিকেল ৫টা থেকে প্রয়োজনে সারারাত ও পরের দিন সকাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ডাকঘর খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

শনিবার (১৫ জুন) ইসি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালককে পাঠানো হয়েছে।

মো. আতিয়ার রহমান বলেন, আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঞ্চন পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন এবং বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভার মেয়রের শূন্যপদে উপনির্বাচনে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসাররা ভোটগণনার বিবরণীর একটি কপি ডাকযোগে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন।

ভোটগণনার বিবরণী যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশনে পৌঁছানোর জন্য প্রিজাইডিং অফিসার অগ্রিম ডাকমাশুল পরিশোধ না করে কাছাকাছি যে কোনো ডাকঘর থেকে বীমাকৃত ডাকযোগে অথবা প্রাপ্তিস্বীকার রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পাঠাবেন।

প্রিজাইডিং অফিসার সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিস থেকে অবশ্যই প্রাপ্তি স্বীকার গ্রহণ করবেন। এমন কী ভোটগ্রহণের পরের দিনও উল্লিখিত খামে প্রাপ্ত ভোটগণনার বিবরণী একই পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।

উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, প্রিজাইডিং অফিসাররা যাতে অগ্রিম ডাক মাশুল পরিশোধ না করে কাছাকাছি যে কোনো ডাকঘর থেকে ভোটগণনার বিবরণী বীমা করে ডাকে অথবা প্রাপ্তি স্বীকার রেজিস্টার্ড ডাকে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে পারেন, সে জন্য ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিন অর্থাৎ ২৬ জুন বুধবার বিকেল ৫টা থেকে প্রয়োজনে সারারাত ও পরের দিন সকাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ডাকঘরগুলো খোলা রেখে ডাকে পাঠানো ফলাফল বিবরণী জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর নিশ্চয়তা বিধানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

;