বরিশাল-৫ আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় নৌকার প্রার্থী, মাঠে নেই কেউ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর বৈধতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে উচ্চ আদালতে দৌড়াদৌড়ির কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থকরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর মনোনয়ন বাতিল করার জন্য চ্যালেঞ্জ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে উচ্চ আদালতে দারস্থ হয়েছেন।
অন্যদিকে জেলা রিটানিং অফিসার কর্তৃক নৌকা প্রতীক পেয়ে জাহিদ ফারুক শামীমের নির্বাচনী সমন্বয়ক সহ আওয়ামী লীগের এক অংশ সমর্থকরা মাঠে নির্বাচনী প্রচার করাসহ লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিসিসি মেয়র ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ জেলা রিটানিং অফিসার কর্তৃক বৈধতা পেলেও তার প্রতি নৌকা প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম দ্বৈত নাগরিকের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হয়। সেখানেও সাদিকের মনোনয়ন বাতিল রায় ঘোষণা করা হলে পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে স্বতন্ত্র প্রাথী সাদিক আব্দুল্লাহর আপিল করে। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্ধের দিন অবকাশকালীন উচ্চ আদালত ( হাইকোর্ট) বেঞ্চ সাদিক আব্দুল্লাহর পক্ষে মনোনয়ন বৈধতা রয়েছে বলে আদেশ দিলে নৌকা প্রার্থীর পক্ষ থেকে পুনরায় আপত্তি জানিয়ে আপিল করলে সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা ফের বাতিল হয়।
বরিশাল সদর-৫ সংসদীয় আসনে অপর স্বতন্ত্রসহ ৫জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর শুধু নৌকার প্রচারণা ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারনায় মাঠে এখনও নামেনি। অন্যকোন প্রার্থীর কোন পোস্টার শহরে দেখা যায় নাই।
বরিশাল মহানগর যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগকে ভালবাসেন তারাই নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যশা কামনা করছি আমাদের এখানে অন্য কোন বিরোধ নেই। এছাড়া আমরা কোন প্রতিহিংসা বা সহিংসতা কামনা করি না। এছাড়া আমরা নির্বাচনে অংশ নেয়া অপর ৫ প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি।