নৌকার প্রার্থীর টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরাল, ব্যবস্থা নেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নৌকার প্রার্থীর টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরাল

নৌকার প্রার্থীর টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরাল

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান প্রকাশ্যে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করছেন এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবকে ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রামগঞ্জের কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাঞ্চনপুর গ্রামে নির্বাচনী কেন্দ্রের সামনে টাকা বিতরণের ঘটনাটি ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি যুবলীগ নেতা শেখ কাউসারের কাছে ৫ হাজার টাকা দিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

ভিডিওটি প্রথমে কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শেখ কাউসারের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা হয়। এরপর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পরে কাউসার ভিডিওটি ডিলিট করে দিয়েছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, আনোয়ার খান পকেট থেকে টাকা বের করে কাউসারকে দিচ্ছেন। এসময় তাকে বলতে শোনা যায় ৫ হাজার টাকা দিয়েছি, হবে?

এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা শেখ কাউসার জানান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী কার্যালয়ের সচিব হিসেবে আনোয়ার খানের ভাই খোরশেদ খান দায়িত্বে রয়েছেন। খোরশেদের পরে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। কে বা কারা ভিডিওটি তার আইডিতে ছেড়েছে তা তিনি জানেন না। আনোয়ার খানের ফোন পেয়ে তিনি ভিডিওটি ডিলিট করেছেন। তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ভিডিওটি ছাড়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যায় ৪ শতাধিক লোকজন নিয়ে নৌকার পক্ষে মিছিল করা হয়েছে। পরে নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে এসে সবাই জমায়েত হয়। এসময় এমপি সাহেব (আনোয়ার) সময় দিতে পারবেন না বলে সবাইকে চা-নাস্তা করার জন্য টাকা দেন। তখন সবাই তাকে আমার কাছে টাকা দেওয়ার জন্য বলে। এতে তিনি আমার কাছে ৩ হাজার টাকা দেন। একজন প্রার্থী চা খাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের টাকা দিতেই পারেন। ভোটের জন্য টাকা কখনো প্রকাশ্যে দেই না। ওই টাকা অন্ধকারে দেওয়া হয়। একটি চক্র ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।

বক্তব্য জানতে নৌকার প্রার্থী ও রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন খানকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলাম বলেন, ঘটনাটি কি ঘটেছে তা আমার জানা নেই। কেউ আমার কাছে কোনো অভিযোগও করেনি। যেহেতু ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই বিষয়টি খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।