শেষ হলো নির্বাচনী প্রচার, অপেক্ষা ভোটের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সহিংসতার মধ্য দিয়ে শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। এখন অপেক্ষা আর মাত্র দুই দিনের। ৭ জানুয়ারি বহুল প্রতীক্ষিত ভোট।

গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার পর পরই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন প্রার্থীরা। আর শেষ দিনে বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা জোর প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এদিন বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। নির্বাচনী সংঘাতে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদরে বুধবার গভীর রাতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ক্যাম্পে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ডালিম সরকার নামে নৌকার প্রার্থীর এক কর্মী নিহত হন। একই দিন বিকেলে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলের নির্দেশনা অনুসরণ করে ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে ভোটের প্রচার শুরু হয়। প্রচার শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টার পর কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও প্রচারের অনুমতি দেবে না ইসি।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনী প্রচার শেষ হওয়ার একদিন পর রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নওগাঁ-২ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।

এবারের নির্বাচনে সারা দেমে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ। তাদের মধ্যে নতুন ভোটার রয়েছেন ১ কোটি ৫৪ লাখ। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭৬ লাখ এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ। আর ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন ৮৪৯ জন।

যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা


জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার মধ্যরাত থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য ট্যাক্সিক্যাব, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসনের সদস্য ও অনুমোদিত পর্যবেক্ষক, জরুরি সেবার যানবাহন, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অভিন্ন কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র এবং সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন, দূরপাল্লার যানবাহন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।

সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় মহাসড়ক, প্রধান আন্তঃজেলা রুট, মহাসড়ক এবং প্রধান মহাসড়কের সংযোগ সড়কের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।