কেন্দ্রে ভোটার আনায় বড় চ্যালেঞ্জ
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালে সহিংসতার আশঙ্কার আবহেই রোববার ৭ জানুয়ারি হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২৯৯ আসনে ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী লড়াই করছেন। বাকিরা নিজ নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছেন। নওগাঁ-২ আসনের বৈধপ্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই আসনে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
নিবন্ধিত ৪৪ রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতসহ ১৬ দল নির্বাচন বর্জন করে হরতাল-অবরোধ ও জনসংযোগের মাধ্যমে ভোট ঠেকানোর চেষ্টা করছে। তারা শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।
এবারের নির্বাচন দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্য না হলে দেশ এক গভীর সংকটে পড়বে। স্যাংশনের খড়গ মাথায় ঝুলছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো অধিকাংশই অর্থাৎ ২৮টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও একে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে নারাজ নির্বাচনী বিশ্লেষকগণ। সমমনা দল, আসন সমঝোতা, ডামি প্রার্থী, পছন্দের প্রার্থী দাঁড় করিয়ে প্রার্থী সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে তাদের অভিমত।
এমতাবস্থায় নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে গলদঘর্ম হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তারা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা দেখানোর চেষ্টা করেছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে এতো আয়োজনের পরও ভোটার ভোটকেন্দ্রে না আসলে সব উদ্দেশ্য বিফলে যাবে। তাই ভোটার কেন্দ্রে আনায় নির্বাচন কমিশনের বড় চ্যালেঞ্জ।
আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের ভাষণেও ভোটারদের ভোট দিতে উৎসাহ দেওয়ার বিষয়টি প্রধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, ভোটারদের অংশগ্রহণই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। নিবন্ধিত দলগুলো নির্বাচনে আসবে বলেই নিবন্ধিত হয়েছে। কে নির্বাচনে আসল, কে আসলে না সেটা কমিশনের দেখার বিষয় নয়।
এদিকে, নির্বাচনে সহিংসতা ঠেকাতে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮ লাখেরও বেশি সদস্য মাঠে নেমেছে গত ৩ জানুয়ারি।
ভোটার কেন্দ্রে আনতে সরকারও বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে ভোটারদের ভোট না দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তকমা দিতে কেন্দ্রে ভোটার আনার কোন বিকল্প নেই।