গাইবান্ধায় ছেড়ে দেওয়া ২ আসনেই লাঙলের পরাজয়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার সংসদীয় পাঁচটি আসনের মধ্যে জাপা-আ.লীগ সমঝোতায় দুটি আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আসন দুটিতে নৌকার প্রার্থীরা মনোনয়ন পেলেও দলের নির্দেশে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। পরে ছেড়ে দেওয়া আসন দুটিতে জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয় দুই জাপা প্রার্থী। কিন্তু আ. লীগ ছেড়ে দিলেও দুটি আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যায় জোটের এই দুই লাঙল। তাদের মধ্যে আবার একজন হেরে যান বিপুল ভোটের ব্যবধানে।

গাইবান্ধার পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯ গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসন। জাপার সাথে ক্ষমতাসীন আ.লীগের সমঝোতায় এই আসনের নৌকার প্রার্থী আফরোজা বারী দলের নির্দশে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। আফরোজা বারী সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও ওই আসনের প্রয়াত সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোন। 

বিএনপি না থাকা এই নির্বাচনে আসনটিতে জোটগত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ওই আসনের বর্তমান সাংসদ ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। কিন্তু জোটগত সিদ্ধান্তে আ.লীগ মনোনীত আফরোজা বারী দলের চাপে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী  হিসেবে ঢেঁকি প্রতীক নিয়ে লাঙ্গলের বিপক্ষে ওই আসনে লড়াই নামেন তারই মেয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিড়নিয়ার আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (সাগর)। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে তাঁর নাম রয়েছে।

ভোট যুদ্ধে জাপাসহ আরও ৯ জন প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জোটের প্রার্থী লাঙলকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারান তিনি। ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার ১১৪ কেন্দ্রে ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। 

অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওই আসনের এমপি ও জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের জোটগত প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট পেয়ে হেরে যান। ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ওই আসনের বর্তমান সাংসদ। 

জাতীয় পার্টির দূর্গ এই আসনটিতে ২০০১ সালে জামায়াতের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ২০০৮ সালে আবারও আসনটি দখলে নেয় জাতীয় পার্টি। এরপর ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হয়ে ২০১৬ সালে নিজ বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।

তার মৃত্যুতে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন তৎকালীন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। পরে ওই বছর তিনিও সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মারা গেলে পরের উপ-নির্বাচনে ২০১৭ সালে এমপি নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। এছাড়া ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি এমপি নির্বাচিত হন।

অপরদিকে, ৩০ গাইবান্ধা-২ সদর আসন। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এ আসনটিও জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ছেড়ে দেয়। ছেড়ে দেওয়ার ফলে এ আসনে জোটের প্রার্থী হয়ে লাঙল নিয়ে লড়েন এ আসনের  পরপর দুইবারের নির্বাচিত সাবেক সাংসদ ও একবারের উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ সরকার। তিনি এই আসনে ১৯৯১-১৯৯৬ সালে দুই দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচি হয়েছিলেন। এছাড়া আব্দুর রশীদ সরকার ২০০৯ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

কিন্তু এই আসনের নৌকার মনোনয়ন পাওয়া টানা তিনবারের এমপি ও জাতীয় সাংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি দলের নির্দেশে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও ভোট যুদ্ধে নৌকার মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে আর দলীয় নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সুযোগ পাওয়ায় শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবীর (ট্রাক)। তিনি জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগ করা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি গণপরিষদের প্রথম স্পীকার শাহ আব্দুল হামিদের নাতী। 

নির্বাচনে জোটগত প্রার্থী আব্দুর রশীদ ছাড়াও আরো তিন প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সারোয়ার। আসনের ১১৪ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে ৬৪ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবির। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল প্রতীকের জোটগত প্রার্থী আব্দুর রশিদ সরকার ৬১ হাজার ৩৭ ভোট পেয়ে হেরে যান।

গাইবান্ধা-২ এই সদর আসনে ১৯৭৩ ও ৭৯ সালে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এরপর ১৯৮৬ ও ৮৮ সালে এমপি হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারপর ৯১ ও ৯৬ এ জাতীয় পার্টির দখলে যায় আসনটি। আর সর্বশেষ ২০০১ থেকে এ পর্যন্ত সদর আসন নিজেদের দখলে রেখেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

   

উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর

উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সাথে তিনি এই কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩ দশমিক এক শতাংশ।

 

;

উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা

উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বান্দরবান সদর উপজেলা ও আলীকদম উপজেলায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুস মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা। আব্দুল কুদ্দুসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ কে এম জাহাঙ্গীর আনারস প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৭৬২ ভোট। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদেও রয়েছেন জাহাঙ্গীর, তিনি বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

অন্যদিকে আলীকদম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত জামাল উদ্দিন (দোয়াত কলম)। তিনি ভোট পেয়েছেন নয় হাজার ৪৭০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম (আনারস) পেয়েছেন সাত হাজার ৪১৫ ভোট। তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

বান্দরবান সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারুক আহমেদ ফাহিম উড়োজাহাজ প্রতীকে ১৩ হাজার ৩২১ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহাইনু মারমা প্রজাপতি প্রতীকে ১৭ হাজার ৯০ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা উভয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।

এছাড়া আলীকদম উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ রিটন ৯ হাজার ৬৩ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিরিন আক্তার ৮ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা উভয়ে বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত।

 

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভোটের হার ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ। বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে। তাই রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি তিন উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন। পরে সুবিধাজনক সময়ে এসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

ডোমার উপজেলার প্রথম নারী চেয়ারম্যান সুমি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদে সাত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ফারহানা আখতার সুমি। তিনি টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ (আনারস) পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট।

বুধবার (৮ মে) রাত ১১টার দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডোমার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম।

এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফল ঘোষণার আগ মুহূর্তে উপজেলা পরিষদের হলরুমে অতর্কিত হামলা চালান আনারস প্রতীকের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডন। তার নেতৃত্বে এ সময় উপজেলা পরিষদের হলরুমের চেয়ার, টেবিল, দরজা, জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর ও বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়ায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। হামলার সময় মিলনায়তনের চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। সে সময় মিলনায়তনে উপস্থিত নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রার্থীসহ সাংবাদিকেরা ভেতরে আটকা পড়েন। ফলে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় ফল ঘোষণা।

পরে রাত ১১টার সময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডোমার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম ফল ঘোষণা করেন। এই ফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে আবারও হট্টগোল করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আবার ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রায় ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।

সরকার ফারহানা আখতার সুমি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক এবং কল্যাণ ও পুনর্বাসন পদে রয়েছেন। অপরদিকে তোফায়েল আহমেদ সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৪ সালে ডোমারকে উপজেলা পরিষদ ঘোষণা করা হয়। গঠনের পর থেকে কোনো নারী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেননি। সুমি প্রথম নির্বাচন করেন এবং জয়লাভ করেন।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডোমার উপজেলায় ৭৫টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ অনুষ্টিত হয়। এ উপজেলায় তিন পদে ২১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তোফায়েল আহমেদ আনারস, ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন হেলিকপ্টার, সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক চৌধুরী কাপ-পিরিচ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেত্রী সরকার ফারহানা আখতার সুমি টেলিফোন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার ঘোড়া, রাকিব আহসান প্রধান কৈ মাছ, মদন মোহন সিংহ পিন্টু মোটরসাইকেল এবং এহছানুল হক দোয়াত কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: লালমনিরহাটে বিজয়ী যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
উপজেলা নির্বাচন: লালমনিরহাটে বিজয়ী যারা

উপজেলা নির্বাচন: লালমনিরহাটে বিজয়ী যারা

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ও পাটগ্রামে রুহুল আমিন বাবুল নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) রাতে তাদের বেসরকারি বিজয়ী ঘোষণা করে উপজেলা পরিষদ।

লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফুল কবির সরকার বার্তা২৪.কম-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ৩৪ হাজার ৯ শত ৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪ শত ৮১ ভোট।

পাটগ্রাম উপজেলায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল ৫৬ হাজার ১ শত ৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ওয়াজেদুল ইসলাম মাত্র ৯ শত ৩৫ ভোট পেয়েছেন।

এছাড়া হাতীবান্ধা উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলাউদ্দিন মিয়া ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমিন সুলতানা সাথী, পাটগ্রাম উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোফাজ্জল হোসেন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেজওয়ানা পারভীন বিজয়ী হয়েছেন।

;