বগুড়ায় উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা



গনেশ দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বগুড়া, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই বগুড়ায় উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল শোডাউন, শীতের রাতে গ্রামে গ্রামে গণসংযোগ, পোস্টারিং ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে জানান দিচ্ছে অনেকেই।

আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির নেতারা উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার-প্রচারণায় নামলেও বিএনপি ও জামায়াত এখনো নিশ্চুপ রয়েছে। আর সাধারণ ভোটারদের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নেই তেমন কোনো আগ্রহ।

বগুড়ার ১২টি উপজেলায় বর্তমানে বিএনপির ৭ জন এবং জামায়াতের ৫ জন নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান রয়েছেন। এর আগে ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে যারা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা সকলেই পরাজিত হন। দলীয় কোন্দলের কারণেই আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যানরা পরাজিত হন।

তবে এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ না নেয়া এবং আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ইঙ্গিত আসার পরপরই আওয়ামী লীগ নেতারা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন।

বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত বগুড়া জেলায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফল আওয়ামী লীগের পক্ষে তেমন একটা আসে না। তবে এবার বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের জয় অনেকটা সহজ হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547279841046.jpg

অপরদিকে সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়েও মুখ খুলছে না জামায়াত। দলটি থেকে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, এখনো সময় আসেনি। পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের যে সকল নেতারা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, তারাই নতুন করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন লাভের আশায় আবারো মাঠে নেমেছেন। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদ নিয়ে মাঠে নেমেছেন জাতীয় পার্টি থেকে কয়েকজন।

এদিকে শোডাউনের মধ্যে নতুন মুখের আনাগোনাও লক্ষ্য করা গেছে। তবে প্রার্থীরা দিন দিন সরব হয়ে উঠলেও ভোটারদের মধ্যে কোনো আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি।

বগুড়া সদরের মহিষবাথান গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক, শেখেরকোলা গ্রামের ভ্যান চালক হাফিজার, বাঘোপাড়ার চা দোকানি আব্দুস সাত্তারের কাছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, ভোট নিয়ে আলোচনার সময় তাদের নেই।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল বার্তা২৪.কমকে জানান, বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেবে না এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলের অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি চলছে।

অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক টি-জামান নিকেতা বার্তা২৪.কমকে জানান, আওয়ামী লীগের পক্ষে যারা মাঠে নেমেছেন, তারা মূলত নিজ নিজ উদ্যোগে শোডাউন করছেন। প্রার্থীদের নিয়ে দলীয় ভাবে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা এখনো হয়নি। তবে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অনেক ভালো করবে।

   

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;

৩০ উপজেলায় ব্যালট যাবে ভোটের একদিন আগে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১৬ জেলার ৩০ উপজেলায় আগের দিন ৬১৫ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। অন্যান্য স্থানে ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে ৩০ উপজেলার ৬১৫টি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সাথে ভোটগ্রহণের পূর্বের দিন ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি মালামালের সাথে ব্যালট পেপার প্রেরণের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমতি প্রদান করেছেন।

সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

যেসব উপজেলায় আগের দিন ব্যালট যাবে সেগুলো হলো- কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, অষ্টগ্রাম, গাইবান্ধা সদর, শিবগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা, কুমারখালী, ভোলা সদর, দৌলতখান, মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, বাহুবল, নবীগঞ্জ, খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, বিলাইছড়ি, রাজস্থলি, কাপ্তাই, লালমনিরহাট সদর ও সুন্দরগঞ্জ।

;