উত্তর সিটি নির্বাচনের চূড়ান্ত গেজেট আগামী সপ্তাহে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম, ছবি: বার্তা২৪

রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন ও নতুন সংযুক্ত ১৮ ওয়ার্ডের নির্বাচনে বিজয়ীদের গেজেট আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্থাপিত 'ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র' চূড়ান্ত ফল ঘোষণাকালে তিনি এ কথা জানান।

চূড়ান্ত ফলাফল ও বেসরকারি ফলাফলে কোনও হেরফের হয়নি উল্লেখ প্রার্থীদের উপস্থিতিতে ফলাফল ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম জানান, আগামী সপ্তাহেই চূড়ান্ত ফলের গেজেট প্রকাশ করে স্থায়ী সরকার বিভাগকে দিতে পারবো। যেসব প্রার্থী চূড়ান্ত ফল ঘোষণার সময় উপস্থিত থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারেননি। তারা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারবেন।

চূড়ান্ত ফলে বিপুল ভোটে বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন মেয়র নির্বাচিত হন। চূড়ান্তভাবে এক হাজার ২৯৫টি কেন্দ্রের সবকটির ফল ঘোষণা করা হয়। এতে নৌকা প্রতীকে মো. আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শাফিন আহমেদ পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪২৯ ভোট।

ডিএনসিসি নির্বাচনে অপর তিন মেয়র প্রার্থী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ১৫১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুর রহিম টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৪০৪ ভোট এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) শাহীন খান বাঘ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৮২১ ভোট।

নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। মোট ভোটকেন্দ্র এক হাজার ২৯৫টি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩১.০৫ শতাংশ। যা সংখ্যায় ৯ লাখ ২৩ হাজার ২৬ ভোট। এর মধ্যে বিভিন্ন কারণে ১৯ হাজার ৫১৩টি বাতিল করা হয়েছে। এক হাজার ২৯৫টি কেন্দ্রের মধ্যে কোনও কেন্দ্রেরই ভোট স্থগিত হয়নি। ডিএনসিসির ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন।

এর আগে গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট নেওয়া হয়। সকাল থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ঘুরে ভোটার উপস্থিতি তেমন একটা দেখা না গেলেও যেসব নতুন সংযুক্ত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচন হচ্ছে সেখানে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক মারা যান। এতে পদটি শূন্য হয়ে যায়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মেয়র পদে উপনির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে। কিন্তু সম্প্রসারিত ওয়ার্ডগুলোর সীমানা নির্ধারণ জটিলতার কারণে উত্তর ও দক্ষিণের দুজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করায় নির্বাচন পিছিয়ে যায়। এই রিট জটিলতার সমাধান হওয়ায় উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণের সম্প্রসারিত ৩৬টি ওয়ার্ডে নির্বাচন এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের মৃত্যু হওয়ায় সেখানে বৃহস্পতিবার উপনির্বাচন হয়েছে।

   

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপ

১শ ১৬ জন কোটিপতির প্রার্থীর লড়াই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ১শ ৫৭টি উপজেলায় ১শ ১৬ জন কোটিপতি প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়াই করছেন বলে জানিয়েছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় টিআইবি।

টিআইবি জানায়, উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১শ ৫৭টি উপজেলায় একহাজার ৮শ ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে ১শ ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন কোটিপতি, যা আগের নির্বাচনের তুলনায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন, ১শ ৫ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছে আটজন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোটিপতির সংখ্যা তিনজন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোটিপতি সম্পদের তালিকার শীর্ষে আছেন নোয়াখালীর সেনবাগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম মানিক। তার অস্থাবর সম্পদ মোট ৮৪ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ধামরাইয়ের সুধীর চৌধুরী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ৩৫ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে আছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ২২ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা।

ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এইক্ষেত্রে দেখা যায়, অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে, স্ত্রীর সাড়ে ১১ হাজার ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার চারশত শতাংশ।

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;