উপজেলা নির্বাচন: নিরাপত্তায় থাকবে গ্রাম পুলিশ



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বার্তা২৪.কম

বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে ভোটের মাঠে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে গ্রাম পুলিশ। শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য ইতোমধ্যে নিরাপত্তার ছক চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সাধারণ ও বিশেষ এলাকায় (পার্বত্য অঞ্চল, দীপাঞ্চল ও হাওর) পৃথক সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তবে পরিস্থিতি বিচেনায় স্থানীয় ডিসি-এসপিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষমতা পাবেন।

জানা গেছে, সারা দেশে বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭১টি। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ১০ জন গ্রাম পুলিশ (১ জন দফাদর ও ৯ জন মহল্লাদার) রয়েছেন। এ হিসাবে বর্তমানে সারা দেশে গ্রাম পুলিশের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৭১০ জন। তারা গ্রামের উন্নয়ন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পাশাপাশি চোর-ডাকাত-সন্ত্রাসীদের ধরতে তারা পুলিশকে সহযোগিতা করেন। উপজেলা নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে গ্রাম পুলিশ। ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রাম পুলিশের কাজের অভিজ্ঞতা উপজেলার ভোটের মাঠে কাজে লাগাতে চায় ইসি। সে আলোকে তাদের উপজেলা নির্বাচনের দায়িত্বে রাখার পরিকল্পনা করেছে ইসি।

সর্বশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি ৬৪ জেলায় প্রায় ৪৫ হাজার ৭১০ জন গ্রাম পুলিশ ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণত গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণ ও তাদের মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশ থাকে। মহল্লাদার ও দফাদারদের সমন্বয়ে গঠিত গ্রাম পুলিশের কাজ হচ্ছে ইউনিয়নের গ্রাম ও মহল্লায় প্রহরার ব্যবস্থা করা এবং পুলিশকে অপরাধ দমনে সাহায্য করা। সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি বা কোনো কারণে ইউনিয়নে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো পরিস্থিতির বিষয়ে থানার ওসিকে মহল্লাদার ও দফাদার অবহিত করেন এবং ১৫ দিনে অন্তত একবার তার কাছে রিপোর্ট করেন। এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মহল্লাদার ও দফাদাররা ম্যাজিস্ট্রেটের হুকুম ও ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারে। এক্ষেত্রে কেউ যদি কোনো আদালত অগ্রাহ্য অপরাধ করে বা কারো কাছে কোনো সিদেল যন্ত্র বা চোরাই মাল থাকে এবং কেউ জেলখানা থেকে পালিয়ে গ্রামে আত্মগোপন করলে। কিন্তু তাদেরকে যতদ্রুত সম্ভব থানায় সোপর্দ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া মহল্লাদারের আরেকটি অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করা।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোট কেন্দ্রের পাহারায় সাধারণ ভোটকেন্দ্রে দুইজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার সদস্য ৯ জন (মহিলা-৩, পুরুষ-৬) ও গ্রাম পুলিশ একজন। গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে তিনজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার সদস্য ৯ জন (মহিলা-৩, পুরুষ-৬) ও গ্রাম পুলিশ একজন। বিশেষ এলাকার কেন্দ্রে (পার্বত্য এলাকা, দীপাঞ্চল ও হাওর) তিনজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার সদস্য ৯ জন (মহিলা-৩, পুরুষ-৬) ও গ্রাম পুলিশ একজন। আর বিশেষ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার সদস্য ৯ জন (মহিলা-৩, পুরুষ-৬) ও গ্রাম পুলিশ একজন মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহল দেবেন।

নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা -২) ফরহাদ আহম্মদ খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সকল পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এবার সংসদ নির্বাচনেও দায়িত্ব পালন করবর গ্রাম পুলিশ। এছাড়াও অন্যান্য বাহিনীয় সদস্যরা বিগত নির্বাচনগুলোর মতই দায়িত্ব পালন করবেন। তবে ডিসি-এসপিরা পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ক্ষমতা পাবেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ১০, ১৮, ২৪ ও ৩১ মার্চ চার ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে প্রথম ধাপে ৮৬ উপজেলা এবং দ্বিতীয় ধাপে ১২৪ উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। তৃতীয় ধাপে ১২৭ উপজেলা ও চতুর্থ ধাপে ১২২ উপজেলায় ভোট হবে। পঞ্চম ধাপে বাকি উপজেলার ভোট হবে ১৮ জুন।

   

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে সেটি কেন্দ্রের পাশের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২১ মে) পৌর শহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ছিনতাই হওয়া ব্যালটে পূর্ণ বাক্সটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে দিলে প্রিসাইডিং অফিসার বাক্সটি অক্ষত থাকায় ভোটগুলো গণনা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূঁইয়ার সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা লোকজন নিয়ে পৌর শহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোট গণনার সময় একটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে তারা ব্যালট বাক্সটি পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পুকুর থেকে ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার করে। শামীম মোল্লা আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর ফরহাদ শামীম। পরে তিনি ব্যালট বাক্সটি দেখে ভোট অক্ষত অবস্থায় থাকায় তা গণনার জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহ ইলিয়াস উদ্দিনকে নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভির ফরহাদ শামীম বলেন, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনে আমি দ্রুত সেখানে যাই। গিয়ে ব্যালট বাক্সটিকে অক্ষত অবস্থায় পাই। পাশাপাশি ব্যালট পেপারেও কোনো সমস্যা পাইনি। যার কারণে ব্যালট গুলো গণনা করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারকে বলি।

তিনি আরও বলেন, আমরা গিয়ে কাউকে পাইনি। যদি তাদের পাওয়া যেত তাহলে সাথে সাথে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হত।

;

মাগুরার ২ উপজেলায় আবদুল মান্নান ও শ্যামল কুমার দে বিজয়ী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরার দু’টি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার দে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

মহম্মদপুর উপজেলায় ৬৪টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ৫৪টি কেন্দ্র ৮৫০টি বুথে ভোট গ্রহণ হয়। মহম্মদপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬২ জন।  শালিখা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কঠোর। ভোট চলাকালে কোনো বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেনি।

;

কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১

কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার প্রথম নির্বাচনে হামলা, অবরোধ এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।  মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখা দিলেও ভোটগ্রহণ শেষ হতেই খবর আসে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে টেলিফোন প্রতীকের এক কর্মী সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে।

টেলিফোন মার্কার সমর্থক দেলোয়ার নামক এক ব্যক্তিকে আটক করে রাখে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকেরা এ খবরে তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতের শিকার হন নিহত সফুর আলম।

পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মামমোরা পাড়া এলাকার নুর উদ্দিন এর ছেলে সফুর আলম।

দেলোয়ার জানান, তিনি একটি বাড়িতে খাবার খেতে গেলে সেখানে তাকে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মীরা সমর্থকেরা আটকে রাখে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারে ছুটে গেলে সেখানে সফুর আলমকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

পরে আহতকে উদ্ধার করে ৪ টা ২০ মিনিটের সময় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ড. সাজ্জাদুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালেব।

;

সিলেটে ভোট কেন্দ্রে অসুস্থ ভোটার, হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ভোট দিতে গিয়ে মফিজ মিয়া নামের এক ভোটারের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর ১টার দিকে তেলিকাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে মারা যান তিনি।

মৃত মফিজ মিয়া (৫৫) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাতল পাড়ের বেলাজুর গ্রামের সাবেক মৃত তাজু ইসলামের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর।

তিনি বলেন, ভোটের মাঠে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে শুনেছি।

;