৩৪ বছর পর ছাড়তে হলো উপজেলা সিংহাসন



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
সৈয়দ আহমুদুল হক, ছবি: বার্তা২৪

সৈয়দ আহমুদুল হক, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাদা মনের মানুষ হিসেবে সর্বমহলের আস্থা অর্জন করেছিলেন সৈয়দ আহমুদুল হক। সালিশ বৈঠকের ন্যায় বিচারক হিসেবেও তার রয়েছে বিশেষ খ্যাতি। বিশেষ করে এলাকাসহ সম্পূর্ণ জেলার হাজার হাজার মানুষ তাকে ‘সৈয়দ সাব’ হিসেবেই চিনেন। প্রচুর জনপ্রিয়তার কারণে দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৮৫ সালে প্রথম সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর টানা ৫ বার উপজেলা নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।

কিন্তু ক্ষমতা কারও দীর্ঘ স্থায়ী নয় তার প্রমাণ মিলেছে রোববার (১০ মার্চ) সদর উপজেলা নির্বাচনে। আনারস প্রতীকের প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাচ্ছিরুল ইসলামের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। তাও আবার প্রায় ৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে। ফলে দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে আগলে রাখা সদর উপজেলা পরিষদের সিংহাসন ছাড়তে হলো জনপ্রিয় এই নেতাকে।

সর্ব মহলে ন্যায়ের প্রতীক সৈয়দ আহমুদুল হক ১৯৪৯ সালের ৩১শে জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামের সাহেব বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সৈয়দ জাহেদুল হক (ময়না মিয়া) সাহেব ছিলেন পইল ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আহমদুল হক ১৯৬৮ সালে বৃন্দাবন সরকারি কলেজ থেকে বি.কম ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর কয়েক বছর পইল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে সমবায় অফিসে পরিদর্শক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। একপর্যায়ে জনগণের চাওয়ার মূল্যায়ন করতে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে পইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। দীর্ঘ সময় তিনি ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালে প্রথম সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে ২য় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদেরও বিপুল ভোটে পরাজিত করেন।

১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে উপজেলা পরিষদ বিলুপ্তির পর পইল ইউনিয়নবাসীর দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও ৪নং পইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দ এবং ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে আবারও অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩য় বারের মতো হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. মোতাচ্ছিরুল ইসলামকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে চতুর্থবারের মতো হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সৈয়দ আহমদুল হক।

কিন্তু রোববার (১০ মার্চ) হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করলেন টানা চারবারের নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদুল হক। ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হারানো প্রার্থী মোতাচ্ছিরুল ইসলামের কাছে প্রায় ৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

তবে এ ব্যাপারে হতাশ নন বলে জানিয়েছেন তিনি। সৈয়দ আহমুদুল হক বলেন- ‘নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে। দীর্ঘদিন জনগণ আমার উপর আস্থা রেখে আমাকে বিজয়ী করেছেন। আমি চেষ্টা করেছি জনগণের আস্থার মূল্যায়ন করতে। এখন আমার বয়স হয়েছে। তাই হয়তো জনগণ নতুন একজনকে বেঁছে নিয়েছেন।’

তিনি বলেন- ‘আমি জনগণের হৃদয়ে আছি, থাকব। কারণ জনগণের ভালোবাসার ঋণ আমি জীবন দিয়েও শোধ করতে পারব না।’

 

   

পৌর উপনির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট

প্রয়োজনে সারারাত ডাকঘর খোলা রাখার নির্দেশ ইসির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঞ্চন পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন এবং বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভার মেয়রের শূন্যপদে উপনির্বাচন উপলক্ষে ভোটের হিসাব বিবরণী পাঠানোর সুবিধার্থে আগামী ২৬ জুন বুধবার বিকেল ৫টা থেকে প্রয়োজনে সারারাত ও পরের দিন সকাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ডাকঘর খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

শনিবার (১৫ জুন) ইসি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালককে পাঠানো হয়েছে।

মো. আতিয়ার রহমান বলেন, আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঞ্চন পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন এবং বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভার মেয়রের শূন্যপদে উপনির্বাচনে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসাররা ভোটগণনার বিবরণীর একটি কপি ডাকযোগে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন।

ভোটগণনার বিবরণী যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশনে পৌঁছানোর জন্য প্রিজাইডিং অফিসার অগ্রিম ডাকমাশুল পরিশোধ না করে কাছাকাছি যে কোনো ডাকঘর থেকে বীমাকৃত ডাকযোগে অথবা প্রাপ্তিস্বীকার রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পাঠাবেন।

প্রিজাইডিং অফিসার সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিস থেকে অবশ্যই প্রাপ্তি স্বীকার গ্রহণ করবেন। এমন কী ভোটগ্রহণের পরের দিনও উল্লিখিত খামে প্রাপ্ত ভোটগণনার বিবরণী একই পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।

উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, প্রিজাইডিং অফিসাররা যাতে অগ্রিম ডাক মাশুল পরিশোধ না করে কাছাকাছি যে কোনো ডাকঘর থেকে ভোটগণনার বিবরণী বীমা করে ডাকে অথবা প্রাপ্তি স্বীকার রেজিস্টার্ড ডাকে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে পারেন, সে জন্য ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিন অর্থাৎ ২৬ জুন বুধবার বিকেল ৫টা থেকে প্রয়োজনে সারারাত ও পরের দিন সকাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ডাকঘরগুলো খোলা রেখে ডাকে পাঠানো ফলাফল বিবরণী জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর নিশ্চয়তা বিধানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

;

৪৬৯ উপজেলায় ৩৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাঁচ ধাপ মিলিয়ে ৪৬৯ উপজেলায় মোট ৩৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সোমবার (১০ জুন) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি এর আয়োজনে 'আরএফইডি টক' অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ৪৬৯টি উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। অতীতের তুলনায় শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। সার্বিকভাবে ৩৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

তিনি বলেন, এবার নির্বাচন অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। অনেকে প্রভাব সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, আমাদের তৎপরতায় সফল হয়নি। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা আরও বেশি সংস্কার প্রয়োজন।

;

শেষ হলো স্থগিত ১৯ উপজেলার নির্বাচন, চলছে গণনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে স্থগিত হওয়া দেশের ১৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শুধু রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন ছাড়া দেশের সব উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হলো। এর আগে অন্য উপজেলাগুলোতে দুই ধাপে ভোট শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। 

রোববার (৯ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে এ ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এ ধাপেবাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার লালমোহন, তজুমদ্দিন, ঝালকাঠির রাজাপুর, কাঠালিয়া, বরগুনার বামনা, পাথরঘাটা ও নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

এর মধ্যে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তবে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক আনসার সদস্যকে দায়িত্ব পালনে বাধা ও মারধর করার অপরাধে একজনকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বাকি জেলাগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।

এগুলোতে চেয়ারম্যান পদে ১১৯, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩২ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৯ জনসহ মোট ৩৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ইসি জানিয়েছে, ১৭৯টি কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন এবং ১ হাজার দুইটি কেন্দ্রে ভোটের দিন অর্থাৎ আজ সকালে ব্যালট গেছে।

;

নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে বাধা, যুবককে ৬ মাসের কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক আনসার সদস্যকে দায়িত্ব পালনে বাধা ও মারধর করার অপরাধে একজনকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৯ জুন) পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহাসিনিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টায় ভোট চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই কর্মি শাকিল শেখকে (২১) দণ্ড দেন বাগেরহাট জেলা অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. আতিকুস সামাদ।

তিনি বলেন, মহাসিনিয়া আলিম মাদ্রাসা সেন্টারে নির্বাচনে অন্যদের সাথে ভোটারদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন আনসার সদস্য মোতালেব হোসেন। এসময় শেহালাবুনিয়া এলাকার মৃত মোস্তফা শেখের ছেলে শাকিল শেখ নামে ওই যুবক নারী ও পুরুষদের সারিবদ্ধ লাইন ভেঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করে। এসময় আনসার সদস্য মোতালেব হোসেন তাকে বাধা দেন। কিন্তু তাকে ধাক্কা দিয়ে মারধর শুরু করেন। এসময় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করেন।

পরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ৭৬ (গ)-(আ) অনুযায়ী আটক ব্যক্তি তার অপরাধ স্বীকার করে। এরপরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলেও জানান বিচারক ড.মোঃ আতিকুস সামাদ।

পরে ওই আসামিকে বাগেরহাট জেলা কারগারে পাঠানোর জন্য মোংলা থানায় সোপর্দ করা হয়।

;