উপজেলা নির্বাচন

দ্বিতীয় ধাপের জন্য প্রস্তুত ইসি, থাকছে কড়া নিরাপত্তা



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আগামী সোমবার (১৮ মার্চ) দেশের ১১৭ উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচনে অপরাধ বিচার করার জন্য পাঁচ দিনব্যাপী প্রতি উপজেলায় একজন করে বিচারিক হাকিম কাজ করবেন। ভোটের শৃঙ্খলা রক্ষায়ও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ইসি।

ইসি সূত্র থেকে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণে ১৫ জেলার ১১৭ উপজেলায় নির্বাচনী অপরাধে শাস্তি প্রদানের জন্য ১১৭ জন বিচারিক হাকিম কাজ করবেন। তারা শনিবার (১৬ মার্চ) থেকে বুধবার (২০ মার্চ) পর্যন্ত ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। মেট্রোপলিটন হাকিম, বিচারিক হাকিম ও জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমদের এ দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছে।

ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভোটের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি, র‍্যাব, কোস্টগার্ড, আর্মড পুলিশকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রের জন্য সশস্ত্র ও লাঠিধারীসহ ১৪ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে ১৬ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এছাড়া প্রতিটি এলাকায় দুই থেকে তিন প্লাটুন বিজিবি ও র‍্যাব মোবাইল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটগ্রহণের পূর্বে দুই দিন, ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোট গ্রহণের পরের একদিন এবং যাতায়াত ও অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক একদিনসহ মোট পাঁচদিন নিয়োজিত থাকবে। তবে অঙ্গীভূত আনসাররা প্রশিক্ষণের জন্য একদিন বেশি নিয়োজিত থাকবেন।

দ্বিতীয় ধাপে ১২৯টি উপজেলা পরিষদের ভোটের তফসিল গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ১৪ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি। পরে আরও ১১ উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ছাড়া অন্যরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।

এ ধাপে চারটি উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত আসনের নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের সব কটিতেই একক প্রার্থী রয়েছেন। এগুলো হচ্ছে- পাবনা সদর, ফরিদপুর সদর, নোয়াখালীর হাতিয়া ও চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা। ফলে অবশিষ্ট ১১৭ উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, উপজেলার দ্বিতীয় ধাপের ভোটের জন্য কমিশন সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। ভোটের দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ভোটের মাঠে অনিয়মের অপরাধ বিচার করার জন্য বিচারিক হাকিম নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও ইতোমধ্যে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আসছে, কমিশন তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

ইতোপূর্বে প্রথম উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে কয়েকজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ ওঠে। পরে কমিশন তাদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন। এবারও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আসছে। কমিশন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে।

এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা শাখা-২) ফরহাদ আহম্মদ খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগামী ১৮ মার্চ ১১৭ উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের বিষয়ে কিছু কিছু অভিযোগ ইতোমধ্যে কমিশনে এসেছে। কমিশন এসব অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থাও নিচ্ছে।

নিরাপত্তা পরিকল্পনা: নিজ নিজ দায়িত্ব প্রাপ্ত এলাকার সামগ্রিক নিরাপত্তা এবং নির্বাচন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় সকল আইনশৃঙ্খলা নিয়োগের দায়িত্বে থাকবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে নির্বাচনী এলাকায় মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োগ এ সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপার রিটার্নিং অফিসারের সাথে পরামর্শক্রমে এ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। সার্বিক নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার অধিক্ষেত্রে আইন মোতাবেক সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।

আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেল: নির্বাচন কমিশন সচিবালয় জননিরাপত্তা বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল স্থাপন করা হবে। এ সেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন নির্বাচন পূর্ববর্তী দুইদিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরবর্তী একদিনসহ মোট চার দিন। তারা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করবে। তবে প্রত্যেকটি পর্যায়ের ভোটগ্রহণের দিন ফলাফল ঘোষণার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করবে। তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্ক নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্টদের অবহিত করবে।

যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা: নির্বাচনী উপজেলাগুলো ১৭ মার্চ মধ্যরাত রাত ১২টা থেকে ১৮ মার্চ মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পু, ইজিবাইক এবং স্থানীয় পর্যায়ের যন্ত্রচালিত বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্ববর্তী দুইদিন থেকে ভোটগ্রহণের দিন মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপের ভোটের পর আগামী ১৮, ২৪ ও ৩১ মার্চ বাকি তিন ধাপের উপজেলা পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে দ্বিতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলায় ভোট হবে ১৮ মার্চ। তৃতীয় ধাপে ১২৭ উপজেলা ও চতুর্থ ধাপে ১২২ উপজেলায় নির্বাচন হবে। পঞ্চম ধাপে বাকি উপজেলার ভোট হবে জুনের মাঝামাঝি সময়ে।
   

কালীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

ভোটার উপস্থিতির হিসাবে গড় মিল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হিসাব নিয়ে গড় মিল তথ্য উঠে এসেছে বেসরকারি ফলাফল শিটে।

কোনো ফলাফল শিটে ২১.১৬ শতাংশ, কোনো শিটে ২১.১৩ শতাংশ আবার কোনো ফলাফল শিটে ২১ শতাংশ ও ২১.১১ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) ওই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। কালীগঞ্জের ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জহির ইমামের স্বাক্ষরিত ফলাফল শিটে উপস্থিতির হিসাবের এ গড়মিল তথ্য উঠে আসে।

ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন।

চেয়ারম্যান পদের ফলাফল শিটে দেখানো হয়, মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২শ ৭৮টি, যা মোট ভোটের ২১.১৬ শতাংশ। প্রথমে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবির হোসেন চৌধুরীকে বিজয়ী করে এক ফলাফল শিটে দেখানো হয়, মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৬শ ৬৬টি, যা মোট ভোটের ২১ শতাংশ।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হিসাব নিয়ে গড় মিল, ছবি- বার্তা২৪.কম

পরে দেবদাস কুমার রায়কে বিজয়ী করে অপর এক ফলাফল শিটে দেখানো হয়, মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২শ ৮টি, যা মোট ভোটের ২১.১৩ শতাংশ।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিউলী রানী রায়কে বিজয়ী করে ফলাফল শিটে দেখানো হয় মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৫ হাজার ১শ ৭৩টি, যা মোট ভোটের ২১.১১ শতাংশ।

বুধবার (২২ মে) এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জের ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জহির ইমামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় থেকে একটি টিম এসেছে, আমি তাদের সঙ্গে আছি। নির্বাচন কর্মকর্তা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

পরে এ বিষয়ে জানতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

;

চুয়াডাঙ্গায় জামানাত হারাচ্ছেন বর্তমান দুই চেয়ারম্যানসহ ১১ প্রার্থী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার নতুন দুই মুখ নির্বাচিত হয়েছে। আর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব হোসেনের। আলমডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরও ২ জন জামানত হারাচ্ছেন। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ দুই উপজেলার মোট ৭ জন প্রার্থী জামানত হারাতে বসেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ উপজেলায় মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৩৮৮টি। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৯৮৬টি। আর বৈধ ভোট পড়েছে ৯৮ হাজার ৮০২টি। শর্ত অনুসারে কোনো প্রার্থীকে জামানত টিকাতে হলে ভোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয়। এখানে একজন প্রার্থীকে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ৩০০টি ভোট। এই নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫০ হাজার ৮১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের ভাইপো নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। আর বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আসাদুল হক বিশ্বাস আনারস প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ৪১৯টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জামানত হারিয়েছেন।

এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় মোট ভোট পড়েছে ৮০ হাজার ৭১৪টি। আর বৈধ ভোট পড়েছে ৭৭ হাজার ৯৯৪টি। এর মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ২৮০টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কে এম মঞ্জিলুর রহমান। আর দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব হোসেন। নির্বাচনে জামানত টিকাতে তার প্রয়োজন ছিল ৯ হাজার ৭৪৯ ভোট। এই সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় তিনি জামানত হারিয়েছেন।

এছাড়া আলমডাঙ্গায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪ ভোট। আর আনারস প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ১০৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন মো. মোমিন চৌধুরী ডাবু।

অপর দিকে, এই নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা সদরে ৩ ও আলমডাঙ্গায় ৪ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ভাইস চেয়ারম্যানদের ফলাফলে দেখা যায়, ৯৬ হাজার ৫৮২টি বৈধ ভোট পড়েছে। এখানে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩ জন জামানত হারিয়েছেন। এখানে একজন প্রার্থীকে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ৭২টি ভোট। তবে এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে তালা প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়েছেন মো. মামুন-অর রশীদ, উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে মো. মিরাজুল ইসলাম (কাবা) পেয়েছেন ৬ হাজার ২৮৫ ভোট এবং মাইক প্রতীক নিয়ে মো. শামীম হোসেন পেয়েছেন ৮ হাজার ২৯৫ ভোট। তাদের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৮ জন। এর মধ্যে ৪ জন জামানত খুইয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ ভোট পড়েছে ৭৪ হাজার ৯৫৪টি। এখানে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ৯ হাজার ৩৬৯টি ভোট। তবে বই প্রতীক নিয়ে মো. মামুনার রহমান পেয়েছেন ৮ হাজার ৭০৪ ভোট, টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে মো. আজিজুল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭৬ ভোট, উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে আরেক আজিজুল হক পেয়েছেন ৬ হাজার ১০৯ ভোট এবং পালকি প্রতীক নিয়ে মো. সোহেল রানা (শাহীন) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৩ ভোট। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন।

;

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে সেটি কেন্দ্রের পাশের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২১ মে) পৌর শহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ছিনতাই হওয়া ব্যালটে পূর্ণ বাক্সটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে দিলে প্রিসাইডিং অফিসার বাক্সটি অক্ষত থাকায় ভোটগুলো গণনা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূঁইয়ার সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা লোকজন নিয়ে পৌর শহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোট গণনার সময় একটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে তারা ব্যালট বাক্সটি পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পুকুর থেকে ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার করে। শামীম মোল্লা আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর ফরহাদ শামীম। পরে তিনি ব্যালট বাক্সটি দেখে ভোট অক্ষত অবস্থায় থাকায় তা গণনার জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহ ইলিয়াস উদ্দিনকে নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভির ফরহাদ শামীম বলেন, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনে আমি দ্রুত সেখানে যাই। গিয়ে ব্যালট বাক্সটিকে অক্ষত অবস্থায় পাই। পাশাপাশি ব্যালট পেপারেও কোনো সমস্যা পাইনি। যার কারণে ব্যালট গুলো গণনা করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারকে বলি।

তিনি আরও বলেন, আমরা গিয়ে কাউকে পাইনি। যদি তাদের পাওয়া যেত তাহলে সাথে সাথে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হত।

;

মাগুরার ২ উপজেলায় আবদুল মান্নান ও শ্যামল কুমার দে বিজয়ী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরার দু’টি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার দে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

মহম্মদপুর উপজেলায় ৬৪টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ৫৪টি কেন্দ্র ৮৫০টি বুথে ভোট গ্রহণ হয়। মহম্মদপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬২ জন।  শালিখা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কঠোর। ভোট চলাকালে কোনো বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেনি।

;