উপজেলার দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৪১ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে শতকরা ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ পদে সবচেয়ে কম আট দশমিক ৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়। আর সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায়, ৭৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

উপজেলার দ্বিতীয় ধাপের ভোটে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ১২২টি উপজেলার মধ্যে ১১৪টি ফল ঘোষণা করেছেন ইসি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৭৪, জাতীয় পার্টির ২ ও স্বতন্ত্র ৩৮ জন চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের ৭৪ জন চেয়ারম্যানের মধ্যে ৫১ জন ভোটের লড়াইয়ে আর ২৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১২২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ঐদিন নির্বাচনের ফল নিয়ে ফেরার পথে বাঘাইছড়িতে ব্রাশফায়ারে সাত জন নিহত হন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ১১৪টি উপজেলার ফলাফল প্রস্তুত করেছে। তবে রাঙ্গামাটি জেলার আট উপজেলার ফল ঘোষণা হয়নি।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের ভোটে দুটি উপজেলায় ১০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। ৩০ শতাংশ বা তার কম ভোট পড়েছে অন্তত ১৩ উপজেলায়। অপরদিকে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে চার উপজেলায়। ৬১ থেকে ৬৯ শতাংশ ভোট পড়েছে নয়টি উপজেলায়। 

প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও জৈন্তাপুর উপজেলায়। দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় এক লাখ ৭০ হাজার ৪৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ১৪ হাজার ৭০৪ জন ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ছয় হাজার ৪৬২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আবু জাহিদ।

আর জৈন্তাপুর উপজেলায় এক লাখ ৬ হাজার ৬২২ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১০ হাজার ছয় জন। এ উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামাল আহমদ পাঁচ হাজার ৬৬০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। দুটি উপজেলায় ২০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। এর মধ্যে বগুড়া সদর উপজেলায় ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ ও সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ১৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। বগুড়া সদর উপজেলায় তিন লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮ ভোটারের মধ্যে ৫০ হাজার ৮৬১টি ভোট পড়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের মো. আবু সুফিয়ান জয় পেয়েছেন।

অপরদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় এক লাখ ৭৯ হাজার ৩০২টি ভোটের মধ্যে ২৯ হাজার ৬৩৩টি ভোট পড়েছে। জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুক আহমদ। এছাড়া ২১ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে ৯ উপজেলায়। সেগুলো হচ্ছে- বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ২৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ধুনটে ২৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ ও শাজাহানপুরে ২৭ দশমিক ২৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

এছাড়া নওগাঁর মান্দায় ২৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ, পাবনার বেড়ায় ২৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ঈশ্বরদীতে ২৬ দশমিক ৬৩ ও সাঁথিয়ায় ২১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এছাড়া সিলেটের গোপালগঞ্জে ৩০ দশমিক ৪৫ শতাংশ ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

এদিকে সর্বোচ্চ ৭৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায়। এখানে ৩১ হাজার ৮৯৩ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ২৫ হাজার ৪০৯টি। স্বতন্ত্র প্রার্থী বিমল কান্তি চাকমা ১৯ হাজার ৮৩৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে একই জেলার দীঘিনালায় ৭৮ দশমিক ১২ শতাংশ। এ উপজেলায় ৭৫ হাজার ৫৪০ জন ভোটারের মধ্যে ৫৯ হাজার ৯টি ভোট পড়েছে। আওয়ামী লীগের মো. কাশেম ৩৭ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া ৭১ দশমিক ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। এক লাখ ৩৬ হাজার ৯৩১ জন ভোটারের মধ্যে ৯৭ হাজার ৭৮১টি ভোট পড়েছে। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী আসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

৭১ দশমিক ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে বান্দরবানের লামা উপজেলা। এখানে ৬৭ হাজার ২৮টি ভোটের মধ্যে ৪৭ হাজার ৭৮৮টি ভোট পড়েছে। এর মধ্যে ৪৭ হাজার দুই ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মোস্তফা কামাল।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ভোটার উপস্থিতি কম। বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়া ও দলীয় প্রতীকে ভোট হওয়ায় প্রার্থী সংখ্যা কমে গেছে। এ কারণে ভোটারদের কেন্দ্রে আসার আগ্রহ কম ছিল। তবে দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় প্রথম ধাপে বেশি ভোট পড়েছে।

এর আগে গত ১৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়ার হার বেশি। পার্বত্য এলাকাগুলোতে ভোট পড়ার হার বেশি দেখা গেছে। তবে সব মিলিয়ে প্রথম ধাপের (৪৩ শতাংশ) চেয়ে বেশি ভোটের হার হবে আশা করি।’

   

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;