ত্রিশালে নৌকাকে জেতাতে একাট্টা তৃণমূল, বিদ্রোহীকে সতর্কবার্তা



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ময়মনসিংহ, বার্তা২৪.কম
সমাবেশে বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন / ছবি: বার্তা২৪

সমাবেশে বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন স্থগিত হলেও রীতিমতো উত্তাপ ছড়াচ্ছে ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা। আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সঙ্গে আছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারাও।

আর দলীয় বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মতিন সরকারের আনারস প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের গুটি কয়েক নেতা। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা।

রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেল থেকে রাত অবধি স্থানীয় নজরুল ডিগ্রি কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইকবাল হোসেনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে বিশাল কর্মী সমাবেশে দলটির নেতাকর্মীরা শোডাউন করেছেন। আর এ শোডাউনের মধ্য দিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে দলের প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থানকারী গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের।

দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে একাট্টা না হলে তাদের প্রথমে শোকজ ও পরবর্তীতে আরও বড় ধরনের সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।

জানা যায়, ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। এই নৌকার মনোনয়ন পেতে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন সরকারসহ আরও বেশ কয়েকজন লবিং করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইকবালের হাতেই নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554693250088.jpg

আর এ ঘটনায় রীতিমত বেঁকে বসেছেন মতিন সরকার। তাকে ভোটের মাঠে সক্রিয় করতে ‘আদাজল খেয়ে’ মাঠে নেমে পড়েন সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আলী, ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এবিএম আনিসুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান সবুজ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শোভা মিয়া আকন্দসহ গুটি কয়েক নেতা।

জেলার দায়িত্বশীল নেতারা তাদের বারবার বারণ করলেও তারা মতিন সরকারের আনারস প্রতীকের পক্ষেই নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছেন। ফলে ত্রিশালে নৌকার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এসব নেতারা। আর এসব নিয়ে দুপক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে চলেছে নিয়মিত। ইকবালের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আজাদ জাহান শামীম ও এম এ কুদ্দুসসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।

তারা বেশ কয়েকবার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইকবালের পক্ষে সোচ্চার হয়ে নৌকার প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন এবং তাকে বিজয়ী করতে স্থানীয় ভোটারদের কাছে আহ্বানও জানিয়েছেন।

অপরদিকে মতিন সরকারের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষের নেতারা অবস্থান নিয়েছেন। তারা মতিন সরকারকে মুরুব্বি, ত্যাগী ও পরীক্ষিত আওয়ামী লীগের দাবি করে তাকে বিজয়ী করতে ভোটারদের দুয়ারে কড়া নাড়ছেন। এমন প্রেক্ষাপটে স্থগিত হয়ে যায় চতুর্থ ধাপের ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

জানা গেছে, ছেলের ব্যাংক ঋণের জামিনদার হয়েছিলেন মতিন সরকার। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে পরিশোধিত না হওয়ায় ঋণ খেলাপির অভিযোগ এনে গত ২০ মার্চ উচ্চ আদালতে রিট করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন। সেই রিটে মতিন সরকারের প্রার্থিতা বাতিল ও চেয়ারম্যান পদে ৬ মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। পরে আদালতের রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ২৮ মার্চ আব্দুল মতিন সরকার চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করলে গত ৪ এপ্রিল দু’পক্ষের শুনানি শেষে মতিন সরকারকে বৈধ ঘোষণা করে। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাঁধা কেটে যায়। ত্রিশাল উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠি হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান সারওয়ার জাহান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আদালতের রায়ের পর ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আর কোনো বাঁধা নেই। নির্বাচন কমিশন সুবিধা মতো সময়ে স্থগিত হওয়া এ উপজেলায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554693278630.jpg

এদিকে ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ হাসি কে হাসবেন, ইকবাল নাকি মতিন সরকার। এমন বাস্তবতা যখন মুখোমুখি তখন বড় রকমের শোডাউন করে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার তৈরি করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন।

স্থানীয় ডিগ্রি কলেজ মাঠে রোববার তাকে বিজয়ী করতে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা একত্রিত হন। এ সময় কয়েক ঘণ্টার জন্য স্থবির হয়ে পড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস চলাচল। সমাবেশস্থলে তিল ধারণের ঠাঁই না থাকায় মূলত দলীয় নেতাকর্মীরা সামনের ওভার ব্রিজ এবং মহাসড়কের বাইরে অবস্থান নেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল নৌকার ওই বিরোধীতাকারী নেতাদের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘এখনো সময় আছে নৌকার পক্ষে এসে দাঁড়ানোর। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সমাবেশে নৌকার প্রার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ত্রিশালবাসী হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীর মতো যোগ্য সংসদ সদস্য পেয়েছে। এই ত্রিশাল ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত এক জনপদ। মাত্র তিন মাসে স্থানীয় সংসদ সদস্য ৮০ কিলোমিটার সড়ক অনুমোদন করেছেন। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মডেল ত্রিশাল উপজেলা উপহার দেব। আমি গত ৭ বছরে ত্রিশালের প্রায় তিন হাজার মসজিদ-মাদরাসা ও এতিমখানায় রেকর্ড সহায়তা করেছি। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করলে আমি চেয়ারম্যানের ভাতাও আপনাদের মাঝে বিলিয়ে দিব।’

   

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;

৩০ উপজেলায় ব্যালট যাবে ভোটের একদিন আগে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১৬ জেলার ৩০ উপজেলায় আগের দিন ৬১৫ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। অন্যান্য স্থানে ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে ৩০ উপজেলার ৬১৫টি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সাথে ভোটগ্রহণের পূর্বের দিন ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি মালামালের সাথে ব্যালট পেপার প্রেরণের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমতি প্রদান করেছেন।

সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

যেসব উপজেলায় আগের দিন ব্যালট যাবে সেগুলো হলো- কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, অষ্টগ্রাম, গাইবান্ধা সদর, শিবগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা, কুমারখালী, ভোলা সদর, দৌলতখান, মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, বাহুবল, নবীগঞ্জ, খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, বিলাইছড়ি, রাজস্থলি, কাপ্তাই, লালমনিরহাট সদর ও সুন্দরগঞ্জ।

;

১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ৬৩ জেলার ১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে অনিয়ম বন্ধে তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটরা আগামী ২১ মে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন কাজ করবে বলে জানান।

ইসির আইন শাখার উপসচিব আব্দুস সালাম এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় জানানো হয়, ইসি জানায়, ৬৩টি জেলার ১৫৭টি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের পূর্বের দু’দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দু’দিন ১৯ মে হতে ২৩ মে পর্যন্ত মোট ৫ (পাঁচ) দিনের জন্য ১৫৭ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।

ইসি জানায়, 'উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩' এর বিধি ৮৪ক- তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে নির্বাচনি অপরাধসমূহ The Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর section 190 এর sub-section (1) এর অধীন আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্ন করা হবে।

এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালনকালে এক জন বেঞ্চ সহকারী/স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটগণকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় আদালত পরিচালনার নিমিত্ত দু’জন সশস্ত্র পুলিশ নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ইসি ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ১৫৭ উপজেলার ভোট গ্রহণ আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।

;