কমিশনের হাতে দেড় লাখ ইভিএম, সব নির্বাচনে ব্যবহারের পরিকল্পনা



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), ছবি: বার্তা২৪.কম

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চাহিদা অনুযায়ী দেড় লাখ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বুঝে পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই আগামী সব নির্বাচনেই ইভিএম ব্যবহার করতে চায় কমিশন।

বিশেষ করে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে অধিকাংশ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরই ঢাকার উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। সর্বশেষ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অন্য সব সিটি নির্বাচনেও ইভিএমে ভোটের বিষয় নিয়ে ভাবছে ইসি। এরই মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী দেড় লাখেরও বেশি ইভিএম মেশিন বুঝে পেয়েছে কমিশন। এসব মেশিন দিয়ে স্থানীয় সরকারসহ সব নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

২০১৭ সালে বর্তমান ইসির উদ্যোগে আনা আগের চেয়ে উন্নত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের যাত্রা শুরু হয়। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার মুখে সংসদে ইভিএম চালু করা হয়। সিটি নির্বাচনে কিছু কেন্দ্রে চালুর পর সংসদে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করে সংস্থাটি। এরই মধ্যে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় লাখ ইভিএমের জন্য একটি প্রকল্পও (যার বাস্তবায়নকাল জুলাই, ২০১৮ থেকে জুন, ২০২৩ পর্যন্ত) রয়েছে।

কমিশন বলছে, ইভিএম মেশিনের মূল উদ্দেশ্য, শুধু দ্রুত ফলাফল দেওয়া নয়, স্বচ্ছতাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই মেশিনে বায়োমেট্রিক ছাড়া কেউ ভোট দিতে পারবে না। বায়োমেট্রিকের পর ছবিসহ ভোটারের তথ্য স্ক্রিনে চলে আসে। ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। ফলে আগামীতে অধিকাংশ নির্বাচনেই ইভিএমে ভোট করা হবে।

এ বিষয়ে ইভিএম প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক এবং জাতীয় পরিচয় ও নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাদের দেড় লাখ ইভিএম মেশিনের চাহিদা দেওয়া ছিল। দেড় লাখ ইভিএম মেশিনই চলে এসেছে। ইভিএমের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের চুক্তি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে। আর সেনাবাহিনী চুক্তি করেছে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) সঙ্গে। আমরা শুধু মেশিনগুলো সেনাবাহিনীর কাছে থেকে বুঝে নিয়েছি। সরকার এ সংক্রান্ত অর্থ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করবে। এ সংক্রান্ত পুরো ক্ষমতাই সেনাবাহিনীর হাতে। ফলে মেশিনের মান থেকে শুরু করে সব কিছুই সেনাবাহিনী দেখছে।’

EVM
ইভিএম প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক এবং জাতীয় পরিচয় ও নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম (ডানে), ছবি: বার্তা২৪.কম

 

তিনি বলেন, ‘আমরা ইভিএমের মাধ্যমে শুধু ফলাফল আগে দেওয়ার মিশনে নেই। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক নির্বাচনের জন্য কতটুকু সময় লাগবে সেটি বিষয় নয়, এগুলো ঠিক মতো হচ্ছে কিনা সেটিই দেখার বিষয়। যারা ভোট কেন্দ্রে ৪টার মধ্যে ঢুকবেন, তাদের ভোট তো নিতেই হবে। অনেক সময় সাড়ে ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর ফলাফল ১০ মিনিটের মধ্যেই হয়ে যায়, সেগুলো একত্রিত করে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রিন্ট করতে হয়। এজন্য ১০ থেক ১৫ মিনিট সময় লাগে, যা সাড়ে ৪টার মধ্যে হয়ে যায়। পরে সবগুলো একত্রিত করে কেন্দ্রীয়ভাবে এক সঙ্গে প্রিন্ট হয়। তবে আমরা ফলাফল দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করছি। আগামী ২৪ জুনে বগুড়া-৬ আসনের নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে।’

দেশে প্রথমবারের মতো ২০১০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তৈরি করা ইভিএমে ভোটগ্রহণের প্রথা চালু করে এটিএম শামসুল হুদার কমিশন। গড়ে ২০ হাজার টাকার সেই ইভিএম ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সময় বিকল হয়ে যায়। সেই ইভিএম আর ঠিক করা সম্ভব না হওয়ায় পরে নির্বাচন কমিশন আবার ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করে। পরে ওই ইভিএম আর ব্যবহার করা যায়নি।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের বিগত কমিশন সেই মেশিন নষ্ট করে নতুন করে উন্নতমানের মেশিন তৈরির উদ্যোগ নেয়। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সময়ে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে উন্নতমানের ইভিএম তৈরি করা হয়েছে। যার প্রতিটির দাম দুই লাখ ১০ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করে আসছে। অপরদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ কিছু রাজনৈতিক দল ইভিএমের পক্ষে রয়েছে।

   

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;

৩০ উপজেলায় ব্যালট যাবে ভোটের একদিন আগে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১৬ জেলার ৩০ উপজেলায় আগের দিন ৬১৫ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। অন্যান্য স্থানে ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে ৩০ উপজেলার ৬১৫টি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সাথে ভোটগ্রহণের পূর্বের দিন ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি মালামালের সাথে ব্যালট পেপার প্রেরণের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমতি প্রদান করেছেন।

সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

যেসব উপজেলায় আগের দিন ব্যালট যাবে সেগুলো হলো- কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, অষ্টগ্রাম, গাইবান্ধা সদর, শিবগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা, কুমারখালী, ভোলা সদর, দৌলতখান, মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, বাহুবল, নবীগঞ্জ, খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, বিলাইছড়ি, রাজস্থলি, কাপ্তাই, লালমনিরহাট সদর ও সুন্দরগঞ্জ।

;

১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ৬৩ জেলার ১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে অনিয়ম বন্ধে তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটরা আগামী ২১ মে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন কাজ করবে বলে জানান।

ইসির আইন শাখার উপসচিব আব্দুস সালাম এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় জানানো হয়, ইসি জানায়, ৬৩টি জেলার ১৫৭টি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের পূর্বের দু’দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দু’দিন ১৯ মে হতে ২৩ মে পর্যন্ত মোট ৫ (পাঁচ) দিনের জন্য ১৫৭ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।

ইসি জানায়, 'উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩' এর বিধি ৮৪ক- তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে নির্বাচনি অপরাধসমূহ The Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর section 190 এর sub-section (1) এর অধীন আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্ন করা হবে।

এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালনকালে এক জন বেঞ্চ সহকারী/স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটগণকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় আদালত পরিচালনার নিমিত্ত দু’জন সশস্ত্র পুলিশ নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ইসি ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ১৫৭ উপজেলার ভোট গ্রহণ আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।

;