উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

কে হচ্ছেন শায়েস্তাগঞ্জের প্রথম চেয়ারম্যান?



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার (১৮ জুন) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হবিগঞ্জের নবগঠিত উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রথম নির্বাচন হওয়ায় প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। ভোটারা এখন অপেক্ষা করছেন নিজেদের প্রথম উপজেলার কান্ডারীকে নির্বাচিত করতে।

সর্বত্র আলোচনা চলছে- কে হচ্ছেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান? শুধু চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়েই নয়, সমানভাবে আলোচনায় রয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়েও। তবে কোনো আবেগ নয়, যোগ্য প্রার্থীকেই নির্বাচিত করা হবে বলে দাবি ভোটারদের।

জানা যায়, দেশের ৪৯২তম এবং সর্বশেষ প্রতিষ্ঠিত উপজেলা হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে ৪৯২তম উপজেলা হিসেবে শায়েস্তাগঞ্জকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর এক জনসভায় হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলায় রূপান্তরির করার ঘোষণা দেন।

হবিগঞ্জের নয়টি উপজেলার মধ্যে ইতোমধ্যে আটটি উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর মঙ্গলবার (১৮ জুন) পঞ্চম ধাপে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা নির্বাচন কমিশন।

এদিকে, হবিগঞ্জে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত আটটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ না থাকলেও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ক্ষেত্রে ভিন্ন। প্রথম বারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় আগ্রহ দেখা গেছে ভোটারদের মধ্যে। প্রচার প্রচারণা চালাতে গিয়ে প্রার্থীদের মধ্য থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হওয়ার আশা প্রকাশ করেছে নির্বাচক বিশ্লেষকরা।

ইতোমধ্যে রোববার (১৬ জুন) রাত ১২টার পর সব ধরনের প্রচার প্রচারণার সমাপ্তি ঘটেছে। প্রার্থী-সমর্থকদের মধ্যে এখন শুধু উৎকণ্ঠা। তবে ভোটারদের মধ্যে উৎসবের আমেজ। বহু কাঙ্ক্ষি উপজেলার প্রথম কান্ডারি নির্বাচিত করতে ভোটাররা অপেক্ষা করছেন ভোট প্রয়োগ করার।

ভোটাররা মনে করেন, উপজেলা হওয়ার পর এটিই প্রথম নির্বাচন। তাই উপজেলার উন্নয়নের প্রথম নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তাই এ ভোটে যোগ্য ও সৎ প্রার্থী নির্বাচনের বিকল্প নেই।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রশীদ তালুকদার ইকবাল (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা নূরপুর ইউনিয়নে পাঁচবারের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল (আনারস মার্কা) এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমেদ খান (ঘোড়া)।

ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন করে মোট ১০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তাঁরা হলেন- খন্দকার শফিক সরদার (তালা), গাজিউর রহমান এমরান (মাইক), সৈয়দ তানভীর আহমেদ জুয়েল (চশমা), আব্দুল মতিন মাস্টার (বই), বদরুল আলম দীপন (টিউবওয়েল), সাবেরা সুলতানা হ্যাপি (কলস), মমতাজ বেগম ডলি (প্রজাপতি), মুক্তা বেগম (পদ্ম ফুল), রুবিনা আক্তার (ফুটবল) ও পারভীন আক্তার (হাঁস)।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রশীদ তালুকদার ইকবাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ উন্নয়নের সরকার। তারা উন্নয়নে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ আমার প্রতি আস্থা রেখে মনোনয়ন দিয়েছে, এখন জনগণ আমার ওপর আস্থা রাখলে আমি তাদের বিশ্বাসের মূল্যয়ন করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল বলেন, ‘এলাকার জনগণ আমাকে ভালোবাসে। কারণ আমি এর আগে ইউনিয়নে পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছি। আমার প্রতি জনগণের বিশ্বাস আছে। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমার জয় কেই আটকাতে পারবে না।’

একই দাবি করলেন- আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্তী আলী আহমেদ খানও।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) কেন্দ্রগুলোতে সব ধরনের সরঞ্জাম পাঠানো হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সোমবার রাত থেকেই কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।

উল্লেখ্য, তিনটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা গঠিত। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৫ হাজার ৬৬৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২২ হাজার ৬২১ এবং নারী ভোটার ২৩ হাজার ৪৫ জন। ১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

   

কালীগঞ্জে রাকিবুজ্জামান-আদিতমারীতে ফারুক চেয়ারম্যান নির্বাচিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলা পরিষদে যথাক্রমে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ইমরুল কায়েস ফারুক বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমান ও আদিতমারী উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপন চাচা মাহবুবুজ্জামান আহমেদকে পরাজিত করেছেন ভাতিজা রাকিবুজ্জামান আহমেদ। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবির হোসেন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শিউলি রানী।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুজ্জামান আহমেদ (আনারস) প্রতীকে ২৪ হাজার ২শ ৬ ভোট ও তার চাচা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ (ঘোড়া) প্রতীকে ১৯ হাজার ১শ ৪৪ ভোট পেয়েছেন।

অন্যদিকে, আদিতমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমরুল কায়েস ফারুক (মোটর সাইকেল) প্রতীকে ৩২ হাজার ৪শ ২৫ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. রফিকুল আলম (আনারস) প্রতীকে ২৮ হাজার ৬শ ৫১ ভোট পান।

আদিতমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছামসুন নাহার (পদ্মফুল) প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যানের পদে মাইদুল ইসলাম সরকার (উড়োজাহাজ) প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

লালমনিরহাট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা লৎফর কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

;

কালীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

ভোটার উপস্থিতির হিসাবে গড় মিল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হিসাব নিয়ে গড় মিল তথ্য উঠে এসেছে বেসরকারি ফলাফল শিটে।

কোনো ফলাফল শিটে ২১.১৬ শতাংশ, কোনো শিটে ২১.১৩ শতাংশ আবার কোনো ফলাফল শিটে ২১ শতাংশ ও ২১.১১ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) ওই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। কালীগঞ্জের ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জহির ইমামের স্বাক্ষরিত ফলাফল শিটে উপস্থিতির হিসাবের এ গড়মিল তথ্য উঠে আসে।

ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন।

চেয়ারম্যান পদের ফলাফল শিটে দেখানো হয়, মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২শ ৭৮টি, যা মোট ভোটের ২১.১৬ শতাংশ। প্রথমে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবির হোসেন চৌধুরীকে বিজয়ী করে এক ফলাফল শিটে দেখানো হয়, মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৬শ ৬৬টি, যা মোট ভোটের ২১ শতাংশ।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হিসাব নিয়ে গড় মিল, ছবি- বার্তা২৪.কম

পরে দেবদাস কুমার রায়কে বিজয়ী করে অপর এক ফলাফল শিটে দেখানো হয়, মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২শ ৮টি, যা মোট ভোটের ২১.১৩ শতাংশ।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিউলী রানী রায়কে বিজয়ী করে ফলাফল শিটে দেখানো হয় মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৫ হাজার ১শ ৭৩টি, যা মোট ভোটের ২১.১১ শতাংশ।

বুধবার (২২ মে) এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জের ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জহির ইমামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় থেকে একটি টিম এসেছে, আমি তাদের সঙ্গে আছি। নির্বাচন কর্মকর্তা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

পরে এ বিষয়ে জানতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে যেভাবে ফলাফল শিট এসেছে, সেই আলোকে গোটা উপজেলার ফলাফল শিট তৈরি করা হয়েছে।

;

চুয়াডাঙ্গায় জামানাত হারাচ্ছেন বর্তমান দুই চেয়ারম্যানসহ ১১ প্রার্থী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার নতুন দুই মুখ নির্বাচিত হয়েছে। আর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব হোসেনের। আলমডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরও ২ জন জামানত হারাচ্ছেন। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ দুই উপজেলার মোট ৭ জন প্রার্থী জামানত হারাতে বসেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ উপজেলায় মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৩৮৮টি। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৯৮৬টি। আর বৈধ ভোট পড়েছে ৯৮ হাজার ৮০২টি। শর্ত অনুসারে কোনো প্রার্থীকে জামানত টিকাতে হলে ভোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয়। এখানে একজন প্রার্থীকে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ৩০০টি ভোট। এই নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫০ হাজার ৮১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের ভাইপো নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। আর বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আসাদুল হক বিশ্বাস আনারস প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ৪১৯টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জামানত হারিয়েছেন।

এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় মোট ভোট পড়েছে ৮০ হাজার ৭১৪টি। আর বৈধ ভোট পড়েছে ৭৭ হাজার ৯৯৪টি। এর মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ২৮০টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কে এম মঞ্জিলুর রহমান। আর দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব হোসেন। নির্বাচনে জামানত টিকাতে তার প্রয়োজন ছিল ৯ হাজার ৭৪৯ ভোট। এই সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় তিনি জামানত হারিয়েছেন।

এছাড়া আলমডাঙ্গায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪ ভোট। আর আনারস প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ১০৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন মো. মোমিন চৌধুরী ডাবু।

অপর দিকে, এই নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা সদরে ৩ ও আলমডাঙ্গায় ৪ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ভাইস চেয়ারম্যানদের ফলাফলে দেখা যায়, ৯৬ হাজার ৫৮২টি বৈধ ভোট পড়েছে। এখানে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩ জন জামানত হারিয়েছেন। এখানে একজন প্রার্থীকে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ৭২টি ভোট। তবে এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে তালা প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়েছেন মো. মামুন-অর রশীদ, উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে মো. মিরাজুল ইসলাম (কাবা) পেয়েছেন ৬ হাজার ২৮৫ ভোট এবং মাইক প্রতীক নিয়ে মো. শামীম হোসেন পেয়েছেন ৮ হাজার ২৯৫ ভোট। তাদের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৮ জন। এর মধ্যে ৪ জন জামানত খুইয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ ভোট পড়েছে ৭৪ হাজার ৯৫৪টি। এখানে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ৯ হাজার ৩৬৯টি ভোট। তবে বই প্রতীক নিয়ে মো. মামুনার রহমান পেয়েছেন ৮ হাজার ৭০৪ ভোট, টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে মো. আজিজুল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭৬ ভোট, উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে আরেক আজিজুল হক পেয়েছেন ৬ হাজার ১০৯ ভোট এবং পালকি প্রতীক নিয়ে মো. সোহেল রানা (শাহীন) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৩ ভোট। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন।

;

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে সেটি কেন্দ্রের পাশের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২১ মে) পৌর শহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ছিনতাই হওয়া ব্যালটে পূর্ণ বাক্সটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে দিলে প্রিসাইডিং অফিসার বাক্সটি অক্ষত থাকায় ভোটগুলো গণনা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূঁইয়ার সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা লোকজন নিয়ে পৌর শহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোট গণনার সময় একটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে তারা ব্যালট বাক্সটি পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পুকুর থেকে ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার করে। শামীম মোল্লা আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর ফরহাদ শামীম। পরে তিনি ব্যালট বাক্সটি দেখে ভোট অক্ষত অবস্থায় থাকায় তা গণনার জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহ ইলিয়াস উদ্দিনকে নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভির ফরহাদ শামীম বলেন, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনে আমি দ্রুত সেখানে যাই। গিয়ে ব্যালট বাক্সটিকে অক্ষত অবস্থায় পাই। পাশাপাশি ব্যালট পেপারেও কোনো সমস্যা পাইনি। যার কারণে ব্যালট গুলো গণনা করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারকে বলি।

তিনি আরও বলেন, আমরা গিয়ে কাউকে পাইনি। যদি তাদের পাওয়া যেত তাহলে সাথে সাথে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হত।

;