স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সকল স্তরে দলীয় প্রতীক বাতিলের দাবি
গণনেতৃত্ব বিকাশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সকল স্তরে দলীয় প্রতীক বাতিলের দাবি জানিয়েছেন হানিফ বাংলাদেশি নামে একজন নাগরিক।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বরাবর এক খোলা চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়।
চিঠিতে তিনি বলেন, আমি মো. হানিফ বাংলাদেশি নামে পরিচিত, বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক। রাষ্ট্রের ওপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার প্রথম শর্ত হল প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার। স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী যাবত যে রাজনৈতিক দল যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে সবাই দীর্ঘ মেয়াদে অবৈধভাবে ক্ষমতা থাকার জন্য জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করে নানা রকম আইন করে চালাকির আশ্রয় নিয়েছে।
"জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার হয়। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কমিশন নির্ধারিত প্রতীকে নির্বাচন হতো। ২০১০ সালে স্থানীয় নির্বাচনেও দলীয় প্রতীকের ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম থেকে এ নিয়ে জনঅসন্তোষ বিরাজ করছে। আদালতেও এ নিয়ে রিট চলমান। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের কারণে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নয় কিন্তু জনপ্রিয় এমন ব্যক্তিবর্গের প্রার্থী হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে জাতি নিঃস্বার্থ স্বভাবজাত নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হয় ও গণনেতৃত্বের পথ রুদ্ধ হচ্ছে।"
চিঠিতে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পরিচালনার জন্য আগামীর নেতৃত্বের বিকাশ অপরিহার্য। বর্তমান বাংলাদেশে রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্ব গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা। দলীয় প্রতীক পাওয়ার জন্য নানা রকম লবিং, তদবিরের প্রইয়োজনীয় অনৈতিক লেনদেনের কথা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের লগ্নিকৃত টাকা উত্তোলনে নানা রকম দুর্নীতির আশ্রয় নেয়। ফলে দুর্নীতি সর্বগ্রাসী রূপ নিচ্ছে। দলীয় প্রতীকের কারণে প্রতিহিংসার রাজনীতি স্থানীয় পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়ছে। প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক পাওয়াকে প্রাথমিক বিজয় মনে করে। এতে জনগণের সাংবিধানিক স্বাধীন মতামতের প্রতি এক রকমের অবজ্ঞার শামিল। ক্ষমতাসীন দলের প্রতীকের প্রতি প্রশাসনসহ কমিশনের ব্যক্তি বিশেষের এক রকমের দুর্বলতা থাকে। যার ফলে দলীয় প্রার্থীরা ধরাকে সরা জ্ঞান করে দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে ও প্রভাব বিস্তার করে।
"গণনেতৃত্ব বিকাশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সকল স্তরে দলীয় প্রতীক বাতিল ও সার্বজনীন প্রার্থী হওয়ার প্রধান অন্তরায় বৈষম্যহীন আইন বাতিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।"