‘তাবিথ আমার ভাতিজা, তাই নির্বাচনটা হবে চাচা-ভাতিজার খেলা’

  ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন


শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আর মাত্র ২৪ দিন বাদেই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থীরা এরই মধ্যে নিজেদের নির্বাচনী এজেন্ডা নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার জন্য।

 

কেমন হবে সিটি করপোরেশন নির্বাচন? কে হবেন আগামীর নগরপিতা? নগরপিতা হয়ে কেমন নগর গড়তে চান? এ রকম নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম আতিক।

সোমবার (০৬ জানুয়ারি) বনানীতে তার নির্বাচনকালীন সমন্বয় অফিসে একান্ত আলাপচারিতায় বার্তা২৪.কমের কাছে ডিএনসিসি নিয়ে নিজের ভাবনাগুলো তুলে ধরেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বার্তা২৪.কমের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শাহজাহান মোল্লা।

বার্তা২৪.কম: আপনি মাত্র নয় মাসের জন্য এ সিটির মেয়র ছিলেন। আওয়ামী লীগ আবার আপনাকে মনোনয়ন দিয়েছে। দল আপনাকে কেন মনোনয়ন দিয়েছে বলে মনে করেন?

আতিকুল ইসলাম আতিক: `সাবেক মেয়র হিসেবে আমি মনে করি, যিনি ওই চেয়ারটাতে থাকবেন, তাকে ওই চেয়ারের মূল্যায়ন করতে হবে। যিনি ওই চেয়ারে থাকবেন, তাকে জনসেবক হিসেবে কাজ করতে হবে। যিনি চেয়ারটাতে থাকবেন, তাকে সবার কথা শুনতে হবে, সুন্দর শহর গড়ার চ্যালেঞ্জগুলো জানতে হবে। গত নয় মাসে আমি জানার চেষ্টা করেছি, কালশী খালের দীর্ঘ দিনের জঞ্জাল দূর করার চেষ্টা করেছি।'

একান্ত আলাপচারিতায় আতিকুল ইসলাম আতিক, ছবি: বার্তা২৪.কম

`দায়িত্বে থাকাকালীন নয় মাসে যে কাজ করেছি, সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামনের পাঁচ বছরের পরিকল্পনা করে ফেলেছি। গত নয় মাস কাজ করেছি বলেই দল আমাকে মনোনয়ন দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। আমি দলকে এ পুরস্কারের দাম দিতে চাই কাজের মাধ্যমে। আশা করি, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে একটি সুন্দর সচল আধুনিক ঢাকা এবং দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন উপহার দিতে পারব। গতিময় ও জবাবদিহিতামূলক একটি সিটি করপোরেশন গড়তে পারব। এটা আমার প্রত্যাশা,' যোগ করেন আতিকুল ইসলাম।

একান্ত আলাপচারিতায় আতিকুল ইসলাম আতিক, ছবি: বার্তা২৪.কম
 

বার্তা২৪.কম: ভোটররা কেন ভোট দেবেন?

আতিকুল ইসলাম আতিক: `ভোটররা দেখবেন, কে কাজ করেন, ভোটাররা প্রার্থীদের অতীত ইতিহাস দেখবেন। তারা দেখবেন, আমি তাদের সঙ্গে কতটুকু মিশতে পেরেছি, তাদের প্রত্যাশাগুলো অল্প সময়ের মধ্যে কতটুকু বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছি। কাজেই ভোটররাই সবচেয়ে বড় ডিসিশন মেকার। আমার বিশ্বাস, ভোটররা আমার গত নয় মাসের কাজ দেখে আমাকে ভোট দেবেন। আমি সর্বোচ্চ সময় দিয়ে চেষ্টা করেছি। কাজেই তারা এ রকম মেয়রকে ভোট দিতে চাইবেন, যে মেয়র হলে কাজ হবে। যে মেয়র সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে পারবেন। সরকারের সঙ্গে কোন কোন জায়গায় গেলে কাজ হবে, গত নয় মাসে সে অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। কাজগুলো অনেক গুছিয়ে ফেলেছি। আগামীতে ঢাকা শহরে যে ৪২ হাজার এলইডি লাইট লাগাব, সে ফাইল কোন পর্যায়ে আছে, আমি কিন্তু জেনে গেছি। তাছাড়া নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে ৪২০০ কোটি টাকা দিয়ে কীভাবে সুন্দর নতুন সিটি করতে পারব, এটির ফাইল ওয়ার্ক কিন্তু শেষ পর্যায়ে। কাজেই ভোটররা সব বুঝেই আমাকে ভোট দেবেন বলে আমার প্রত্যাশা।'

বার্তা২৪.কম: নির্বাচিত হলে কোন কাজগুলো প্রথমে করবেন?

আতিকুল ইসলাম আতিক: `অপরিকল্পিত শহরকে পরিকল্পিতভাবে গড়াটা কিন্তু অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। কারো কাছে যানজট গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, কারো কাছে জলজট, আবার কেউ মনে করেন পর্যাপ্ত খেলার মাঠ-পার্কের অভাব, কারো কাছে মশা সমস্যাই প্রধান, কেউ চান স্মার্ট সিটি, এটাই কিন্তু বাস্তবতা। আমি বলেছি, সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে সবার জন্য ইনক্লুসিভ ঢাকা গড়ব। যেখানে শিশুরাও খেলতে পারবে, বৃদ্ধরাও চলতে পারবেন, নারীরাও নিরাপদে চলতে পারবেন। আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।'

বার্তা২৪.কম: মেয়র হলে আপনার পরিকল্পনা কী?

আতিকুল ইসলাম আতিক: `গত নয় মাসে আমি দেখেছি, কোথায় কোথায় কি কি সমস্যা আছে। সেসব সমস্যা সমাধানে আমি দীর্ঘ মেয়াদী, স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী পরিকল্পনা করেছি। কোন এলাকার কোন রাস্তা খারাপ, এসব জরিপ করা হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে নগরবাসী এলইডির আলোয় আলোকিত নগরী দেখতে পাবেন।'

বার্তা২৪.কম: বিজয়ের ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী?

আতিকুল ইসলাম আতিক: `দেখুন আওয়ামী লীগ এমন একটি দল, যে দল উন্নয়নে বিশ্বাস করে। সে দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছি, আমার বিশ্বাস উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে জনগণ আমাকে বেছে নেবেন। আর এ নির্বাচনকে আমরা কোনো অংশেই খাটো করে দেখছি না। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী সব কর্মীকে মাঠে নামতে বলেছেন। অবশ্যই সবাই মিলে কাজ করলে এবং সবাই মিলে আমাদের পরিকল্পনা ও কাজগুলোর কথা মানুষের দ্বারে দ্বারে জানালে, জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। মানুষকে বোঝাতে হবে উন্নয়নের কথা, এ সরকারের মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থানের কথা। আমরা দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন গড়ব। অপরিকল্পিত এ শহরকে পরিকল্পিত নগরীতে পরিণত করতে হলে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। আমার বিশ্বাস, আমি তা করতে পারব। বিজয়ের ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আশাবাদী।'

একান্ত আলাপচারিতায় আতিকুল ইসলাম আতিক, ছবি: বার্তা২৪.কম

বার্তা২৪.কম: প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি?

আতিকুল ইসলাম আতিক: `প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী একটি রাজনৈতিক দল থেকে এসেছেন, আমিও একটি দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমরা নির্বাচন করব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে। এরই মধ্যে উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে আমার বাসায় দাওয়াত দিয়েছি। এটিই থাকা দরকার। নির্বাচনে হার জিত থাকবে। নির্বাচনের পরে যেন আমরা সবাই মিলে এক সঙ্গে এ নগরীর উন্নয়ন করতে পারি, সেটাই প্রত্যাশা সবার কাছে। অবশ্যই আমি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীকে খাটো করে দেখছি না। আমি নির্বাচনের মাঠে আছি। থাকব শেষ দিন পর্যন্ত।'

বার্তা২৪.কম: নির্বাচনী মাঠে নামার পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে কথা হয়েছে কি?

আতিকুল ইসলাম আতিক: `না তার সঙ্গে (তাবিথ আউয়ালের) কথা হয়নি। তার বাবার (আব্দুল আউয়াল মিন্টুর) সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তার বাবাকে আমরা সবাই চিনি। তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, তিনি আমাকে বলেছেন, আমার ছেলে এবার ইলেকশন করবে। যেহেতু আমি তাকে (আব্দুল আউয়াল মিন্টু) ভাই বলে ডাকি, তার ছেলেকে আমি আংকেল বলেই ডাকব। চাচা-ভাতিজার খেলা। একটি সুষম সম্পর্ক রেখেই আমরা সে খেলা খেলব। রাজনীতির মাঠে আমি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আর তাবিথ বিএনপির মেয়র প্রার্থী। কিন্তু আমরা দু’জন চাচা-ভাতিজা।'

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

  ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

  ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

  ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

  ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

;