আলাউদ্দিন আলীর শেষ ঠিকানা হচ্ছে বুদ্ধিজীবী করবস্থান
৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত সঙ্গীতজ্ঞ আলাউদ্দিন আলীকে আগামীকাল সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে মিরপুর বুদ্ধিজীবী করবস্থানে দাফন করা হবে। তার আগে বাদ জোহর খিলগাঁও মূর-ই বাগ মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বেলা ২টা ৩০ মিনিটে এফডিসিতে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে আলাউদ্দিন আলীর পারিবারিক সুত্র।
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার (৯ আগস্ট) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মারা যান আলাউদ্দিন আলী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
দীর্ঘদিন ফুসফুসের প্রদাহ ও রক্তে সংক্রমণের সমস্যায় ভুগছিলেন আলাউদ্দিন আলী। এর আগে ৮ আগস্ট সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সুরকার, বেহালাবাদক, সঙ্গীতজ্ঞ, গীতিকার এবং সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে তুমুল জনপ্রিয় আলাউদ্দিন আলী ১৯৫২ সালের ২৪শে ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ৭ বার এবং গীতিকার হিসেবে একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন।
আলাউদ্দিন ১৯৭৫ সালে সঙ্গীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। তিনি গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৯), সুন্দরী (১৯৮০), কসাই এবং যোগাযোগ চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত পদ্মা নদীর মাঝি চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।