এসব শুভেচ্ছা কি দেখতে পাচ্ছেন আইয়ুব বাচ্চু?
ঘড়ির কাঁটায় ১২টা বাজতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো যেন আইয়ুব বাচ্চুময়, শুভেচ্ছায় ভাসছেন গিটারের জাদুকর; ভক্তের এসব শুভেচ্ছা কি দেখতে পাচ্ছেন আইয়ুব বাচ্চু?
বেঁচে থাকলে আজ ৫৮ বছরে পা রাখতেন। এবি কিচেন স্টুডিওতে বেড়ে যেনো মানুষের আনাগোনা। ফুলেল শুভেচ্ছা আর কেক কেটে এই জন্মদিনটাও বেশ আয়োজন করে পালন করা হতো।
অথচ ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখ থেকে স্বশরীরে নেই আইয়ুব বাচ্চু। আছেন ভক্তদের হৃদয় জুড়ে; আছেন গানে গানে।
আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালে মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। উঠেছিলেন এলিফ্যান্ট রোডের এক হোটেলে। তারপর হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতের ধারায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী এবং বিশ্বের অন্য সেরা গিটারবাদক।
হাসতে দেখা, গাইতে দেখা আইয়ুব বাচ্চুর জীবনে ছিল এক বুক ভরা বেদনা। তাঁর কাছের মানুষদের কাছে তিনি ছিলেন একজন অভিমানী মানুষ, অভিমান পুষে রাখতেন। নিজের গানেও বলেছেন সেসব কথা। বলেছিলেন, আমাকে কাঁদাবে আর বেশি কাঁদালে উড়াল দেব আকাশে।
অভিমান পুষে রাখতে রাখতে হঠাৎ একদিন সকালে রুপালী গিটার ফেলে উড়াল দেওয়া আইয়ুব বাচ্চু কি আজকের জন্মদিনেও সেইভাবেই কষ্ট পেতে ভালোবাসেন?
সেই প্রশ্নের উত্তর না জানা গেলেও আইয়ুব বাচ্চুর ভক্তরা তাঁকে হারিয়ে কষ্ট পাচ্ছে, মিস করছে তাঁর রুপালী গিটার, তাঁর গানের মত তাঁকে ১২ মাস ভালোবেসে স্মরণে রাখছে।