ক্লাস অডিয়েন্স ও মাস অডিয়েন্সের দূরত্বটা কমাতে চাই: সঞ্জয় সমদ্দার



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সঞ্জয় সমদ্দার,ছবি: ফেসবুক

সঞ্জয় সমদ্দার,ছবি: ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

ভিন্নধর্মী গল্পের নাটক নির্মাণ করেন নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার। এবারের ঈদে তার নির্মিত বেশ কিছু নাটক ছিলো আলোচনায়। বাংলা নাটকের সার্বিক বিষয় নিয়ে সম্প্রতি এই নির্মাতা মুখোমুখি হয়েছেন বার্তা২৪.কমের। তাঁকে ফোনে ধরেছেন ইসমাইল উদ্দীন সাকিব।


বার্তা২৪.কম: সবাই যেখানে যা বেশি খাচ্ছে সেই গল্পে নির্ভর করেছে। সেখানে আপনি ভিন্নধর্মী গল্পের নাটক নির্মাণ করেছেন...

সঞ্জয় সমদ্দার: নির্মাতা হিসেবে এটাই আমার কাজ। ভালো কাজ করার চেষ্টা সব সময়ই থাকে। কিন্তু সব কাজই যে সবার ভালো লাগবে বিষয় টা এমন নয়। যখন লিখি তখন চেষ্টা করি যা আমাদের চারপাশে ঘটে বা ঘটতে পারে এইরকম কিছু লেখার। যা ঘটে তা সবসময় গল্প হওয়া উচিৎ নয়। বরং যা ঘটা উচিৎ তাও আমার মতো করে গল্পের আদলে ফেলি। ভালো গল্পের ক্ষুধা সবারই আছে। আমি চেষ্টা করি জীবনের গল্প বলার। আমি যেই সমাজে থাকি তার আশপাশ থেকেই গল্পগুলো নেওয়ার চেষ্টা করি। এবং সেগুলোকে আমি আমার মতো করে বলি। আমি ক্লাস অডিয়েন্স ও মাস অডিয়েন্সের দূরত্বটা কমাতে চাই। ভালো কাজ করতে চাই। সেটা সব স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছেছে কিনা সেটা বলা কঠিন। তবে কিন্তু বেশ রেস্পন্স পাচ্ছি, মানুষ দেখছে। আমি সবার জন্যই কনটেন্ট বানাই। এখন সেটা যদি সবার ভালো লাগে, তাহলে ভালো। সবার ভালো লাগতেও পারে আবার নাও লাগতে পারে। কিন্তু আমি কোনো অডিয়েন্সকে টার্গেট করে কোনো কনটেন্ট তৈরি করি না।

নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার,ছবি: ফেসবুক

বার্তা২৪.কম: দীর্ঘদিন ধরে নাটকে একই প্যাটার্নের গল্প বলা হচ্ছে। একই প্যাটানের এসব গল্প দর্শক কেন দেখছে...

সঞ্জয় সমদ্দার: প্রেমের গল্প মানুষ পছন্দ করে। দর্শকদের যে রুচি, সেটা নানানভাবে তৈরি হয়। আমাদের এখানে সব ধরণের দর্শকই আছে এবং সব ধরণের কাজও হচ্ছে এবং হবে। যে ধরণের কাজ দর্শক বেশি গ্রহণ করবে সে ধরণের কাজও বেশি হবে সেটা একটা স্বাভাবিক প্রবণতা। কিন্তু ব্যতিক্রম কাজও হচ্ছে। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার গল্পটা বলে দর্শকে কানেক্ট করতে। এটা আমার একটা ব্যক্তিগত প্রয়াস থাকে। কিন্তু কেনো দর্শক প্রেম ও করুণ রস পছন্দ করে তার অনেক মনস্তাত্ত্বিক, ভৌগলিক ব্যাখা আছে। এক কথায় বলা কঠিন। মানুষ প্রেমের গল্প, করুণ রসের গল্পের পাশাপাশি কমেডিও পছন্দ করে; যা আমরা দেখে আসছি। মূল কথা হলো, দর্শকরা বিনোদন পেতে চায়। বিনোদন নানানভাবে পাওয়া যায়। কেউ হয়তো ইন্টেলেকচুয়াল ফিকশন দেখে বিনোদন পায়, কেউ হয়তো সহজ সুন্দর জিনিস দেখে বিনোদন পায়। সেটাকে ভাগ করার কিছু নাই। ভালো কাজ হলে দর্শক ভালো কাজই দেখবে। বুদ্ধিদীপ্ত কাজ হবে, সহজ কাজ হবে কিন্তু মূল কথা হলো কাজটাকে সুন্দর করে যাওয়া। আর এতো এতো ফ্রি কনটেন্ট থাকার পরও কি মানুষ নেটফ্লিক্স, এ্যামাজন প্রাইম, হৈচৈ টাকা দিয়ে দেখছে না? কনটেন্ট যদি টাকা দিয়ে দেখার মতো হয় অবশ্যই দেখবে। বাংলাদেশি কনটেন্ট যখন ঐ কোয়ালিটির হবে অবশ্যই দেখবে। আগে দর্শকদের ভেতরে ঐ কোয়ালিটি সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করতে হবে। তাদের মনে হতে হবে যে, এই কনটেন্ট আমি টাকা দিয়ে দেখতে পারি।

বার্তা২৪.কম: এখন তো নাটকে গল্পের চেয়ে ভিউ সংখ্যাই গুরুত্ব পাচ্ছে?

সঞ্জয় সমদ্দার: ভিউ নিয়ে আমি অন্তত অস্বস্তিতে পড়ি নাই। কেউ আমাকে বলেনি যে, আমাকে এতো মিলিয়ন ভিউ দেন। বরং আমি একটা গল্প বলার চেষ্টা করেছি, তখন প্রোডিউসার হয়তো রাজি হয়েছেন। তারপর কাজটা হয়েছে। ভিউ নিয়ে আমার জায়গা থেকে বলা কঠিন। হয়তো ভিউর সঙ্গে ব্যবসা জড়িত। তাদের ব্যবসার জায়গাটা আমি খুব ভালো বলতে পারব না । যে ধরণের কাজে ব্যবসা হবে সে ধরনের কাজ বেশি হবে। সেটা খুব স্বাভাবিক। সবাই যেহেতু বাণিজ্যকে নিশ্চিত করতে চায় সেই জায়গা থেকে ভিউ বেশি চাইতেই পারে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে প্রোডিউসাররা গল্প চেয়েছেন। তারা হয়তো বিশ্বাস করেছেন যে আমি গল্পটাকে ভালোভাবে বানাতে পারবো।

‘যে শহরে টাকা ওড়ে’ নাটকের পোস্টার

বার্তা২৪.কম: এবারের ঈদে আপনার নির্মাণে মোশাররফ করিমের আলোচিত নাটক ‘যে শহরে টাকা ওড়ে’। তাঁকে বেশ ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করলেন; যা বেশ প্রশংসা পাচ্ছে...

সঞ্জয় সমদ্দার: প্রত্যেকটা নির্মাতারই আলাদা ধরণ আছে। কেউ হয়তো চিন্তা করেছে মোশারফ ভাই কমেডিতে ভালো করেন। কিন্তু তিনি জাত অভিনেতা। তিনি সবকিছুই ভালো করেন। মোশারফ ভাই কিন্তু অনেক সিরিয়াস নাটকও করেছেন। আমি চিন্তা করি যে, তাকে একটু হলেও আলাদা ভাবে উপস্থাপন করতে পারি। বা যদি একটু অন্যরকম দেখাতে পারি। এ ধরনের এক্সপেরিমেন্টে আমার নির্মাতা হিসেবে তৃপ্তি থাকে। আমি যেন একজন অভিনেতাকে একটু হলেও ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে পারি, ওটা আমার চাওয়া থাকে। অর্থাৎ অভিনেতাকে নানানভাবে উপস্থাপন করার একটা প্রয়াস সবসময় থাকে আমার মধ্যে।

বার্তা২৪.কম: আপনার প্রায় অধিকাংশ নাটকে অপূর্বকেই কেন দেখা যায়?

সঞ্জয় সমদ্দার: অপূর্ব ভাই ইন্ডাস্ট্রির একজন সুপারস্টার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কনসিস্টেন্টলি সাকসেসফুল অভিনেতা। এ রকম একজন হিরোর সাথে তো ডিরেক্টররা কাজ করতে চাইবেনই। আমিও চাই। আমি তাকে নিয়ে যে কাজগুলো করি সেই কাজগুলোতে আমার কাছে মনে হয় অপূর্ব ভাইই বেস্ট। এবং ভাইয়াও সেটাতে নিজের সর্বোচ্চটা দেন। সেটা আসলে কাজের জায়গা থেকে এমনই হয়। তাই হয়তো ভাইয়ার সাথে কাজ বেশি হয়। ইনশাআল্লাহ সামনেও হবে।

শুটিং সেটে নির্মাতা,ছবি: ফেসবুক

বার্তা২৪.কম: নাটকে বাজেট ঘাটতির পুরনো অভিযোগ রয়ে গেছে। আপনার ক্ষেত্রে কি হয়?

সঞ্জয় সমদ্দার: আমাদের সীমাবদ্ধতা মেনেই কাজ করতে হয়। বাজেটের ব্যাপারে আমার যতটুকু দরকার ততটুকু পেয়েছি। আমি অন্যদের কথা বলতে পারবো না। ইন্ডাস্ট্রিতে হয়তো সবাই সমান বাজেট পায় না। কেউ হয়তো কম পায়, কেউ বেশি পায়। এগুলো আসলে ইন্ডাস্ট্রির বাস্তবতা। এগুলো মেনেই কাজ করতে হয়। এগুলো নিয়ে অভিযোগ করার কিছু নেই। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমি আসলে অভিযোগ করতে পছন্দ করিনা।

   

নতুন সিনেমায় ভিন্ন আঙ্গিকে আসাদুজ্জামান নূর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আসাদুজ্জামান নূর

আসাদুজ্জামান নূর

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে সব ধরনের অভিনয় থেকেই দূরে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। এরপর একটু একটু করে শুরু করেন মঞ্চ ও টিভি নাটকে। তবে চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন না।

এরপর এক এক করে বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই তারকা। এবার পাওয়া গেল নূরের নতুন আরেকটি ছবির খবর। তবে এবার আর অভিনয় নয়। একটু ভিন্নভাবে যুক্ত হওয়া ছবিটির সঙ্গে।

ভাষা আন্দোলনের আগেভাগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘যাপিত জীবন’। সেই ছবিতে যুক্ত হলেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবির একটি অংশের জন্য কবিতা আবৃত্তি করলেন তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি স্টুডিওতে তার কণ্ঠে কবিতাটি রেকর্ডিং হয়। ছবির পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, ছবি শেষ হবে আসাদুজ্জামান নূরের কণ্ঠে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘কোনো এক মাকে’ কবিতাটির পাঠের মধ্য দিয়ে।

পরিচালক বলেন, ‘এ অংশ ছবির জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে কবিতাটি খুবই প্রাসঙ্গিক। ছবি শেষ হচ্ছে, নেপথ্যে কবিতাটি শোনা যাচ্ছে। গল্পের সঙ্গে চমৎকারভাবে কবিতাটির কথা, মর্ম মিলে যায়। আমার বিশ্বাস, ওই সময় প্রেক্ষাগৃহে দারুণ একটি পরিবেশ তৈরি হবে দর্শকের মাঝে।’

কবিতাটি আবৃত্তির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে নেওয়া প্রসঙ্গে হাবিব আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই নূর ভাইয়ের আবৃত্তি শুনে আসছি। তার আবৃত্তির ভঙ্গি দারুণ। আর ছবির এই জায়গায় তার কণ্ঠ ভালো মানিয়ে যায়। এ ছাড়া এই ছবিতে অনেক গুণীজন যুক্ত আছেন। আরেক গুণী মানুষ হিসেবে নূর ভাইকে চেয়েছি।’

আসাদুজ্জামান নূর

জানালেন, বেশ কিছুদিন আগে কাজটির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি বুঝিয়ে নূর ভাইকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। শুনেই রাজি হন তিনি। নানা ব্যস্ততায় কাজটি করে দিতে সময় পাচ্ছিলেন না। আজ সময় বের করে কাজটি করে দিলেন তিনি। আমি মনে করি, নূর ভাইয়ের কারণে আমার ছবির মান আরও বেড়ে গেল।’

২০২১-২২ বছরের সরকারের অনুদানের ছবি এটি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর শুটিং শুরু হয়।

পরিচালক আরও জানিয়েছেন, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী সপ্তাহের শুরু দিকে প্রিভিউয়ের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। চলতি বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা আছে ছবিটির। সেলিনা হোসেনের গল্প থেকে যৌথভাবে এটি চিত্রনাট্য করেছেন অনিমেষ আইচ ও ইশতিয়াক আহমেদ।

এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, গাজী রাকায়েত, রোকেয়া প্রাচী, আজাদ আবুল কালাম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডলি জহুর, ইমতিয়াজ বর্ষণ, আশনা হাবিব ভাবনা, সমাপ্তি, মৌসুমি হামিদ প্রমুখ।

;

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলায়’ পদাতিকের ‘গুনজান বিবির পালা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলা’য় আমন্ত্রন পেয়েছে বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের দল পদাতিক নাট্য সংসদ টিএসসি। আগামীকাল ২৯ মার্চ কলকাতার অনুচিন্তন আর্ট সেন্টারে প্রদর্শিত হবে পদাতিকের ৪১ তম প্রযোজনা ‘গুনজান বিবির পালা’। এই শো উপলক্ষ্যে পদাতিক নাট্য সংসদেও ২২ সদস্য এখন কলকাতায়। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সায়িক সিদ্দিকী।

নাটকে অনেকটা অংশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পালা গানের আঙ্গিকে করা। যে পালা বসে গ্রামের আসরে, বয়াতিদের এক শৈল্পিক নাট্য বয়ানে। শুধু পালাগান নয়, নাটকটিতে কাওয়ালি, পুঁথিসহ আরও অনেক লোকজ দিক তুলে ধরা হয়েছে।

যার প্রেক্ষাপট একটি থিয়েটার দল। বিভিন্ন সমস্যার মধ্য যাদের পথচলা দীর্ঘদিনের। সেই দলের প্রধান নাটকের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে রাজী। দলটির একটি নাটক ‘পালা’ আকারে মঞ্চায়ন করা হবে, যা সাত ভাই চ¤পা অবলম্বনে ‘গুনজান বিবির পালা’ নামে দর্শকদের কাছে মঞ্চায়িত হবে। অর্থাৎ নাটকের মধ্যে আরেক নাটক দেখা যায় এই প্রযোজনায়।

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মমিনুল হক দীপু, মশিউর রহমান, শামছি আরা সায়েকা, আমানুজ্জামান, রাবেয়া, নুরুন্নাহার পাপিয়া, শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, জয়, সালমান শুভ, আবু নাসেম লিমন, মোঃ ইমরান খাঁন, শরীফুল ইসলাম, জিতু, পলাশ, জিয়া, জেনি, সৃজা, নাজমা ও শ্রেষ্ঠা।

মঞ্চ-সঞ্জীব কুমার দে, আলো- অতিকুল ইসলাম জয়, পোশাক, দ্রব্য ও কোরিওগ্রাফিÑ সাঈদা শামছি আরা, সঙ্গীত- হুমায়ন আজম রেওয়াজ, প্রযোজনা অধীকর্তাÑ সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন টিটো।

;

বিরতি ভেঙে ঈদের নাটকে ফের মেহজাবীন



বিনোদন ডেস্ক ,বার্তা২৪.কম
মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: বার্তা২৪

মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলা নাটক দুনিয়ায় অভিনেত্রীর তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছেন ২০০৯ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টারজয়ী মেহজাবীন চৌধুরী। ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে বাঙালি দর্শকের মন জয় করেছেন তার অভিনয় প্রতিভা দিয়ে। মডেলিংয়ের পাশাপাশি ছোটপর্দায় নাটক, বিজ্ঞাপন করে আসছেন তিনি। গত কয়েক বছরে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দিকে দর্শকের ঝোঁক বেড়েছে। মেহজাবিনকেও দেখা গেছে ডিজিটাল প্লাটফর্মের কাজ করতে। বিগত দুই বছর তার প্রায় সব কাজই ওয়েব সিরিজ। তুলনামূলকভাবে টিভি নাটকে গত দুই বছর তার তেমন কোনো কাজ দেখা যায়নি। এমনকি ঈদ-উল-ফিতরেও মেহজাবিনের কোনো নাটক আসেনি।

মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত
মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে এই বছর ঈদে নাটক নিয়ে আসছেন মেহজাবিন। নাটকের নাম, গল্পের ধরন বা মেহজাবিনের সহশিল্পী হিসেবে কে থাকবেন তা এখনো অজানা। তবে গণমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তাহলে এবার ঈদের নাটকে অভিনয় করবেন তিনি। নাটকের স্ক্রিপ্টের কাজ এখনো চলছে। প্রযোজনাও চলছে জোড়সোড়ে। কাজ শেষ হলেই শ্যুটিংয়ের কাজ শুরু হবে।   

অনন্যা নাটকে মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত
অনন্যা নাটকে মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েক বছরের ওটিটিতে চমৎকার কাজ করেছেন মেহজাবীন। কাজলের দিনরাত্রি, রেডরাম, আরারাত, নীল জলের কাব্য, সাবরিনার মতো বাঘা বাঘা সিরিজে কাজ করেছেন তিনি। সেখানে ভিন্ন ধারার বিভিন্ন চরিত্র নিঁখুতভাবে ফুটিয়ে তুলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন ভক্তরা তাকে সেরা অভিনেত্রী দাবি করে।  ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেহজাবিনের ‘অনন্যা’ নাটক প্রকাশ পায়। গল্প , অভিনয়, পরিচালনা- সবকিছুই ভক্তদের হৃদয় স্পর্শ করে। ঈদেও মেহজাবিনের নাটক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন দর্শক। তাদের মনের আশা এবার পূরণ হতে চলেছে।


;

নাচ নিয়ে ইউরোপের দুই দেশে আলিফ



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মোফাসসাল আলিফ /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

মোফাসসাল আলিফ / ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণ প্রজন্মের নৃত্যশিল্পী এবং কোরিওগ্রাফার মোফাসসাল আলিফ তার আধুনিক নৃত্যধারায় কাজ করে যাচ্ছেন শোবিজের বিভিন্ন মাধ্যমে। তিনি বলিউডের বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার ট্যারেন্স লুইসের কাছে শিখে এসেছেন। এরপর ‘আলিফিয়া স্কোয়াড’ নামে নাচের দল খুলেছেন তিনি। যা অল্প সময়েই নাচের জগতে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।

এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেও পারফর্ম করেছেন আলিফ। তবে এবারই প্রথম পারফর্মেন্স করলেন ইউরোপে। গত ২৬ মার্চ নোদারল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের আমন্ত্রণে আমস্টারডামে নৃত্য পরিবেশন করেন তিনি। তার সঙ্গে পারফর্ম করেছেন মাটি সিদ্দিকী।

নোদারল্যান্ডে আলিফ ও মাটির পরিবেশনা /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

শুধু তাই নয়, আগামী ৬ এবং ৭ এপ্রিল ফ্রান্সে মিরাবাঈ ড্যান্স স্কুলের আমন্ত্রণে বলিউড এবং হাই হিলস ড্যান্সের ওপর দুটি নৃত্য কর্মশালা করাবেন আলিফ।

তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্যকলা বিভাগে নাচের উপর মাস্টার্স করছেন। পাশাপাশি আলিফ কোরিওগ্রাফি করছেন ‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমার একটি গানে।

;