‘ফিকশনের সংখ্যা কমিয়ে দিলে এমনিতেই কাজ ভালো হয়ে আসবে’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আশফাক নিপুন ,ছবি: সংগৃহীত

আশফাক নিপুন ,ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভিন্নধর্মী গল্পের নাটক নির্মাণ করেন দর্শক নন্দিত নির্মাতা আশফাক নিপুন। তার নাটকে দেখা যায় সমাজে ঘটে চলা নানা অসঙ্গতির বাস্তব চিত্র। আজ এই নির্মাতার জন্মদিন। এমন দিনে বাংলা নাটকের গল্প ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বার্তা২৪.কমে কথা বলেছেন। আশফাক নিপুনকে ফোনে ধরেছেন ইসমাইল উদ্দীন সাকিব।


বার্তা২৪.কম: আমাদের দেশে একই ধরণের প্রেম আর করুণ রসের কাজ বেশি হয় কেন?

আশফাক নিপুন: প্রেম রস আর করুণ রসে দোষের কিছু নেই। বাঙালীর জীবনে প্রেম থাকবেই। আর আমরা জাতি হিসেবে করুণ রসের ভক্ত। আমরা দুঃখেও কাঁদি আবার খুশিতেও কাঁদি। আমাদের এখানে বিভিন্ন ধরণের কাজই হচ্ছে। রোমান্টিক যেমন হচ্ছে, করুণ রসের কাজও হচ্ছে। কমেডি যেমন হচ্ছে, সংখ্যায় কম হলেও জীবনমুখী কাজও হচ্ছে।


বার্তা২৪.কম: ভিন্নধর্মী বা মৌলিক গল্পের অভাব বোধ তো নিশ্চয়ই করেন। এই অভাব কীভাবে কাটিয়ে উঠবো আমরা?

আশফাক নিপুন: প্রথম শর্ত প্রযোজকদের ভালো গল্প প্রমোট করতে হবে। এই ঈদে আমার যে দুটো কাজ সবচেয়ে আলোচিত ‘ভিকটিম’ ও ‘ইতি, মা’ এই দুটো কাজ বানানো সম্ভবই হতনা যদি না আমার প্রযোজক (লাইভ টেকনোলজিস) ভালো গল্পে বিনিয়োগ না করতেন। দ্বিতীয় শর্ত হলো পরিচালকের সততা। লক্ষ্য রাখতে হবে তার আগের কাজের চেয়ে এখনকার কাজটা যেন ভিন্ন হয়। দর্শক যখন আপনার কাজ দেখে, সে মোটামুটি এক ঘণ্টা সময় নিয়ে বসে। ঐ এক ঘণ্টার দায়িত্ব কিন্তু আপনার। সে পুরোপুরি আপনাকে বিশ্বাস করে এক ঘণ্টা সময় নিয়ে বসছে। সেই দর্শক যাতে মনে না করে আপনি তাকে ঠকিয়েছেন, তার পুরো সময়টা নষ্ট হয়েছে; এটা নির্মাতাদের মাথায় রাখতে হবে। এবার ঈদে ভালো কাজ হয়েছে কিছু তবে প্রতি ঈদের মত এবার খারাপ কাজের সংখ্যা তুলনামূলক কম, কারণ করোনার কারণে ৪০০/৫০০ নাটকের শুটিং করা যায়নি। যার ফলে ভালো কাজগুলো চোখে পড়ছে বেশি। আলোচনা হচ্ছে, মানুষ লিখছে, নিজের মতামত দিচ্ছে এবং বলা হচ্ছে গল্পের নাটকের দিন ফিরেছে। তাই আমাদের গড়পড়তা কাজের সংখ্যা কমাতে হবে। আর মানসম্মত কাজের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

 আশফাক নিপুন ,ছবি: সংগৃহীত 

বার্তা২৪.কম: সব কাজ কেন মানসম্মত হয় না কেন?

আশফাক নিপুন: আমাদের একেকটা ঈদে ৩০০-৩৫০ ফিকশন তৈরি হয়। এখন আরও বেড়েছে। ইউটিউবেও আলাদাভাবে ফিকশন তৈরী হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৪০০/৫০০ ফিকশন তৈরি হয়। এখন এই ৫০০ ফিকশনের গল্প কি আমাদের আছে? এতোগুলো ফিকশন বানানোর জন্য কি ডিরেক্টর, স্ক্রিপ্ট রাইটার, অভিনেতা, কলাকুশলী আছে? দায়টা আসলে সিস্টেমের। আপনি ৫০০ ফিকশন এক ঈদে চালাবেন কিন্তু আপনার হাতে লেখক, ডিরেক্টর, অভিনেতা নাই। যার ফলে এক এক জন ডিরেক্টর ১৫/১৬ টা করে ফিকশন বানায়। অভিনয় শিল্পীরা প্রতি ঈদে ৩০/৩৫টা কাজ করে। যার ফলে কাজগুলোর বেশিরভাগই মান সম্মত হয় না। যদি এক ঈদে ৫০০ এর পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৫০টি কাজ হত তাহলে ৫০০ কাজ করার জন্য যেই বাজেট লাগে সেটা যদি ৫০ টা নাটকে দিলে বাজেট এমনিতেই বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে অভিনেতা, ডিরেক্টর, রাইটার তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে। এবং এই ৫০টা নাটকের মধ্যে থাকার জন্যে আমিও আমার মাথাটা একটু বেশি খাটাবো। প্রথম ৫০টায় যার কাজ থাকবে না সে পরের বার চেষ্টা করবে আরও ভালো গল্প নিয়ে। তখনও হয়ত সে করুণ রসই বানাবে, রোমান্টিক বানাবে, কমেডি বানাবে; কিন্তু নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে। তাই ফিকশনের সংখ্যা কমিয়ে দিলে এমনিতেই কাজ ভালো হয়ে আসবে। ঈদের ছুটি ৩ দিন কিন্তু টিভিতে ঈদের প্রোগ্রাম চলে ৭ দিন ব্যাপী। মান তো পড়বেই!

 আশফাক নিপুন ,ছবি: সংগৃহীত 

বার্তা২৪.কম: ফ্রি কন্টেন্ট থেকে বিশ্ব এখন পেইড কন্টেন্টের দিকে যাচ্ছে। আমারা সেই পথে হাঁটছি কচ্ছপের গতিতে। আমাদের দর্শক ফ্রি দেখতে দেখতে টাকা দিয়ে ভাল কাজ দেখবে কেন?

আশফাক নিপুন: ফ্রি দেখাতে অবশ্যই ক্ষতি হচ্ছে। আমি ইউটিউবে ফ্রি কন্টেন্টের বিপক্ষে সবসময়। কোনো কাজ পৃথিবীতে ফ্রি দেখানো উচিৎ না, যদি না আপনি চ্যারিটির জন্য কাজটি করছেন। আপনি দোকানে ডিম কিনতে গেলেও কেউ আপনাকে ফ্রীতে ডিম দিবে না কিন্তু কন্টেন্টের বেলায় আমরা ফ্রী কন্টেন্ট দেখতে চাই। আপনি এমনভাবে দর্শকদের অভ্যস্ত করছেন ফ্রি দেখার, যার ফলে টেলিভিশনেও তাদের মুনাফা আসছে না। মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপন বিরতির অজুহাতে দর্শক টেলিভিশন দেখে না। টেলিভিশন চ্যানেল তখন নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলে এবং এটার উপর পুরোপুরি নির্ভর করা শুরু করে। আপনি এভাবে ইন্ডাস্ট্রি চালাতে পারেন না। আমাদের এখানে ওটিটি প্লাটফর্ম আশানুরূপ ভাবে অপারেটর করতে পারেনি শুরুর দিকে। ফলে সমস্যাটা গভীর হয়েছে। আমার কথা যদি বলি, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে আমার কোনো কাজই ইউটিউবে আসেনি। ওটিটিতে গেছে। এখন আমাদের ওটিটিদেরও দায়িত্ব অধিকাংশ মানুষকে কাছে পৌছানো। আমরা ইউটিউবে ফ্রি ও মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউয়ের প্রভাবে টাকা দিয়ে নাটক কেউ আর দেখতে চাই না। আর যদি টাকা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে দেখিও, সেখানেও ঝামেলা। আপনি বায়স্কোপ দেখতে গেলে গ্রামীণফোনের সিম ছাড়া দেখতে পারবেন না। রবি টিভি প্লাস দেখতে গেলে রবি সিম লাগবে। বায়স্কোপ, রবি টিভি প্লাস আবার আপনি দেশের বাইরে দেখতে পারবেন না। এরা নেটফ্লিক্স এর মতো ১৭০টা দেশে এখনো প্লাটফর্ম করতে পারেনি। সামনে হয়ত পারবে তবে এখনো পারেনি। যার ফলে আমাদের কাজ দেখা থেকে একটা বিরাট সংখ্যক দর্শক ব্যাহত হচ্ছে। অধিকাংশ নির্মাতা, কলাকুশলীরাও আগ্রহ হারাচ্ছে এই কারণেই। আমি যখন একটা কাজ করি তখন আমি চাই সর্বোচ্চ সংখ্যক দর্শকদের কাছে পৌঁছাক। আবার এটাও চাই ফ্রিতে যেন কেউ না দেখে। ফ্রিতে দেখলে কারও লাভ হয় না দিন শেষে। শুধু একটা ভার্চুয়াল ভিউ দাঁড়ায় মিলিয়ন ভিউ যার বিপরীতে আয়ও কম। লাভটা উঠে আসেনা। অন্যদিকে যখন আমি ওটিটির জন্য বানাচ্ছি তখন দর্শকরা হয়ত জানতেই পারছে না কাজটার কথা। সমস্যাটা দ্বিমুখী। ফ্রির প্রভাবে ওটিটিতে ফেরানো একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে যারা অপারেটর করে তাদের। না হলে নেটফ্লিক্স বছরে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে চলে যাবে, আর আমরা পিছিয়ে থাকবো।

 আশফাক নিপুন ,ছবি: সংগৃহীত 

বার্তা২৪.কম: সিনেমার দাবি উঠছে, সিনেমা কবে আসছে?

আশফাক নিপুন: এ বছর মুভির কোনো শুটিং হবে বলে মনে হয় না। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরে ইনশাআল্লাহ্‌। আবার নতুন করে পরিকল্পনা করতে হবে। কারণ আগের পরিকল্পনা দিয়ে তো এখন শুটিং করা হবে না। এখন করোনার জন্য অনেক কিছু পাল্টে গেছে। প্রি প্রোডাকশন থেকে শুরু করে কোথায় কোথায় শুটিং করতে পারবো সেসব নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। দেখা যাক।

   

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চলছে ভোট গণনা, আসেননি অনেক তারকা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফেরদৌস আহমেদ, মৌসুমী, শাকিব খান ও পপি

ফেরদৌস আহমেদ, মৌসুমী, শাকিব খান ও পপি

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ১৯ এপ্রিল সকাল থেকে বিএফডিসি প্রাঙ্গণে চলছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচন। সকাল সাড়ে ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি ছিল, ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল সাড়ে ৫টায়। এখন চলছে ভোট গণনা। 

ভোট দিতে সকালে তেমন কোন ভোটার উপস্থিত না থাকলেও জুমার নামাযের পর কিছু তারকা এফডিসি প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। ভোট গ্রহণের সময় শেষ দিকে চলে এলেও দেখা যায়নি চলচ্চিত্রের অনেক জনপ্রিয় তারকাদের। জানা গেছে, তাদের অনেকেই ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। যার কারণে ভোট দিতে পারছেন না।

এরমধ্যে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। তিনি বর্তমান নতুন সিনেমার শুটিংয়ে ভারতের হায়দরাবাদে অবস্থান করছেন।

গত নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয়ী হলেও এবার ভোটের মাঠ থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন অরুণা বিশ্বাস। দেশে না থাকার কারণে এবার ভোট দিতে আসতে পারছেন না।

৮ বছর পর এফডিসিতে ভোট দিতে এলেন কাজী মারুফ

এছাড়াও এদিন ভোট দিতে পারছেন না এমন তালিকায় রয়েছেন সুপারস্টার শাবনূও, চিত্রনায়ক ও সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ, প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী, পপি, পূর্ণিমা, শাহরিয়ার নাজিম জয়, আজিজুল হাকিম, আনিসুর রহমান মিলন, রেসি, বিপাশা কবির, সোহানা সাবাসহ বেশ কয়েকজন শিল্পী।

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুইটি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি মিশা-ডিপজল পরিষদ, অন্যটি কলি-নিপুণ পরিষদ।

এর মধ্যে সভাপতি পদে লড়ছেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও দাপুটে খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক পদে গেল আসরের মতো এবারও প্রার্থী হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তার বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৭০ জন। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন খোরশেদ আলম খসরু।

;

নতজানু হয়েও কোন পক্ষের সমর্থন পেলেন না জোভান



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ভিডিও বার্তায় জোভান ও ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্য

ভিডিও বার্তায় জোভান ও ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান পড়েছেন দারুণ ঝামেলায়। তার একটি নাটককে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একপক্ষের সমালোচনায় অবশেষে নতজানু হয়ে ভিডিও বার্তা দিলেন তিনি। তাতেও সেই পক্ষের মন গলাতে পারলেন না। উল্টো তারা জোভানের বাকী নাটকগুলোকেও বয়কটের সুর তুলছে!

ঝামেলা এখানেই শেষ নয়। জোভান নতজানু হয়ে দুঃখ প্রকাশ করায় আরেকপক্ষ তাকে দারুণভাবে করছেন সমালোচনা। এই পক্ষে আবার রয়েছেন তারই সহকর্মীরা। তারা জোভানের সাহস ও শিনদাঁড়ার শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত গেল ঈদুল ফিতরে প্রচারিত জোভানের নাটক ‘রূপান্তর’ নিয়ে। রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত এই নাটক প্রচারের পরই এটি নিয়ে অন্তর্জালে ফুঁসে ওঠে একাংশ দর্শক। নিরুপায় হয়ে নাটকটি ইউটিউব থেকেও নামিয়ে ফেলা হয়।

 ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্যে সামিরা খান মাহি ও জোভান

কিন্তু রেহাই মেলেনি তাতেও। অগত্যা অভিনেতা জোভান নিজেই গা ঢাকা দেন, বন্ধ করে রাখেন নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল। অবশেষে আজ ১৯ এপ্রিল ভোর রাতে দেখা দিয়েছেন তিনি। একটি ভিডিও বার্তা নিয়ে হাজির হলেন। যেখানে আকুতিভরা কণ্ঠে ক্ষমা চেয়েছেন দর্শকের কাছে।

আতঙ্ক আর অসহায়ত্বে ভরা চাহনিতে জোভান বলেন, ‘এই ঈদে আমার বেশ কিছু নাটক এসেছে। প্রথম দিন থেকেই ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। এই ঈদটা আমার খুব সুন্দর ঈদ হতে পারতো আপনাদের ভালোবাসায়, সাপোর্টে। কিন্তু সেটা হয়নি। একটা অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ে আপনারা যেমন কষ্ট পেয়েছেন, আমিও কষ্ট পাচ্ছি। আমি কিন্তু একদমই ভালো নেই।’

‘রূপান্তর’ নাটকের প্রসঙ্গে জোভানের জবাবদিহি এরকম, “রূপান্তর’ নাটককে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা একদমই অপ্রত্যাশিত। এই নাটকের মাধ্যমে কারও ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। আমি নিজেও একটা মুসলিম পরিবারের ছেলে। আমি জানি, ধর্মকে কতটা বিশ্বাস করি, আল্লাহকে শ্রদ্ধা করি। এই নাটকের মাধ্যমে আমরা কোনও কিছুকে নরমালাইজ করা বা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করিনি। কেবল একটি চরিত্র উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটার মাধ্যমে এতগুলো মানুষকে কষ্ট দিয়েছি, এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সবার কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।”

ফারহান আহমেদ জোভান

সবশেষে অনুরোধের সুরে জোভান বলেছেন, ‘দীর্ঘ এগারো বছর যাবত নাটক করছি। আজকে আমার যে অবস্থান, এর পেছনে আমার একার নয়, অবশ্যই দর্শকের ভালোবাসা ও সাপোর্ট ছিল। আমার কাজ করার মূল উদ্দেশ্য হলো দর্শককে একটু বিনোদন দেওয়া, সেজন্যই এত কষ্ট। এরপর থেকে আরেকটু বেশি সচেতন থাকবো চরিত্র বাছাই করতে। যাতে তাদের মনঃক্ষুণ্ণ না হয়, কষ্ট না পায়। আমার যে কাজগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে, তার চেয়েও ভালো কাজ উপহার দেবো। শুধু একটাই অনুরোধ, আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না। আমার জন্য দোয়া করবেন।’

যদিও জোভানের ভিডিও বার্তার কমেন্ট বক্স দেখলে আঁচ করা যায়, তার এই আর্তনাদ গলাতে পারছে না নেটিজেনদের মন। গণহারে তার নাটক বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে তারা। বিপরীতে অনেকেই জোভানের এই পরাজিত কণ্ঠ ও মুখ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বলছেন, প্রকৃত শিল্পী কখনোই এতোটা নতজানু হয় না।

উল্লেখ্য, নীহার আহমেদের চিত্রনাট্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটি নির্মিত হয়েছে। এর গল্পটি মূলত একজন তরুণ চিত্রশিল্পীকে ঘিরে। যিনি শৈশবে ট্রেন দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের। যার ফলে তিনি জানতেই পারেননি তার বাবা-মা কে কিংবা কোন ধর্মের মানুষ। বড় হয়েছেন শিশু আশ্রমে। বড় হয়ে হয়েছেন চিত্রকর। পেয়েছেন খ্যাতিও। এর মধ্যে একজন ধনীর দুলালী তার আঁকায় মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েন। বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয় চিত্রকরকে। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাকে দিয়ে সেটা সম্ভব নয়। এরপর তার চিকিৎসকের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি আসলে একটি হরমোন জনিত বিরল জটিলতায় ভুগছেন। তিনি দেখতে পুরুষের মতো হলেও মানসিকভাবে তিনি একজন নারী।

ফারহান আহমেদ জোভান

গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় ‘রূপান্তর’ নাটকটি উন্মুক্ত করা হয় ইউটিউবে। রাতে বেশ কিছু দর্শকের পক্ষ থেকে আপত্তি পেয়ে সেটি ১৬ এপ্রিল সকালে তুলেও নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। একই নাটক ডাউনলোড করে অসংখ্য ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করছে সমালোচনাকারীদের একটা বড় অংশ। তারাই আবার এমন নাটক নির্মাণ ও প্রচারণার প্রতিবাদ করছেন! এমনকি নির্মাতা-শিল্পীদের হুমকিও দিচ্ছে অনেকে। যা নিয়ে আতঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা।

;

আগামী মাসেই সোহেল-নীলা জুটির ‘শ্যামাকাব্য’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘শ্যামাকাব্য’র জুটি সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

‘শ্যামাকাব্য’র জুটি সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

গুণী নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘শ্যামাকাব্য’ নিয়ে দর্শকের আগ্রহ রয়েছে। এই ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন সদ্য ভারতের ফিল্মফেয়ার পুরস্কারজয়ী অভিনেতা সোহেল মণ্ডল ও জনপ্রিয় লাক্স তারকা নীলাঞ্জনা নীলা। তারা ছাড়াও এক ঝাক তারকা শিল্পীকে নিয়ে নির্মিত সরকারি অনুদানের এই সিনেমাটি গত ২৪ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা ছিল।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

কিন্তু সে সময় ছবিটি আর মুক্তি পায়নি। তখন নির্মাতা সৌদ জানিয়েছিলেন, ‘‘দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত। চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম, এমন পরিস্থিতিতে দর্শক সিনেমা হলে এসে ছবি দেখতে চাইবেন না। দর্শকের জন্যই তো আমাদের সিনেমা। তাদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করা জরুরী। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ‘শ্যামাকাব্য’ জাতীয় নির্বাচনের পরেই মুক্তি দেব।’’

নীলাঞ্জনা নীলা ও সোহেল মণ্ডল। ছবি : নূর এ আলম

অবশেষে ছবিটি মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ছবিটির নায়ক সোহেল মণ্ডল জানান, ‘‘আসছে ৩ মে আপনার নিকটস্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘শ্যামাকাব্য’।’’

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ধাচের ছবিটিতে প্রেমের বিষয়টিও বেশ স্পষ্ট। এতে নীলাকে দেখা যাবে শ্যামা’র চরিত্রে। আর সোহেল মণ্ডল রয়েছেন আজাদ নামের একটি চরিত্রটি।

নীলাঞ্জনা নীলা ও সোহেল মণ্ডল। ছবি : নূর এ আলম

নায়ক-নায়িকা দুজনই বললেন, তাদের চরিত্র দুটি একেবারেই নতুন। তাদের রসায়নও দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে বলে তারা আশাবাদী। নীলার ভাষায়, শ্যামা মেয়েটি খুব শান্ত। দেখলে চোখে আরাম দেবে। আর সোহেল এখনই তার চরিত্রের কোন গোমর ফাঁস করতে চান না।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

ছবিতে একটি মাত্র গান রয়েছে। নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের লেখা ‘পাখি যাও যাও’ শিরোনামের সেই গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক ইমন সাহা। চমকপ্রদ বিষয় হলো সেই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের বিখ্যাত দুজন শিল্পী। একজন হিন্দুস্তানি ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের কিংবদন্তি পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, অন্যজন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী।

;

ধর্মকর্মে মন দিয়েছেন অশ্লিল যুগের নায়ক মেহেদি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চিত্রনায়ক মেহেদির একাল-সেকাল

চিত্রনায়ক মেহেদির একাল-সেকাল

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢালিউডে যে সময়টা অশ্লিলতায় ছেয়ে গিয়েছিল, সে সময়ের অন্যতম ব্যস্ত নায়ক ছিলেন মেহেদি। ‘পাগল মন’ চলচ্চিত্র দিয়ে সিনেমা জগতে জায়গা করে নেওয়ার পর অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে অশ্লিল ছবির সংখ্যাই বেশি। এখনো ইউটিউবে তার অশ্লিল নাচ গানের ভিডিও’র দেখা মেলে।

কিন্তু মানুষ মাত্রই বদলায়। বাংলা সাহিত্যে বিখ্যাত উক্তি রয়েছে, ‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়, কিন্তু বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়।’

তেমনি বদল ঘটেছে চিত্রনায়ক মেহেদির জীবনেও। অনেক দিন থেকেই চলচ্চিত্র আঙিনায় তাকে দেখা যায় না। আজ তাকে দেখা গেল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে। সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মেহেদি।

চিত্রনায়ক মেহেদি

জানালেন, তিনি এখন ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করেছেন। বললেন, নিয়মিত তবলিগ জামাত চিল্লায় যেতে হচ্ছে। যেহেতু আমি মুসলিম, তাই আমাকে নিয়মিত নামাজ রোজা করতে হবে। এখন সেটা খুব মনোযোগের সঙ্গে করতে হচ্ছে।

চলচ্চিত্র থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হননি তিনি, সামনে তার চলচ্চিত্র আসছে বলেও জানালেন। বললেন, আমি চলচ্চিত্র থেকে একেবারেই হারিয়ে যাইনি। সামনে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আমার চারটি চলচ্চিত্র।

;